Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও টিএন্ডটির সামনের রাস্তায় এক কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি ও চলমান এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সংকটজনক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজকে দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে লড়াই করছি ইনশাআল্লাহ সেই লড়াইয়ে বিজয় হব। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।

মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো জাতি লুটেরাদের কবলে পড়েছে। যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে আসেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে শেখ হাসিনা কিছু কথা বলেছেন। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। যে টাকা তারা বলে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা সেই টাকা এখন ৮ কোটির ওপরে চলে গেছেৃ ব্যাংকে জমা আছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া যাতে রাজনীতি করতে না পারেন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।

এখন সমস্ত দেশের মানুষ একটি মাত্র দাবিতে জেগে উঠেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সাথে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে, তার মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আমরা গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমি রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়েছি। আমরা একদফা দাবি দিয়েছি, যে সরকার আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই সরকারকে আমরা আর চাই না।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা, ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একটা ভয়াবহ দানবের সরকার, লুটেরা সরকার, বর্গীদের মতো সরকার। এরা সম্পদ বিদেশে পাচার করে বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। আর আমার দেশে মানুষ অসহায় ও অভুক্ত থাকছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্রমিক শ্রেণি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আবারও তারা লড়াই করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এই রাষ্ট্র পরিবর্তন করতে হবে, এর কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একদফার আন্দোলন করছি। শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে জিনিসপত্রের দাম আমার কৃষক ভাই, শ্রমিক ভাই, মেহনতি মানুষের সাধ্যের বাইরে। এরা (সরকার) ব্যর্থ হচ্ছে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে। কারণ এরা এ চুরির সঙ্গে জড়িত। এরা লুটেরা সরকার। লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাড়িঘর বানাচ্ছে। একদিকে আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করে দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় করছে অন্যদিকে আমাদের মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, আজকের সমগ্র দেশের মানুষ জেগে উঠেছে একটি মাত্র দাবি নিয়ে। সেই দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই মুহূর্তে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সমগ্র রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এক দফা দাবি দিয়েছি। সেই দফা হচ্ছে হাসিনার সরকার আমাদের সমস্ত অধিকার এবং আমাদের সমস্ত অর্জন কেড়ে নিয়েছে। সেই সরকারকে এদেশের মানুষ আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না।

শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্ন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফ হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও টিএন্ডটির সামনের রাস্তায় এক কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি ও চলমান এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সংকটজনক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজকে দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে লড়াই করছি ইনশাআল্লাহ সেই লড়াইয়ে বিজয় হব। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।

মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো জাতি লুটেরাদের কবলে পড়েছে। যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে আসেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে শেখ হাসিনা কিছু কথা বলেছেন। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। যে টাকা তারা বলে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা সেই টাকা এখন ৮ কোটির ওপরে চলে গেছেৃ ব্যাংকে জমা আছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া যাতে রাজনীতি করতে না পারেন তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।

এখন সমস্ত দেশের মানুষ একটি মাত্র দাবিতে জেগে উঠেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সাথে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে, তার মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আমরা গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমি রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়েছি। আমরা একদফা দাবি দিয়েছি, যে সরকার আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই সরকারকে আমরা আর চাই না।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা, ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার একটা ভয়াবহ দানবের সরকার, লুটেরা সরকার, বর্গীদের মতো সরকার। এরা সম্পদ বিদেশে পাচার করে বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে। আর আমার দেশে মানুষ অসহায় ও অভুক্ত থাকছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্রমিক শ্রেণি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আবারও তারা লড়াই করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এই রাষ্ট্র পরিবর্তন করতে হবে, এর কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একদফার আন্দোলন করছি। শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আজকে জিনিসপত্রের দাম আমার কৃষক ভাই, শ্রমিক ভাই, মেহনতি মানুষের সাধ্যের বাইরে। এরা (সরকার) ব্যর্থ হচ্ছে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে। কারণ এরা এ চুরির সঙ্গে জড়িত। এরা লুটেরা সরকার। লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাড়িঘর বানাচ্ছে। একদিকে আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করে দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় করছে অন্যদিকে আমাদের মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, আজকের সমগ্র দেশের মানুষ জেগে উঠেছে একটি মাত্র দাবি নিয়ে। সেই দাবি হচ্ছে, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই মুহূর্তে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ, সমগ্র রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এক দফা দাবি দিয়েছি। সেই দফা হচ্ছে হাসিনার সরকার আমাদের সমস্ত অধিকার এবং আমাদের সমস্ত অর্জন কেড়ে নিয়েছে। সেই সরকারকে এদেশের মানুষ আর এক মুহূর্তও দেখতে চায় না।

শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্ন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফ হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।