Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনগণ ভোট দিতে পারলে সেলফির ভরসায় বাঁচতে পারবেন না: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় জাসাসের ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি ক্ষমতাসীনদের বলব, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না। তাহলে বুঝতে হবে এই সেলফি সরকার কতটা দুর্বল ও দেউলিয়া যে, তারা সেলফি তুলে তা আবার প্রচার করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে হয়। আমাদের অনেক কথা নেই। আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে মূল চেতনা, সেই চেতনা আমরা ফেরত চাই।

ভিসানীতি ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) না কি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না, আরও নানা কথা বলেছেন। তবে, কদিন আগে ভারতে আন্তর্জাতিক জি-২০ সম্মেলন হলো। সেখানে তিনি (শেখ হাসিনা) কার সাথে সেলফি তুললেন? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে। এটা আবার পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হলো। আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে বিএনপিকে ঘিরে মন্তব্যও করেছেন। জবাবে আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ওটা গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক কথা নেই। আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা, সেই চেতনা আমরা ফেরত চাই। আজকের আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে ছিল বাকশাল। এখন যে অবস্থা, তখনও ছিল। তখন ছিল রক্ষীবাহিনী, এখন তাণ্ডব করে পুলিশ। পুলিশ সদস্যসহ প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বলবো, আপনারা যে যে পেশায় যারা আছেন, তারা যদি পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে আপনারা আগামী দিনে নিজ নিজ পেশায় সম্মানের সঙ্গে থাকবেন। এখানে কারও চাকরি হারানোর ভয় নেই। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যে যুদ্ধটা করছেন, তা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুদ্ধ নয়, দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ জন্য তিনি বলেছেন, টেকব্যাক বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফাও ঘোষণা করেছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের মালিকানা যদি জনগণের কাছে ফেরত দিতে না পারি, গর্বিত জাতি হিসেবে বলতে পারব না আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের দখলদার এই ফ্যাসিবাদকে তাড়াতে হবে। যারা তাড়াতে পারবে তারাই দেশপ্রেমিক। এটা করতে পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালের বিছানায় জীবনযুদ্ধে লিপ্ত, তিনিও মুক্তি পাবেন।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট-প্রচারপত্র বিতরণ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সময় তার সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য আমিনুল হক ও গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

জনগণ ভোট দিতে পারলে সেলফির ভরসায় বাঁচতে পারবেন না: গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় জাসাসের ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি ক্ষমতাসীনদের বলব, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, সেলফির ওপর ভরসা করে বাঁচতে পারবেন না। তাহলে বুঝতে হবে এই সেলফি সরকার কতটা দুর্বল ও দেউলিয়া যে, তারা সেলফি তুলে তা আবার প্রচার করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে হয়। আমাদের অনেক কথা নেই। আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে মূল চেতনা, সেই চেতনা আমরা ফেরত চাই।

ভিসানীতি ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) না কি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না, আরও নানা কথা বলেছেন। তবে, কদিন আগে ভারতে আন্তর্জাতিক জি-২০ সম্মেলন হলো। সেখানে তিনি (শেখ হাসিনা) কার সাথে সেলফি তুললেন? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে। এটা আবার পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার করা হলো। আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে বিএনপিকে ঘিরে মন্তব্যও করেছেন। জবাবে আমাদের মহাসচিব বলেছেন, ওটা গলায় ঝুলিয়ে হাঁটেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক কথা নেই। আমরা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার ফেরত চাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা, সেই চেতনা আমরা ফেরত চাই। আজকের আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে ছিল বাকশাল। এখন যে অবস্থা, তখনও ছিল। তখন ছিল রক্ষীবাহিনী, এখন তাণ্ডব করে পুলিশ। পুলিশ সদস্যসহ প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বলবো, আপনারা যে যে পেশায় যারা আছেন, তারা যদি পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন, তাহলে আপনারা আগামী দিনে নিজ নিজ পেশায় সম্মানের সঙ্গে থাকবেন। এখানে কারও চাকরি হারানোর ভয় নেই। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।

গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যে যুদ্ধটা করছেন, তা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুদ্ধ নয়, দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ জন্য তিনি বলেছেন, টেকব্যাক বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফাও ঘোষণা করেছেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের মালিকানা যদি জনগণের কাছে ফেরত দিতে না পারি, গর্বিত জাতি হিসেবে বলতে পারব না আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের দখলদার এই ফ্যাসিবাদকে তাড়াতে হবে। যারা তাড়াতে পারবে তারাই দেশপ্রেমিক। এটা করতে পারলে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালের বিছানায় জীবনযুদ্ধে লিপ্ত, তিনিও মুক্তি পাবেন।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট-প্রচারপত্র বিতরণ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সময় তার সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য আমিনুল হক ও গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।