Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াঘাটের ইউএনও’র উপর হামলা করেছে সাবেক মালি

  • রংপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২১২ জন দেখেছেন

ইউএনও ওয়াহিদা

এক সময় সে ইউএনও’র বাসার মালি ছিল। সেই মালিই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য এ তথ্য জানান।

দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, ইউএনও’র বাসার সাবেক মালি রবিউল ইসলাম ফরাস ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামলায় ব্যবহৃত মই ও হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ডিআইজি বলেন, অপরাধের সঙ্গে কারা জড়িত তা শনাক্তের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইন্সপেক্টর জেনারেলের নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমাদের এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।

এর আগে এই ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগের একজন নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানিয়েছিল, তারা চুরির উদ্দেশে ওই বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সেই সময় র‌্যাব-১৩ অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেছিলেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুল জানিয়েছেন, নবীরুল এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া ব্যক্তি নবীরুল বলেও সে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন : ইউএনও’র উপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, তারা মনে করেন, এটা কোনো চুরির ঘটনা নয়। কারণ দুর্বৃত্তরা কোনো প্রকার জিনিস বা সম্পদ চুরি করেনি। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সঙ্গে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

পরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইউএনওর বাসায় চুরির ঘটনা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কী কারণে তার ওপর হামলা হয়েছে, তা আরও তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।

এরপরেই ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে শুরু করে। এর কয়েকদিন পরেই ইউএনও কার্যালয়ের মালিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানাল, এই কর্মচারীই ইউএনও’র ওপর হামলা চালিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে এলোপাতাড়ি হাতুড়ি পেটা করে দুর্বৃত্তরা। ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ঘোড়াঘাটের ইউএনও’র উপর হামলা করেছে সাবেক মালি

প্রকাশের সময় : ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

এক সময় সে ইউএনও’র বাসার মালি ছিল। সেই মালিই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য এ তথ্য জানান।

দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, ইউএনও’র বাসার সাবেক মালি রবিউল ইসলাম ফরাস ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামলায় ব্যবহৃত মই ও হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ডিআইজি বলেন, অপরাধের সঙ্গে কারা জড়িত তা শনাক্তের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ইন্সপেক্টর জেনারেলের নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমাদের এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।

এর আগে এই ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগের একজন নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানিয়েছিল, তারা চুরির উদ্দেশে ওই বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সেই সময় র‌্যাব-১৩ অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস বলেছিলেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুল জানিয়েছেন, নবীরুল এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া ব্যক্তি নবীরুল বলেও সে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন : ইউএনও’র উপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, তারা মনে করেন, এটা কোনো চুরির ঘটনা নয়। কারণ দুর্বৃত্তরা কোনো প্রকার জিনিস বা সম্পদ চুরি করেনি। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সঙ্গে আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

পরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইউএনওর বাসায় চুরির ঘটনা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কী কারণে তার ওপর হামলা হয়েছে, তা আরও তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।

এরপরেই ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে শুরু করে। এর কয়েকদিন পরেই ইউএনও কার্যালয়ের মালিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানাল, এই কর্মচারীই ইউএনও’র ওপর হামলা চালিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে এলোপাতাড়ি হাতুড়ি পেটা করে দুর্বৃত্তরা। ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।