Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রী রাশেদা আক্তার (২২), শ্বশুর বাদশা মিয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা ও শ্বাশুড়ি আঙ্কুরি বেগমকে (৪৫) রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় ঘাতক জাকির হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে কমলনগর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিম বাদশা মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা করেন।

নিহত বাদশা মিয়া চরকলা কোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার শ্রমিক।

ঘাতক সুমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে ৪ বছর আগে রাশেদার বিয়ে হয়। এর পর থেকে সুমন তাকে মারধর করত। বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে রাশেদাকে তার বাবা-মা নিয়ে আসেন। তাদের সংসারে তিন বছর বয়সি ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন সুমনের সঙ্গে রাশেদার যোগাযোগ ছিল না। এতে দুই মাস আগে তাকে এলাকায় ফের বিয়ে দেওয়া হয়।

এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসে। স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সুমন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরিকে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মারা যান। মুমূর্ষু অবস্থায় আঙ্কুরিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কয়েক দশক পর রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু

স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০৩:২১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রী রাশেদা আক্তার (২২), শ্বশুর বাদশা মিয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা ও শ্বাশুড়ি আঙ্কুরি বেগমকে (৪৫) রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় ঘাতক জাকির হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে কমলনগর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিম বাদশা মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা করেন।

নিহত বাদশা মিয়া চরকলা কোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার শ্রমিক।

ঘাতক সুমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে ৪ বছর আগে রাশেদার বিয়ে হয়। এর পর থেকে সুমন তাকে মারধর করত। বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে রাশেদাকে তার বাবা-মা নিয়ে আসেন। তাদের সংসারে তিন বছর বয়সি ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন সুমনের সঙ্গে রাশেদার যোগাযোগ ছিল না। এতে দুই মাস আগে তাকে এলাকায় ফের বিয়ে দেওয়া হয়।

এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসে। স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সুমন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরিকে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মারা যান। মুমূর্ষু অবস্থায় আঙ্কুরিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।