Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের আরেক নেতা গুলিতে নিহত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির মধ্যে আরেকজন খুন হয়েছেন। তিনিও খালিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কানাডার উইনিপেগ শহরে সুখদুল সিং নামে খালিস্তানপন্থী ওই নেতার ওপর হামলা করে একদল অজ্ঞাত বন্দুকধারী। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন সুখা দুনেকি নামে পরিচিত ওই নেতা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সুখদুল সিংয়ের নিহতের বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে কানাডার আইনপ্রয়োগকারী কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সুখদুল সিং ওরফে সুখা দুনেকে একজন গ্যাংস্টার। তিনি সন্ত্রাসী আরশদীপ ডাল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ২০১৭ সালে পাঞ্জাবের মোগা শহর থেকে জাল পাসপোর্ট নিয়ে কানাডায় পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

গতকালই খালিস্তান আন্দোলন ও কানাডার সঙ্গে যুক্ত ৪৩ গ্যাংস্টারের যে তালিকা ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএর প্রকাশ করেছে, তাতে সুখদুল সিংকেও রাখা হয়েছে।

কানাডার নাগরিক হারদীপ সিং নিজারের হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্ট জড়িত বলে গত সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যের পর ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ট্রুডোর এই অভিযোগের পর অটোয়া ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।

গতকাল ভারত কানাডায় তার নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, কানাডায় যেসব ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন। কারণ, তাঁরা সেখানে রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ এবং সহিংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, এমন অঞ্চল ও এলাকাগুলোতে ভ্রমণ না করতে ভারতীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়।

শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মধ্যেই আরেক শিখ নেতাকে হত্যার এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

চলতি বছরের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদ্বীপ সিং নিজ্জার। ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হারদ্বীপ।

ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টি ট্রুডো। এ সময় ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিখ নেতাকে হত্যার অভিযোগ তোলেন তিনি। ট্রুডো জানান, কানাডার গোয়েন্দারা হারদ্বীপ হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডার ভেতর নিজ দেশের নাগরিকের হত্যার পেছনে বিদেশি কোনো সরকার জড়িত থাকলে তা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন ট্রুডো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের আরেক নেতা গুলিতে নিহত

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির মধ্যে আরেকজন খুন হয়েছেন। তিনিও খালিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কানাডার উইনিপেগ শহরে সুখদুল সিং নামে খালিস্তানপন্থী ওই নেতার ওপর হামলা করে একদল অজ্ঞাত বন্দুকধারী। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন সুখা দুনেকি নামে পরিচিত ওই নেতা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সুখদুল সিংয়ের নিহতের বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে কানাডার আইনপ্রয়োগকারী কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সুখদুল সিং ওরফে সুখা দুনেকে একজন গ্যাংস্টার। তিনি সন্ত্রাসী আরশদীপ ডাল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ২০১৭ সালে পাঞ্জাবের মোগা শহর থেকে জাল পাসপোর্ট নিয়ে কানাডায় পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

গতকালই খালিস্তান আন্দোলন ও কানাডার সঙ্গে যুক্ত ৪৩ গ্যাংস্টারের যে তালিকা ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএর প্রকাশ করেছে, তাতে সুখদুল সিংকেও রাখা হয়েছে।

কানাডার নাগরিক হারদীপ সিং নিজারের হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্ট জড়িত বলে গত সোমবার কানাডার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যের পর ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ট্রুডোর এই অভিযোগের পর অটোয়া ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।

গতকাল ভারত কানাডায় তার নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, কানাডায় যেসব ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন। কারণ, তাঁরা সেখানে রাজনৈতিক বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ এবং সহিংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, এমন অঞ্চল ও এলাকাগুলোতে ভ্রমণ না করতে ভারতীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়।

শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মধ্যেই আরেক শিখ নেতাকে হত্যার এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।

চলতি বছরের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদ্বীপ সিং নিজ্জার। ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হারদ্বীপ।

ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টি ট্রুডো। এ সময় ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিখ নেতাকে হত্যার অভিযোগ তোলেন তিনি। ট্রুডো জানান, কানাডার গোয়েন্দারা হারদ্বীপ হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডার ভেতর নিজ দেশের নাগরিকের হত্যার পেছনে বিদেশি কোনো সরকার জড়িত থাকলে তা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন ট্রুডো।