Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি  : 
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রায়ের সময় মিলন ও রুবেল নামের দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চরচামিতা গ্রামের মো. নুরনবীর ছেলে জামাল হোসেন, মনছুর আহম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন, দত্তপাড়া গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মো. শাহজাহান, সৈয়দপুর গ্রামের হান্নান খানের ছেলে ফয়সাল খান জয়, বশিকপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মো. মিলন প্রকাশ ওরফে সিএনজি মিলন, কাশিপুর গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে আল-আমিন, বিরাহিমপুর গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে বরকত, বড় রশিদপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে নিশান, চরচামিতা গ্রামের অজি উল্যার ছেলে লোকমান, চরচামিতা গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে সুমন ও দত্তপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে রুবেল। রায়ের সময় সিএনজি মিলন ও রুবেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মো. আলমগীর, মাহফুজ আলম বেরাইজ্জা সুমন, মামুন, জুয়েল হোসেন, কাউসার হোসেন রাজন, শাহ আলম পাটওয়ারী সোহাগ, কাউসার, চরচামিতা সুমন, রিপন, সামছুদ্দিন সামু ও কামাল খান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করেন। এতে মিরন মারা যান।
এ ঘটনা ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাদী তাহমিনা আক্তার বলেন, আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। একজন আসামিকেও ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়নি। আসামিদের ফাঁসির দাবিতে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য হত্যায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৪:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি  : 
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রায়ের সময় মিলন ও রুবেল নামের দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চরচামিতা গ্রামের মো. নুরনবীর ছেলে জামাল হোসেন, মনছুর আহম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন, দত্তপাড়া গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে মো. শাহজাহান, সৈয়দপুর গ্রামের হান্নান খানের ছেলে ফয়সাল খান জয়, বশিকপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মো. মিলন প্রকাশ ওরফে সিএনজি মিলন, কাশিপুর গ্রামের আনোয়ার উল্যার ছেলে আল-আমিন, বিরাহিমপুর গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে বরকত, বড় রশিদপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে নিশান, চরচামিতা গ্রামের অজি উল্যার ছেলে লোকমান, চরচামিতা গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে সুমন ও দত্তপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেনের ছেলে রুবেল। রায়ের সময় সিএনজি মিলন ও রুবেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মো. আলমগীর, মাহফুজ আলম বেরাইজ্জা সুমন, মামুন, জুয়েল হোসেন, কাউসার হোসেন রাজন, শাহ আলম পাটওয়ারী সোহাগ, কাউসার, চরচামিতা সুমন, রিপন, সামছুদ্দিন সামু ও কামাল খান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করেন। এতে মিরন মারা যান।
এ ঘটনা ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাদী তাহমিনা আক্তার বলেন, আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। একজন আসামিকেও ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়নি। আসামিদের ফাঁসির দাবিতে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।