Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামালপুরের মতো ডিসিদের নিয়ে নির্বাচন করলে বিশ্বাসযোগ্য হবে না : এম সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে’ এমন বক্তব্য দেয়া জামালপুরের মতো ডিসিদের নিয়ে নির্বাচন করলে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এমনসব ডিসির বিরুদ্ধে ইসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশে সাবেক এ কমিশনার বলেন, এসব ডিসির বিরুদ্ধে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কী করবেন, কীভাবে কাজ করবেন। এক জেলায় চারজন রিটার্নিং কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন করার নিয়ম নেই। ৪১ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, রিটার্নিং অফিসার ৪ জন করা যাবে না। একজনই হতে হবে।

এম সাখাওয়াত বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের সেন্টারগুলো পাহারা দেয়। প্রতিটি সেন্টারেই তাদের দেখা যায়। কার ভোটার কে তারা জানে? আর সেই জায়গাটাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। এদের কারণেই অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না।

তিনি বলেন, ঢাকায় একটা প্রার্থীকে মারা হলো, এটা কীভাবে হলো। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, কয়েক দিন আগে মালদ্বীপে ভোট হয়েছে। বড় বড় অবজারভার সেখানে ছিল। ভোটে কখনও অভিযোগ হয়নি। আপনাদের হাত-পা বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়েছে। আপনারা একা সিদ্ধান্ত নেবেন, কোনো পলিটিক্যাল পার্টির কথা শুনবেন না। অতীতের ভুলগুলো ঠিক করে নেবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি বার বার বলছি ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োগ নিয়ে। ঢাকায় দেখলাম একটা প্রার্থীকে মারা হলো এটা কীভাবে হলো। পলিটিক্যাল পার্টি সেন্টার পাহারা দেয়। কার ভোটার কে এরা জানে? প্রত্যেক সেন্টারে পাহারা দেয়। এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আলোচকদের মধ্যে আছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান এবং ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা হলেন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, সময় টিভির এডিটর (ওয়েব) মাহফুজুর রহমান, খবর সংযোগ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকত, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সারফুদ্দিন আহমেদ, গাজী টিভির হেড অব নিউজ ইকবাল করিম নিশান, দৈনিক আমার সংবাদ সম্পাদক মো. হাশেম রেজা, দ্য ডেইলি অবজারভারের অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহবুব কামাল, মাইটিভির হেড অব নিউজ শেখ নাজমুল হক সৈকত, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক (সিইও) মো. মনির হোসেন এবং মোহনা টিভির নিউজ এডিটর (ভারপ্রাপ্ত সিএনই) আব্দুর রউফ।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

আগামী নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

জামালপুরের মতো ডিসিদের নিয়ে নির্বাচন করলে বিশ্বাসযোগ্য হবে না : এম সাখাওয়াত

প্রকাশের সময় : ০৩:০৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে’ এমন বক্তব্য দেয়া জামালপুরের মতো ডিসিদের নিয়ে নির্বাচন করলে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এমনসব ডিসির বিরুদ্ধে ইসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশে সাবেক এ কমিশনার বলেন, এসব ডিসির বিরুদ্ধে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কী করবেন, কীভাবে কাজ করবেন। এক জেলায় চারজন রিটার্নিং কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচন করার নিয়ম নেই। ৪১ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, রিটার্নিং অফিসার ৪ জন করা যাবে না। একজনই হতে হবে।

এম সাখাওয়াত বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের সেন্টারগুলো পাহারা দেয়। প্রতিটি সেন্টারেই তাদের দেখা যায়। কার ভোটার কে তারা জানে? আর সেই জায়গাটাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। এদের কারণেই অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না।

তিনি বলেন, ঢাকায় একটা প্রার্থীকে মারা হলো, এটা কীভাবে হলো। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, কয়েক দিন আগে মালদ্বীপে ভোট হয়েছে। বড় বড় অবজারভার সেখানে ছিল। ভোটে কখনও অভিযোগ হয়নি। আপনাদের হাত-পা বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়েছে। আপনারা একা সিদ্ধান্ত নেবেন, কোনো পলিটিক্যাল পার্টির কথা শুনবেন না। অতীতের ভুলগুলো ঠিক করে নেবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি বার বার বলছি ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োগ নিয়ে। ঢাকায় দেখলাম একটা প্রার্থীকে মারা হলো এটা কীভাবে হলো। পলিটিক্যাল পার্টি সেন্টার পাহারা দেয়। কার ভোটার কে এরা জানে? প্রত্যেক সেন্টারে পাহারা দেয়। এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে।

আলোচকদের মধ্যে আছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান এবং ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা হলেন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, সময় টিভির এডিটর (ওয়েব) মাহফুজুর রহমান, খবর সংযোগ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকত, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সারফুদ্দিন আহমেদ, গাজী টিভির হেড অব নিউজ ইকবাল করিম নিশান, দৈনিক আমার সংবাদ সম্পাদক মো. হাশেম রেজা, দ্য ডেইলি অবজারভারের অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহবুব কামাল, মাইটিভির হেড অব নিউজ শেখ নাজমুল হক সৈকত, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক (সিইও) মো. মনির হোসেন এবং মোহনা টিভির নিউজ এডিটর (ভারপ্রাপ্ত সিএনই) আব্দুর রউফ।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

আগামী নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।