Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে: ওবায়দুল কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সতর্ক থাকবেন। আগুন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আবারও সন্ত্রাস চালাতে পারে। তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপির) আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। এই টাকা কোথা থেকে আসে?

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বিএনপি, এমন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। কী অত্যাচার তাদের ওপর করা হয়েছে! বিএনপি এখনও প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে। তাদের আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। এই টাকা কোথা থেকে আসে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিনই এক কথা, এক বুলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমি বিএনপি নেতাদের বলি, পৃথিবীতে এখন একটা দেশ আছে, সেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক আছে, আমি ফখরুল সাহেবকে বলি, দলবল নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক পাবেন। আর দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়কের হদিস নাই। এই ভুত মাথা থেকে নামান, নির্বাচনে আসুন। নইলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার শিকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। আল্লাহ যাকে রাখবে বান্দা তাকে মারতে পারে না। শেখ হাসিনার উপর আল্লাহ রহমত আছে। এই দেশের মানুষের দোয়া আছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সময় তার বাবা (মেজর জিয়াউর রহমান) অহংকারে বলত, মানি ইজ নো প্রবলেম। যেমন পিতা, তেমন সন্তান। তার ছেলেও (তারেক রহমান) বলে, আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না। কোথা থেকে আসে এই টাকা?

ফখরুলকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ফখরুল এত বড় মিথ্যুক, আড়াই বছর আমি জেলে। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায়। আপনি তো এই মাসেই এখন জেল হিরো হয়ে গেলেন, পত্র পত্রিকায়। খালেদা জিয়ার সময় ১০ দিনও আমি ঘরে থাকতে পারিনি। তখন আমি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

কাদের বলেন, আজকে বিএনপি এখনো তারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে। যে জেএমবি (জঙ্গি সংগঠন- জামাতুদিল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য ৫০০ লোকের একটা মিছিল করতে পারেন নাই। এখন চোখের পানি ফেলছেন। আমির খসরু, মির্জা আজমের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে।

কাদের বলেন, আজকে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল যখন বলে আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করছে। দিনের আলোতে সবার চোখের সামনে চক্ষুলজ্জা যাদের নেই, তারা এই কথা বলতে পারে। ফখরুল সাহেব ভুলে গেছেন ইতিহাস? তখন কি আপনার জন্ম হয় নাই? পুরো বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। রক্তে ভেসে গেছে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি। সে রক্ত কাদের হাতে? সে রক্ত বিএনপির অনুসারীদের হাতে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মাসটি আমাদের জন্য রক্তক্ষরণের মাস। এই মাসে আমাদের বেদনার অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই মাসে ভালোবাসার কান্না ঝড়ে। আর এই মাসেই বাড়ে বাড়ে ভয়াল ট্রাজেডির স্মৃতি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, আমাদের অতীতের দিনগুলো। আমাদের আন্দোলন, আমাদের সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, তাদের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধুর পর তার সুকন্যা পিতা মুজিবের রক্তভেজা মাটিতে, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বিশ্বস্ত ঠিকানার নাম শেখ হাসিনা।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে গেছে। ১৫ পর আগের বাংলাদেশ, ১৫ বছর পরের আজকের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা এই দেশকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে গেছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপির আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সতর্ক থাকবেন। আগুন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আবারও সন্ত্রাস চালাতে পারে। তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপির) আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। এই টাকা কোথা থেকে আসে?

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বিএনপি, এমন অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। কী অত্যাচার তাদের ওপর করা হয়েছে! বিএনপি এখনও প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে। তাদের আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। এই টাকা কোথা থেকে আসে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিনই এক কথা, এক বুলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমি বিএনপি নেতাদের বলি, পৃথিবীতে এখন একটা দেশ আছে, সেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক আছে, আমি ফখরুল সাহেবকে বলি, দলবল নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক পাবেন। আর দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়কের হদিস নাই। এই ভুত মাথা থেকে নামান, নির্বাচনে আসুন। নইলে আমও যাবে, ছালাও যাবে।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার শিকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। আল্লাহ যাকে রাখবে বান্দা তাকে মারতে পারে না। শেখ হাসিনার উপর আল্লাহ রহমত আছে। এই দেশের মানুষের দোয়া আছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সময় তার বাবা (মেজর জিয়াউর রহমান) অহংকারে বলত, মানি ইজ নো প্রবলেম। যেমন পিতা, তেমন সন্তান। তার ছেলেও (তারেক রহমান) বলে, আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না। কোথা থেকে আসে এই টাকা?

ফখরুলকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ফখরুল এত বড় মিথ্যুক, আড়াই বছর আমি জেলে। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায়। আপনি তো এই মাসেই এখন জেল হিরো হয়ে গেলেন, পত্র পত্রিকায়। খালেদা জিয়ার সময় ১০ দিনও আমি ঘরে থাকতে পারিনি। তখন আমি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

কাদের বলেন, আজকে বিএনপি এখনো তারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে। যে জেএমবি (জঙ্গি সংগঠন- জামাতুদিল মুজাহিদিন বাংলাদেশ) সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য ৫০০ লোকের একটা মিছিল করতে পারেন নাই। এখন চোখের পানি ফেলছেন। আমির খসরু, মির্জা আজমের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে।

কাদের বলেন, আজকে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল যখন বলে আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করছে। দিনের আলোতে সবার চোখের সামনে চক্ষুলজ্জা যাদের নেই, তারা এই কথা বলতে পারে। ফখরুল সাহেব ভুলে গেছেন ইতিহাস? তখন কি আপনার জন্ম হয় নাই? পুরো বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। রক্তে ভেসে গেছে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি। সে রক্ত কাদের হাতে? সে রক্ত বিএনপির অনুসারীদের হাতে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মাসটি আমাদের জন্য রক্তক্ষরণের মাস। এই মাসে আমাদের বেদনার অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই মাসে ভালোবাসার কান্না ঝড়ে। আর এই মাসেই বাড়ে বাড়ে ভয়াল ট্রাজেডির স্মৃতি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, আমাদের অতীতের দিনগুলো। আমাদের আন্দোলন, আমাদের সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, তাদের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধুর পর তার সুকন্যা পিতা মুজিবের রক্তভেজা মাটিতে, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বিশ্বস্ত ঠিকানার নাম শেখ হাসিনা।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে গেছে। ১৫ পর আগের বাংলাদেশ, ১৫ বছর পরের আজকের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা এই দেশকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে গেছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।