Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের পুরো অংশে চলল ‘ট্র্যাক কার’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পুরো অংশে সফলভাবে চালানো হয়েছে ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ইঞ্জিন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টায় আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে একটি হপার (পাথরবাহী বগি) নিয়ে রওয়ানা হয় সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছে। এসময় গ্যাংকারে করে প্রকল্প পরিচালসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মূলত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।

এসময় ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শরদ শর্মা বলেন, রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এর উপর গাড়ি চলা শুরু হয়েছে। আমাদের কাজ ছিল রেলপথ নির্মাণ করা আমরা করেছি। ষ্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ। যত দ্রুত সম্ভব মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা আজকে কাজের অগ্রগতি দেখতে গ্যাংকার দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত এসেছি। শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিল্ডিংয়ের কিছু ফিনিশিং কাজ বাকী আছে। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান করতে পারবো। যাতে পরবর্তীতে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা যায়। তিনি বলেন, মূলত ট্র্যাক কন্ডিশন দেখার জন্য গ্যাংকার নিয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এসেছি। বুধবার রেলভবনে একটি সভা হবে। সভায় উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এ সময় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। বাংলাদেশের অংশের নির্মানে ব্যয় হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলওয়ের সঙ্গে এ রেলপথ সংযুক্ত হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে বলা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের পুরো অংশে চলল ‘ট্র্যাক কার’

প্রকাশের সময় : ০৫:২৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পুরো অংশে সফলভাবে চালানো হয়েছে ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ইঞ্জিন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টায় আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে একটি হপার (পাথরবাহী বগি) নিয়ে রওয়ানা হয় সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছে। এসময় গ্যাংকারে করে প্রকল্প পরিচালসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং রেলওয়ের কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মূলত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে।

এসময় ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শরদ শর্মা বলেন, রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এর উপর গাড়ি চলা শুরু হয়েছে। আমাদের কাজ ছিল রেলপথ নির্মাণ করা আমরা করেছি। ষ্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ। যত দ্রুত সম্ভব মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা আজকে কাজের অগ্রগতি দেখতে গ্যাংকার দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত এসেছি। শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিল্ডিংয়ের কিছু ফিনিশিং কাজ বাকী আছে। আশা করছি এ মাসের মধ্যেই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান করতে পারবো। যাতে পরবর্তীতে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা যায়। তিনি বলেন, মূলত ট্র্যাক কন্ডিশন দেখার জন্য গ্যাংকার নিয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এসেছি। বুধবার রেলভবনে একটি সভা হবে। সভায় উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এ সময় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। বাংলাদেশের অংশের নির্মানে ব্যয় হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলওয়ের সঙ্গে এ রেলপথ সংযুক্ত হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে বলা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।