বরগুনার তালতলীতে দাবীকৃত ঘুষের টাকা না পাওয়ায় ইউএনও ইজারাকৃত মৎস্য ঘের কেটে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তালতলী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সুফলভোগী গ্রুপের সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলার দু’টি সুফলভোগী গ্রুপের সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন ও মনোয়ার হোসেন গত ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসক ও বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিকট থেকে মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অধীন তালতলী উপজেলার শিকারীপাড়ার ৮.০২ একর জলাশয় খাল ইজারা বন্দোবস্ত গ্রহন করেন।
তখন থেকে ওই দু’টি সুফলভোগী গ্রুপ মাছ চাষ করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই জলাশয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় ২১জুন। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আইন বহির্ভূত হওয়ায় ইউএনও ১৭ জুনের তারিখ উল্লেখ করে ওই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে একই পত্রে আবার ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা বাতিলের আবেদন করলে ইউএনও তাকে ডেকে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন।
আরও পড়ুন : বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার ১০ আসামির রায় ৩০ সেপ্টেম্বর
জলাশয় খাল ইজারা বন্দোবস্ত ঠিক রাখতে দাবীকৃত টাকার ৩০ হাজার টাকা ইউএনওকে দিয়েছেন বলে জানান। এ বেআইনী আদেশ প্রত্যাহার ও লীজকৃত জলাশয় নির্বিঘ্নে ভোগদখলের জন্য সুফলভোগী গ্রুপের সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং-৪৮১৪/২০২০, যাহা আদেশের অপেক্ষায়।
লীজ বাতিল অথবা লীজকৃত খালের মাছ ধরে নেয়ার সময় না দিয়ে, কোন রকম নোটিশ ছাড়াই কতিপয় স্থানীয় লোক দ্বারা প্ররোচিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের লোকজন নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর জলাশয় কেটে দেন। এতে সুফলভোগী গ্রুপ প্রায় ২০লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হন।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আইন বহির্ভূত হওয়ায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ২১জুনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ ১৭ জুন বাতিল করলেন কিভাবে এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান এবং টাকা গ্রহণের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।