Dhaka মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করল তালেবান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আফগানিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। বুধবার (১৬ আগস্ট) তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ভূমিকা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এসব দলের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

বুধবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সংবাদ সম্মেলন করে তালেবানের বিচারমন্ত্রী আবদুল হাকিম শারাই এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সেখানে এই পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার কোনও শরিয়া ভিত্তি নেই। তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করে না, দেশবাসীও তাদের পছন্দ করে না।

পরে বিচারমন্ত্রী আবদুল হাকিমের এ ঘোষণা বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়। তালেবাননিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ওই বিবৃতি প্রচার করে।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে কট্টরপন্থি এই দলটি। মূলত সেসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ক্ষমতা দখল করে তারা। তবে দুই বছর আগে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি বড় ও ছোট রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত ছিল।

ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিরোধী ও সমালোচকদের দাবিয়ে রাখার জন্য সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে ক্রমাগতভাবে খর্ব করে এসেছে তালেবান। মূলত তারা কেবল তাদের সমর্থকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়ে থাকে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের একচেটিয়া অধিকার ধরে রাখতে আফগানিস্তানে বহুদলীয় রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করতে চায় তালেবান।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ওই সময় তালেবানের প্রত্যাবর্তন ও পশ্চিমাদের বিশৃঙ্খল পশ্চাদপসরণের ঘটনাপ্রবাহ আফগানিস্তানের ওপর দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।

ক্ষমতা দখলের পর প্রচলিত নানা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনে তালেবান। বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর। ক্ষমতা দখলের ২ বছর পরও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি কোন দেশ।

আবহাওয়া

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

রাজনৈতিক দলগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করল তালেবান

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আফগানিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। বুধবার (১৬ আগস্ট) তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ভূমিকা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এসব দলের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

বুধবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সংবাদ সম্মেলন করে তালেবানের বিচারমন্ত্রী আবদুল হাকিম শারাই এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সেখানে এই পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার কোনও শরিয়া ভিত্তি নেই। তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করে না, দেশবাসীও তাদের পছন্দ করে না।

পরে বিচারমন্ত্রী আবদুল হাকিমের এ ঘোষণা বিবৃতি আকারে প্রকাশ করা হয়। তালেবাননিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ওই বিবৃতি প্রচার করে।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে কট্টরপন্থি এই দলটি। মূলত সেসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ক্ষমতা দখল করে তারা। তবে দুই বছর আগে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি বড় ও ছোট রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত ছিল।

ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিরোধী ও সমালোচকদের দাবিয়ে রাখার জন্য সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে ক্রমাগতভাবে খর্ব করে এসেছে তালেবান। মূলত তারা কেবল তাদের সমর্থকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়ে থাকে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের একচেটিয়া অধিকার ধরে রাখতে আফগানিস্তানে বহুদলীয় রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করতে চায় তালেবান।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ওই সময় তালেবানের প্রত্যাবর্তন ও পশ্চিমাদের বিশৃঙ্খল পশ্চাদপসরণের ঘটনাপ্রবাহ আফগানিস্তানের ওপর দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।

ক্ষমতা দখলের পর প্রচলিত নানা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনে তালেবান। বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর। ক্ষমতা দখলের ২ বছর পরও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি কোন দেশ।