Dhaka শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাড়া কামানোর দাবি মেট্রোরেল যাত্রীদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ২০৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হঠাৎ সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সাধারণ যাত্রীদের সাথে ভ্রমণ করেন তারা। যাত্রাপথে অনাকাঙ্খিতভাবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে পেয়ে মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও স্টেশন থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মেট্রোরেলে ওঠেন। এসময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এমডি, মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ মেট্রোরেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে যাত্রীদের কাতারে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন সাধারণ যাত্রীরা। মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী এসময় যাত্রীদের সঙ্গে মেট্রোরেল নিয়ে কথা বলেন। এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মেট্রোরেলের সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এছাড়া মেট্রোরেল যাত্রীরা মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ভাড়া কমানোর বিষয়ে মতামত দেন।

মাহবুব নামের এক যাত্রী বলেন, আমি মিরপুর-১০ নম্বর যাচ্ছি। প্রত্যেকদিনই মেট্রোরেলে চলাফেরা করি। তবে আজ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনে চড়লাম। এর আগে কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেল বা কোনো গাড়িতে চড়ার সৌভাগ্য হয়নি। মন্ত্রী মেট্রোরেলে উঠে সরাসরি আমার পাশেই বসেন এবং খুব সাচ্ছন্দ্যভাবে কথা বলেন। বাংলাদেশ মন্ত্রীরা গণপরিবহনে চড়বে এটা তো ভাবাই যায় না। তাও আবার সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছে।

উত্তরার দিয়াবাড়ি স্টেশনে নেমে মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল ব্যবসা নয়, এটা একটা কল্যাণমূলক কাজ। টাকার অভাবে আমরা সবাই কম ভাড়া চাই। আমরা সৌদি আরবে গেলেও কম ভাড়া চাই। তবে আমাদের উদ্দেশ্য, জনগণের কল্যাণ করা এবং সাধারণ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কল্যাণ করা। প্রধানমন্ত্রী চান সাধারণ মানুষের জন্য যেন সবকিছু সহজ হয়।

সামনে সরকার আরও মেগা প্রকল্প হাতে নেবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বড় বড় কাজ করতে পারে। মেট্রোরেলই তার বড় প্রমাণ। বাংলাদেশের মানুষ সবাই গর্ববোধ ও উৎফুল্ল বোধ করে মেট্রোরেলের জন্য। আগামীতে মেট্রোরেলের মতো বড় বড় কাজ করতে পারবো, এজন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। আমরা সবাই শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। আমরা আগামীতে আরও আধুনিক হবো। বড় বড় আধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। প্রত্যেক প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন চাই।

মেট্রোরেল বাস্তবায়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে কোনো আওয়াজ নেই, শব্দও নেই। খুব আরামে যাতায়াত করা যায়। এই গণপরিবহনের মাধ্যমে প্রমাণিত, আমরা একটা আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পেরেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আইডিয়া ও ধারণায় এটা সম্ভব হয়েছে। মেট্রোরেল একটা টিম ওয়ার্ক, গোটা টিম চমৎকারভাবে কাজ করেছে। যারা ছিলেন সবাই কাজ করেছে। সার্বিকভাবে এটা বড় অর্জন। সাধারণ বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ সদর দফতরের ব্যাখ্যা

ভাড়া কামানোর দাবি মেট্রোরেল যাত্রীদের

প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হঠাৎ সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সাধারণ যাত্রীদের সাথে ভ্রমণ করেন তারা। যাত্রাপথে অনাকাঙ্খিতভাবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে পেয়ে মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগারগাঁও স্টেশন থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মেট্রোরেলে ওঠেন। এসময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এমডি, মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ মেট্রোরেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে যাত্রীদের কাতারে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন সাধারণ যাত্রীরা। মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী এসময় যাত্রীদের সঙ্গে মেট্রোরেল নিয়ে কথা বলেন। এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মেট্রোরেলের সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এছাড়া মেট্রোরেল যাত্রীরা মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ভাড়া কমানোর বিষয়ে মতামত দেন।

মাহবুব নামের এক যাত্রী বলেন, আমি মিরপুর-১০ নম্বর যাচ্ছি। প্রত্যেকদিনই মেট্রোরেলে চলাফেরা করি। তবে আজ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনে চড়লাম। এর আগে কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে মেট্রোরেল বা কোনো গাড়িতে চড়ার সৌভাগ্য হয়নি। মন্ত্রী মেট্রোরেলে উঠে সরাসরি আমার পাশেই বসেন এবং খুব সাচ্ছন্দ্যভাবে কথা বলেন। বাংলাদেশ মন্ত্রীরা গণপরিবহনে চড়বে এটা তো ভাবাই যায় না। তাও আবার সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছে।

উত্তরার দিয়াবাড়ি স্টেশনে নেমে মেট্রোরেলের ভাড়া কমানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল ব্যবসা নয়, এটা একটা কল্যাণমূলক কাজ। টাকার অভাবে আমরা সবাই কম ভাড়া চাই। আমরা সৌদি আরবে গেলেও কম ভাড়া চাই। তবে আমাদের উদ্দেশ্য, জনগণের কল্যাণ করা এবং সাধারণ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কল্যাণ করা। প্রধানমন্ত্রী চান সাধারণ মানুষের জন্য যেন সবকিছু সহজ হয়।

সামনে সরকার আরও মেগা প্রকল্প হাতে নেবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বড় বড় কাজ করতে পারে। মেট্রোরেলই তার বড় প্রমাণ। বাংলাদেশের মানুষ সবাই গর্ববোধ ও উৎফুল্ল বোধ করে মেট্রোরেলের জন্য। আগামীতে মেট্রোরেলের মতো বড় বড় কাজ করতে পারবো, এজন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। আমরা সবাই শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। আমরা আগামীতে আরও আধুনিক হবো। বড় বড় আধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। প্রত্যেক প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন চাই।

মেট্রোরেল বাস্তবায়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলে কোনো আওয়াজ নেই, শব্দও নেই। খুব আরামে যাতায়াত করা যায়। এই গণপরিবহনের মাধ্যমে প্রমাণিত, আমরা একটা আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পেরেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আইডিয়া ও ধারণায় এটা সম্ভব হয়েছে। মেট্রোরেল একটা টিম ওয়ার্ক, গোটা টিম চমৎকারভাবে কাজ করেছে। যারা ছিলেন সবাই কাজ করেছে। সার্বিকভাবে এটা বড় অর্জন। সাধারণ বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।