Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আঘাত করলে পালটা আঘাত: গয়েশ্বর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আঘাত করলে পালটা আঘাত- এটা সারা দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এটা যদি করতে পারি তাহলেই আমাদের বাঁচা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ গ্রেফতার রাজবন্দির মুক্তি’র দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, আইয়ুব-ইয়াহিয়া অনেক শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আজকে এই সরকার তত শক্তিশালী না। গত ৫১ বছরে বাংলাদেশে এত দুর্বল সরকার আর কখনো আসেনি। কেন দুর্বল? কারণ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়। তাই মনোবল শক্ত করে আমরা- এমন একটি অনৈতিক ও দুর্বল সরকারকে সঠিকভাবে যদি ধাক্কা দেই, এই সরকার টিকে থাকবে না। এটা আমার আত্মবিশ্বাস।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে আমাদের বড় বড় জনসভা হয়, অনেক নেতাকর্মী। সুতরাং যদি শুধু স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি, নেতাদের প্রশংসা সুলভ বক্তব্য দিয়ে নেতৃত্বকে আকৃষ্ট করি, নিজের পদ বা অবস্থানকে শক্ত করার চেষ্টা করি, করতে পারব। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা পরাধীন হয়ে থাকব, মুক্তি পাব না। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পারব না। সুতরাং এখন যা কিছু করেন এবং করতে চান তা মুখে নয়, অন্তর থেকে ও সাহস নিয়ে আজকে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি নিয়ে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব জাহির করতে চায় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কতটা দেউলিয়া হলে একটি দল সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করে। সেদিন ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে আমার অনেক হাসি পেয়েছিল। একটা সেলফি, সেই সেলফি দিয়ে তারা জাহির করার চেষ্টা করেছে যে তারা শেষ হয়ে যায়নি বেঁচে আছে। এখান থেকে বোঝা যায় তারা কতটা দুর্বল। এই দুর্বল সরকারকে যদি আমরা সঠিকভাবে ধাক্কা দিতে পারি তাহলে তাদের পতন হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন রক্ত দেই, কিন্তু সময় মতো রক্ত দেই না। আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি, কর্মসূচি অংশগ্রহণ করি, নিজেদের বাঁচিয়ে। তারপরও আমরা দেখি ক্যামেরা আছে কি না। এই ক্যামেরা হচ্ছে একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের কথা পৌঁছে যায়। কিন্তু একটা সময় ক্যামেরা ছিল না তখন কিন্তু আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন ক্যামেরা আছে গণমাধ্যম আছে তারপরও আন্দোলন সফল হচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে যে গণমাধ্যমগুলো আছে এগুলোকে আমি গণমাধ্যম বলি না। এগুলো হচ্ছে শেখ হাসিনার মাধ্যম। সাংবাদিকরা যদি শেখ হাসিনার কথা না শুনে তাহলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। আর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের চাকরি থাকবে না। তাই তারা সঠিকভাবে সত্য প্রকাশ করতে পারছে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আজকে জি কে গউছ এর মুক্তি চাচ্ছেন। তিনি বারবার রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর বারবার রুখে দাঁড়ান বলেই সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু তার রুখে দাঁড়ানোর যে স্বভাব ও চরিত্র। সেই চরিত্রটা সে হারাই নাই।

গয়েশ্বর বলেন, এখানে অনেক আইনজীবী আছেন, আপনাদের বিচারপতিরা বিচারের রায় দিতে ভুল করতে পারেন। বিচারের নামে অবিচার করতে পারেন। কিন্ত জনগণ কখনো বিচারে ভুল করে না। তাদের বিচার সবসময় সঠিক হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আইনুল হক রেজা শাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম, ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা জাকির হোসেন, একেএম রিপন তালুকদার প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

আঘাত করলে পালটা আঘাত: গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ১১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আঘাত করলে পালটা আঘাত- এটা সারা দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এটা যদি করতে পারি তাহলেই আমাদের বাঁচা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ গ্রেফতার রাজবন্দির মুক্তি’র দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, আইয়ুব-ইয়াহিয়া অনেক শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আজকে এই সরকার তত শক্তিশালী না। গত ৫১ বছরে বাংলাদেশে এত দুর্বল সরকার আর কখনো আসেনি। কেন দুর্বল? কারণ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়। তাই মনোবল শক্ত করে আমরা- এমন একটি অনৈতিক ও দুর্বল সরকারকে সঠিকভাবে যদি ধাক্কা দেই, এই সরকার টিকে থাকবে না। এটা আমার আত্মবিশ্বাস।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে আমাদের বড় বড় জনসভা হয়, অনেক নেতাকর্মী। সুতরাং যদি শুধু স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি, নেতাদের প্রশংসা সুলভ বক্তব্য দিয়ে নেতৃত্বকে আকৃষ্ট করি, নিজের পদ বা অবস্থানকে শক্ত করার চেষ্টা করি, করতে পারব। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা পরাধীন হয়ে থাকব, মুক্তি পাব না। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে পারব না। সুতরাং এখন যা কিছু করেন এবং করতে চান তা মুখে নয়, অন্তর থেকে ও সাহস নিয়ে আজকে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি নিয়ে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব জাহির করতে চায় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কতটা দেউলিয়া হলে একটি দল সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করে। সেদিন ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে আমার অনেক হাসি পেয়েছিল। একটা সেলফি, সেই সেলফি দিয়ে তারা জাহির করার চেষ্টা করেছে যে তারা শেষ হয়ে যায়নি বেঁচে আছে। এখান থেকে বোঝা যায় তারা কতটা দুর্বল। এই দুর্বল সরকারকে যদি আমরা সঠিকভাবে ধাক্কা দিতে পারি তাহলে তাদের পতন হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন রক্ত দেই, কিন্তু সময় মতো রক্ত দেই না। আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি, কর্মসূচি অংশগ্রহণ করি, নিজেদের বাঁচিয়ে। তারপরও আমরা দেখি ক্যামেরা আছে কি না। এই ক্যামেরা হচ্ছে একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের কথা পৌঁছে যায়। কিন্তু একটা সময় ক্যামেরা ছিল না তখন কিন্তু আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন ক্যামেরা আছে গণমাধ্যম আছে তারপরও আন্দোলন সফল হচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে যে গণমাধ্যমগুলো আছে এগুলোকে আমি গণমাধ্যম বলি না। এগুলো হচ্ছে শেখ হাসিনার মাধ্যম। সাংবাদিকরা যদি শেখ হাসিনার কথা না শুনে তাহলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। আর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের চাকরি থাকবে না। তাই তারা সঠিকভাবে সত্য প্রকাশ করতে পারছে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আজকে জি কে গউছ এর মুক্তি চাচ্ছেন। তিনি বারবার রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর বারবার রুখে দাঁড়ান বলেই সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু তার রুখে দাঁড়ানোর যে স্বভাব ও চরিত্র। সেই চরিত্রটা সে হারাই নাই।

গয়েশ্বর বলেন, এখানে অনেক আইনজীবী আছেন, আপনাদের বিচারপতিরা বিচারের রায় দিতে ভুল করতে পারেন। বিচারের নামে অবিচার করতে পারেন। কিন্ত জনগণ কখনো বিচারে ভুল করে না। তাদের বিচার সবসময় সঠিক হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আইনুল হক রেজা শাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম, ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা জাকির হোসেন, একেএম রিপন তালুকদার প্রমুখ।