আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
একজনের পর আরেকজনকে কামড়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কুকুর ‘কমান্ডার’। ফের হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের এক সদস্যকে কামড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুই বছর বয়সী জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর কমান্ডার। তার কামড়ে আহত হয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এর আগেও প্রাণীটি নিরাপত্তা কর্মীদের কামড় দিয়েছে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কুকুরের কামড়ে আহত ওই কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ভেতরই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ১১ বার হোয়াইট হাউস বা বাইডেনের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কামড়াল কমান্ডার।
মঙ্গলবার মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কমান্ডার’ নামে ওই কুকুরটি দুই বছরে ১১ বার হোয়াইট হাউস ও ডেলাওয়্যারে জো বাইডেনের পারিবারিক বাসস্থানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা কর্মীদের কামড়ি দিয়েছে। এর আগের কামড়ের সব কটি ঘটনা ঘটেছে ডেলাওয়্যারের বাড়িতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে কুকুরটির কামড়ের শিকার হন সিক্রেট সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দুটি পোষা কুকুর রয়েছে। এদের মধ্যে জার্মান শেফার্ডস প্রজাতির কমান্ডার বয়সে ছোট। এটির বয়স দুই বছর। ২০২১ সালে এটিকে হোয়াইট হাউসে নিয়ে আসেন বাইডেন। বাইডেনের পরিবারের কাছে একটি পোষা বিড়ালও আছে। সেটির নাম উইলো।
কুকুরের এমন আচরণের জন্য হোয়াইট হাউসে পরিবেশকে দায়ী করেছিলেন বাইডেনের প্রেস সচিব। গত জুনে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসের পরিবেশ অন্যান্য ভবনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানকার পরিবেশটা বেশ চাপের। এ জন্য এখানে পোষা প্রাণীদের খাপ খাওয়াতে কিছুটা সমস্যা হয়। এ জন্য মাঝে মাঝে এমন খেপাটে আচরণ করে।
সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি বলেন, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কুকুরটি কামড়ে দেয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালক কিম্বার্লি চিটল তার সঙ্গে আলাপ করেছেন। তিনি সুস্থ আছেন।
গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রক্ষণশীল গোষ্ঠী বাইডেনের কুকুরের কামড় দেওয়ার প্রবণতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। কমান্ডারের কামড় থেকে বাঁচতে কুকুরটির বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও বিশেষ কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করার কথা জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।