খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের উন্নয়ন করে না। তারা জনগণের পকেট মারে। ভিক্ষুকের টাকাও চুরি করে। কোটি কোটি টাকা পাচার হলেও পাচার নিয়ে সরকার কোনো কথা বলছে না। পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে কত টাকা চুরি করেছে একদিন জনগণ তা জানতে পারবে। ব্যাংকগুলো খালি করে ফেলেছে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় খুলনা রয়েল চত্বর থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেঙ্গু বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কয়েক দিন আগে তিনি আমেরিকার ওপর রাগ করলেন, পারলে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন। তিনি আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করলেন ওই ১৮ হাজার মাইল আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাবেন না। আমেরিকা থেকে কিছু আনবেন না। অথচ জি-২০ সম্মেলনে লাইন ক্রস করে সেলফি তুলেছেন। সেই সেলফি আবার প্রচার করছেন। জো বাইডেনের সঙ্গে একটা সেলফি তোলার পর আওয়ামী লীগের মনের তাবোদ (শক্তি) বেড়ে গেছে। বুঝা যাচ্ছে এই সরকার এখন সেলফি নির্ভর, জনগণ নির্ভর না। জনগণকে তোয়াক্কা করে না। সেলফি তুলে পতন ঠেকাতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ কারা পরিচালনা করবে তা নির্ধারণ করবে এদেশের জনগণ।

বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, দেশের মানুষের ক্ষমতা, দেশের মানুষের ভোটাধিকার, দেশের মানুষের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেবার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে।

তিনি বলেন, এডিস মশার মতো জনগণের রক্ত চুষে খাচ্ছে তারা। এই এডিস থেকে বাঁচতে জনগণকে মাঠে নামতে হবে। সরকারের মশা মারার মুরোদ নেই তবে মানুষ মারার মুরোদ আছে। খুন গুম করার মুরোদ আছে কিন্তু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মুরোদ নেই। মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপছে, ওষুধ নেই, চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই সেদিকে সরকারের নজর নেই।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে একটা অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা দিনমজুর তাদের একদিকে হাতে কাজ নেই, অন্যদিকে সংসারে সন্তানদের আহার জোটানো ঠিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না। এমন একটা জিনিসের নাম বলতে পারবেন যে জিনিসটার দাম কমেছে? প্রতিদিন দাম বাড়ছে। দেশে এই পর্যন্ত ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে। এমন কোনো জিনিস নেই যে দাম বাড়ে না। সরকার ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, ১০ টাকা কেজি ভাতের মারও পাবেন না।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে করেন। পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন। প্রচারপত্র বিতরণ পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা নার্গিস আলী। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।