Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, এই দেশ তারা চায় না। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান। এদেশ তাদের নয়। তাদের কাছে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।

সোমবার (২১ আগস্ট) ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও স্বরণ সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি দল-বিএনপি ও তার দোসররা আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে এখনও সরে যায়নি। বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীন রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে বিএনপিসহ তাদের দোসরদের প্রতিরোধ করতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের এদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়েও তাদের পরাজিত করতে হবে। প্রতিহত করতে হবে।

সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিরাপদ নয় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, তাদের প্রতিরোধ, প্রতিহত, পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়ে এ অপশক্তি, খুনী, দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান। তাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ থাকলে এতসব ঘটনা ঘটাতে পারতো না।

কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা মিথ্যাচার করছে? আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে? ৭৫ কে ঘটিয়েছে? জবাব দিন। সেদিন শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বা, গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন কারা করেছিল?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদকের কথায়, জিয়া এর মাস্টারমাইন্ড। রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণ করতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না। হত্যার রাজনীতি করি না। বরং শিকার হই। আজকে বিএনপি নেতারা বিদেশিদের বলে- আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়ার জেল হয়েছে। শেখ হাসিনার উদারতায় তিনি এখন বাইরে আছেন। হাওয়া ভবন থেকে তৎকালীন যুবরাজ তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা শুরু নির্দেশ দিয়েছিল। এখন কাপরুষের মতো বিদেশে পলাতক। তিনি অর্থ পাচারকারী, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। সেদিন টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। তাহলে বলুন, আমরা কি জিয়া পরিবার নিশ্চিহ্ন করার কাজ করি? হাওয়া ভবন থেকে ২১ আগস্টের নির্দেশ দিয়েছিল তখনকার যুবরাজ তারেক জিয়া। আজ কাপুরুষের মতো বিদেশে পলাতক আছে।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না; নিজেরা এর শিকার হয়। জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া জেলের বাইরে থাকাটা ফখরুলদের আন্দোলনের ফসল নাকি শেখ হাসিনার উদারতা? আপনারা তো ৫০০ লোকের মিছিলও করতে পারেননি খালেদা জিয়ার জন্য। লজ্জা করে না ফখরুল সাহেব? কানাডার আদালত বিএনপিকে ৫ বার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিএনপি নেতাদের একটি মিথ্যাচারের জবাব দিতে চান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মিথ্যাচার করছে, আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে…কী অদ্ভুত! দিবালোকে কেমন প্রহসনের নাটক! পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড কে ঘটিয়েছে? বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার টার্গেট কারা করেছিল? এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তার রাজনৈতিক ও ক্ষমতার উচ্চাভিলাষ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছেন।

তিনি বলেন, একুশে আগস্ট…আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি, আমরা যারা শেখ হাসিনার সহকর্মী এবং কর্মী, আমাদের সবার হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ। আমাদের সবার চোখে আজ হারানোর বেদনার অশ্রু ঝরে বারে বারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না, আমরা নিজেরাই ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা কাউকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছি এমন প্রমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না। তারা (বিএনপি) বিদেশিদের বলে, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু কীভাবে?

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তার দোসরা আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে তারা এখনো সরে আসেনি। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমন্বিত রাখতে বিএনপিসহ তার দোসর ও অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে রুখতে হবে। এদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে। এদের রাজনৈতিক আন্দোলন পরাজিত করতে হবে। নির্বাচন ও লড়াইয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। এই অপশক্তি, খুনি, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, ভোট চোর ও অপরাধী চক্রদের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই দেশ তারা চায় না, তাদের দেশ পাকিস্তান। তাদের দেশ আফগানিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয়ে নেই, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয় থাকলে এতসব ঘটনা ঘটাতে পারত না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্যানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপির সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক আশ্রয়কে না বলে দিয়েছে। তারপরও এরা ভালো মানুষ সাজতে চায়। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তালিকাতে এই সন্ত্রাসীদের নাম আছে। এই সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিরাপদ নয়। এই সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেও বলেন, এই দেশ তারা চায় না। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান। এদেশ তাদের নয়। তাদের কাছে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।

সোমবার (২১ আগস্ট) ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও স্বরণ সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি দল-বিএনপি ও তার দোসররা আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে এখনও সরে যায়নি। বাংলাদেশের পতাকাকে উড্ডীন রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমুন্নত রাখতে বিএনপিসহ তাদের দোসরদের প্রতিরোধ করতে হবে। রাজপথের আন্দোলনের এদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়েও তাদের পরাজিত করতে হবে। প্রতিহত করতে হবে।

সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিরাপদ নয় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, তাদের প্রতিরোধ, প্রতিহত, পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনী লড়াইয়ে এ অপশক্তি, খুনী, দুর্নীতিবাজদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদের দেশ পাকিস্তান, তাদের দেশ আফগানিস্তান। তাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ থাকলে এতসব ঘটনা ঘটাতে পারতো না।

কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা মিথ্যাচার করছে? আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে? ৭৫ কে ঘটিয়েছে? জবাব দিন। সেদিন শিশু, নারী, অন্তঃসত্ত্বা, গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন কারা করেছিল?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদকের কথায়, জিয়া এর মাস্টারমাইন্ড। রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণ করতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না। হত্যার রাজনীতি করি না। বরং শিকার হই। আজকে বিএনপি নেতারা বিদেশিদের বলে- আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়ার জেল হয়েছে। শেখ হাসিনার উদারতায় তিনি এখন বাইরে আছেন। হাওয়া ভবন থেকে তৎকালীন যুবরাজ তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা শুরু নির্দেশ দিয়েছিল। এখন কাপরুষের মতো বিদেশে পলাতক। তিনি অর্থ পাচারকারী, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। সেদিন টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। তাহলে বলুন, আমরা কি জিয়া পরিবার নিশ্চিহ্ন করার কাজ করি? হাওয়া ভবন থেকে ২১ আগস্টের নির্দেশ দিয়েছিল তখনকার যুবরাজ তারেক জিয়া। আজ কাপুরুষের মতো বিদেশে পলাতক আছে।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না; নিজেরা এর শিকার হয়। জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া জেলের বাইরে থাকাটা ফখরুলদের আন্দোলনের ফসল নাকি শেখ হাসিনার উদারতা? আপনারা তো ৫০০ লোকের মিছিলও করতে পারেননি খালেদা জিয়ার জন্য। লজ্জা করে না ফখরুল সাহেব? কানাডার আদালত বিএনপিকে ৫ বার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিএনপি নেতাদের একটি মিথ্যাচারের জবাব দিতে চান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মিথ্যাচার করছে, আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে…কী অদ্ভুত! দিবালোকে কেমন প্রহসনের নাটক! পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড কে ঘটিয়েছে? বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার টার্গেট কারা করেছিল? এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। তার রাজনৈতিক ও ক্ষমতার উচ্চাভিলাষ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছেন।

তিনি বলেন, একুশে আগস্ট…আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি, আমরা যারা শেখ হাসিনার সহকর্মী এবং কর্মী, আমাদের সবার হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ। আমাদের সবার চোখে আজ হারানোর বেদনার অশ্রু ঝরে বারে বারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না, আমরা নিজেরাই ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা কাউকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছি এমন প্রমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না। তারা (বিএনপি) বিদেশিদের বলে, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু কীভাবে?

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও তার দোসরা আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে তারা এখনো সরে আসেনি। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমন্বিত রাখতে বিএনপিসহ তার দোসর ও অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে রুখতে হবে। এদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে। এদের রাজনৈতিক আন্দোলন পরাজিত করতে হবে। নির্বাচন ও লড়াইয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। এই অপশক্তি, খুনি, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, ভোট চোর ও অপরাধী চক্রদের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই দেশ তারা চায় না, তাদের দেশ পাকিস্তান। তাদের দেশ আফগানিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয়ে নেই, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয় থাকলে এতসব ঘটনা ঘটাতে পারত না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্যানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপির সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক আশ্রয়কে না বলে দিয়েছে। তারপরও এরা ভালো মানুষ সাজতে চায়। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তালিকাতে এই সন্ত্রাসীদের নাম আছে। এই সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিরাপদ নয়। এই সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।