স্পোর্টস ডেস্ক :
বলতে গেলে এটি ছিল ‘অঘোষিত ফাইনাল’। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া জেতার পর দারুণভাবে সমতায় ফেরে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জোহানেসবার্গে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী লড়াই। সে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো প্রোটিয়ারাই।
অস্ট্রেলিয়াকে ১২২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ট্রফি ৩-২ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে টেম্বা বাভুমার দল।
লক্ষ্যে নেমে অস্ট্রেলিয়া ভালো সূচনা করে। তিন ওভারে ৩৪ রান করেছিল তারা। জানসেন চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিতেই বদলে যায় ম্যাচ। এক ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার ও জশ ইংলিসকে ফেরান তিনি।
এরপর মিচেল মার্শ ও মার্নাস লাবুশেনের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিল অজিরা। তাদের বিচ্ছিন্ন করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্বাগতিকরা। ২ উইকেটে ১২৪ রান করা অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৫তম ওভারে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৩ রান। মার্শের ৭১ ও লাবুশেনের ৪৪ রানের পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি।
শেষ দিকে স্পিন জাদু দেখান মহারাজ। ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে অজিদের গুটিয়ে দেন তিনি। ৯.১ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। জানসেন ৮ ওভারে ৩৯ রান খরচায় নেন পাঁচ উইকেট, প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরা তিনি।
এর আগে ৯ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ একটা সময় বেশ বিপদেই ছিল টস হেরে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়ারা। ১০৩ রানে তারা হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন এইডেন মার্করাম। পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ১০৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। মারকুটে ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মার্করাম। কিন্তু হয়নি।
৮৭ বলে ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ৯৩ রান করে টিম ডেভিডের শিকার হন মার্করাম। এরপর ৬৫ বলে ৬৩ করে ফেরেন মিলার। তবে লোয়ার অর্ডারের মার্কো জানসেন আর আন্দেলো ফেহলুখায়ো ঝড় তুলে দলকে তিনশো পার করে দেন।
জানসেন মাত্র ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। ১৯ বলে ফেহলুখায়োর হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ৩টি আর শন অ্যাবট নেন নেন দুটি উইকেট।