Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরব সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ।

বুধবার (২৩ আগস্ট) বঙ্গভবনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎটি অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

সৌদি আরব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দেশটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম গন্তব্য। দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি দুই দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

সৌদিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সৌদি সরকার আরও বেশি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন।

পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, এই উদ্যোগের ফলে হাজিদের যাত্রা এবং হজ পালন সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল হজযাত্রীরা আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন।
এ বছর রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালনকালে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য রাষ্ট্রপতি সৌদি সরকারের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি সরকারের মানবিক সহায়তায় সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আরও জোরাল ভূমিকা রাখবে।

ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দুই দেশ সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক দিন দিন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হচ্ছে। তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক বাড়াতে খুবই আগ্রহী।

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে সৌদি মন্ত্রী আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশি হাজিরা যেন আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, রাষ্ট্রপতির সচিব, ধর্ম সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরব সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ।

বুধবার (২৩ আগস্ট) বঙ্গভবনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎটি অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

সৌদি আরব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। দুদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দেশটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম গন্তব্য। দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি দুই দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।

সৌদিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সৌদি সরকার আরও বেশি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন।

পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, এই উদ্যোগের ফলে হাজিদের যাত্রা এবং হজ পালন সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল হজযাত্রীরা আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন।
এ বছর রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালনকালে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য রাষ্ট্রপতি সৌদি সরকারের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি সরকারের মানবিক সহায়তায় সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আরও জোরাল ভূমিকা রাখবে।

ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দুই দেশ সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক দিন দিন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হচ্ছে। তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক বাড়াতে খুবই আগ্রহী।

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে সৌদি মন্ত্রী আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশি হাজিরা যেন আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, রাষ্ট্রপতির সচিব, ধর্ম সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত।