সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন টেংরাখালী থেকে কালিঞ্চী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত ও ধসে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে জমে থাকে পানি। প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো গণি বলেন, জরাজীর্ণ রাস্তায় মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে চালিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া কোনো জরুরি অসুস্থ রোগী নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল অনেক ঝুঁকি। শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসার সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি এখন পিচকরণ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। সুন্দরবন ও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের কর্মীরা নিয়মিত চলাচল করে।
আরেক বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নির্মাণ হয়নি। মাঝে মাঝে নদীর জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ রাস্তায় ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় আমাদের গ্রামে প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা যায় না। বৃষ্টির সময় বাধ্য হয়ে নদীপথে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটি প্রশস্তকরণ ও নদীর সাইট দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, সাত কিলোমিটার রাস্তাটির কিছু অংশে বেশ কয়েকবার সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ইটের ট্রলিসহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাটি আবারো নষ্ট হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের পর রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি প্রস্তাবনা এসেছে। সড়কটি পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য স্থানীয়রা আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।