Dhaka শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি-২০ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভরতের দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টির ১৮তম সম্মেলনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জি-টোয়েন্টির ১৮তম সম্মেলনে অংশ নিয়ে জোটটির লক্ষ্য পূরণে পরামর্শ দেবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালী আধ্যায়ে আরও একটি পালক যোগ করবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনে অর্থবহ অবদান রাখতে পারবে।

চলমান বৈশ্বিক সংকটের বহুমাত্রিক সমাধানে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে উন্মুখ বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কণ্ঠস্বর। তিনি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন।

মোমেন বলেন, জি-২০ প্রেসিডেন্সির একটা গুরত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে আসা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি মুখপাত্র। বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সক্ষমতার বিষয়গুলো তুলো ধরবে বাংলাদেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বকে বলার অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন সাফল্য রয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছে। কারণ বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত।

হাইকমিশনার বলেন, এমন এক সময়ে সম্মেলন হতে যাচ্ছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথেরও কথা শুনতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের সহযোগিতা চাই। আফ্রিকার দেশগুলো কী বলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কী বলে, শুনতে চায় ভারত।

সেমিনারে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনও বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জি-২০ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভরতের দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টির ১৮তম সম্মেলনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জি-টোয়েন্টির ১৮তম সম্মেলনে অংশ নিয়ে জোটটির লক্ষ্য পূরণে পরামর্শ দেবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সোনালী আধ্যায়ে আরও একটি পালক যোগ করবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ জি-২০ সম্মেলনে অর্থবহ অবদান রাখতে পারবে।

চলমান বৈশ্বিক সংকটের বহুমাত্রিক সমাধানে জি-২০ অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করতে উন্মুখ বলে জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, উন্নয়নের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কণ্ঠস্বর। তিনি প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে কথা বলেন।

মোমেন বলেন, জি-২০ প্রেসিডেন্সির একটা গুরত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, গ্লোবাল সাউথের সমস্যা নিয়ে আসা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি মুখপাত্র। বাংলাদেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্লোবাল সাউথের জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সক্ষমতার বিষয়গুলো তুলো ধরবে বাংলাদেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বকে বলার অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন সাফল্য রয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছে। কারণ বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয় ভারত।

হাইকমিশনার বলেন, এমন এক সময়ে সম্মেলন হতে যাচ্ছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথেরও কথা শুনতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের সহযোগিতা চাই। আফ্রিকার দেশগুলো কী বলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কী বলে, শুনতে চায় ভারত।

সেমিনারে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনও বক্তব্য দেন।