Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে যা বললেন মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাষ্ট্রীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভারতে পালিত হচ্ছে দেশটির ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এদিনে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে জন্ম হয় ভারত নামের নতুন রাষ্ট্রের। অন্যবারের ন্যায় এবারও দিল্লির লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই তার শেষ বছর। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে যদি জয়ী হতে পারেন তাহলে তাকে আবারও এই মঞ্চে দেখা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের অনুষ্ঠানে নির্বাচন ও বিরোধী দল নিয়ে কথা বলেছেন। বিরোধী দলগুলোর সমালোচনা করেছেন তিনি। অপরদিকে বলেছেন, যদি সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ তার সঙ্গে থাকে তাহলে আগামী বছর আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি।

মোদি স্বাধীনতা দিবসে তার বক্তব্য শুরু করেন উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে মণিপুর সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। অনেক মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছেন এবং আমাদের মা ও বোনেরা অসম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। ভারত মণিপুরের সঙ্গে আছে।

এছাড়া বক্তব্যে ভারতের ১৪০ কোটি জনগণকে নিজের ‘পরিবারের সদস্য’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতে জনগণকে ‘আমার প্রিয় ভাই ও বোন’ হিসেবে সম্বোধন করেন মোদি।

মোদি জানান, মানুষের তার উপর ভরসা থাকলে, পরের বছর ১৫ অগাস্টেও তিনিই লালকেল্লায় আবার ফিরে আসবেন। ভোটে জিতলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।

মোদি এদিন ভাষণে বলেন, পুরো দেশ মণিপুরের পাশে আছে’। মোদি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুরে সহিংসতা হয়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের মা, বোনেদের মর্যাদাহানি করা হয়েছে। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সেখানে শান্তি ফিরছে।

মোদি বলেন, দেশের মানুষের ভরসা যদি আমার উপরে থাকে, তাহলে আগামী বছর আমি আবার লালকেল্লায় এভাবে ফিরে আসব। যে সব প্রকল্পের সূচনা করেছি, সেই সব প্রকল্পের উদ্বোধনও আমার ভাগ্যে লেখা আছে বলে মনে হচ্ছে।

অনাস্থা বিতর্কেও মোদি বলেছিলেন, বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে। তিনিই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। এবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে একই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

এরপর নিজের সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন তিনি। মোদি জানান, তার সরকারের প্রচেষ্টায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মোদি আরও জানান, ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে তখন এটি একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে থাকবে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেড় ঘণ্টার ভাষণ দেন মোদি। সেখানে তিনি তার সরকারের সাফল্যের কথা বলেছেন পাশাপাশি সমালোচনা করেছেন বিরোধীদেরও। মোদির দাবি, তিনি থাকলে পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত অর্থনীতির শক্তিতে তিন নম্বর দেশ হবে। তার কথায়, এটা মোদি গ্যারান্টি’।

এদিকে লালকেল্লায় মোদির আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও পেশার কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত হন। এছাড়া সেখানে নেওয়া হয় শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত তিন বছর লালকেল্লার অনুষ্ঠানে করোনা বিধিনিষেধ থাকলেও এবার সেগুলো তুলে নেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে যা বললেন মোদি

প্রকাশের সময় : ১০:৫০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রাষ্ট্রীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভারতে পালিত হচ্ছে দেশটির ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এদিনে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে জন্ম হয় ভারত নামের নতুন রাষ্ট্রের। অন্যবারের ন্যায় এবারও দিল্লির লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই তার শেষ বছর। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে যদি জয়ী হতে পারেন তাহলে তাকে আবারও এই মঞ্চে দেখা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের অনুষ্ঠানে নির্বাচন ও বিরোধী দল নিয়ে কথা বলেছেন। বিরোধী দলগুলোর সমালোচনা করেছেন তিনি। অপরদিকে বলেছেন, যদি সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ তার সঙ্গে থাকে তাহলে আগামী বছর আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি।

মোদি স্বাধীনতা দিবসে তার বক্তব্য শুরু করেন উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে মণিপুর সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। অনেক মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছেন এবং আমাদের মা ও বোনেরা অসম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। ভারত মণিপুরের সঙ্গে আছে।

এছাড়া বক্তব্যে ভারতের ১৪০ কোটি জনগণকে নিজের ‘পরিবারের সদস্য’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতে জনগণকে ‘আমার প্রিয় ভাই ও বোন’ হিসেবে সম্বোধন করেন মোদি।

মোদি জানান, মানুষের তার উপর ভরসা থাকলে, পরের বছর ১৫ অগাস্টেও তিনিই লালকেল্লায় আবার ফিরে আসবেন। ভোটে জিতলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।

মোদি এদিন ভাষণে বলেন, পুরো দেশ মণিপুরের পাশে আছে’। মোদি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মণিপুরে সহিংসতা হয়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের মা, বোনেদের মর্যাদাহানি করা হয়েছে। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সেখানে শান্তি ফিরছে।

মোদি বলেন, দেশের মানুষের ভরসা যদি আমার উপরে থাকে, তাহলে আগামী বছর আমি আবার লালকেল্লায় এভাবে ফিরে আসব। যে সব প্রকল্পের সূচনা করেছি, সেই সব প্রকল্পের উদ্বোধনও আমার ভাগ্যে লেখা আছে বলে মনে হচ্ছে।

অনাস্থা বিতর্কেও মোদি বলেছিলেন, বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসবে। তিনিই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। এবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে একই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

এরপর নিজের সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন তিনি। মোদি জানান, তার সরকারের প্রচেষ্টায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মোদি আরও জানান, ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে তখন এটি একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে থাকবে।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেড় ঘণ্টার ভাষণ দেন মোদি। সেখানে তিনি তার সরকারের সাফল্যের কথা বলেছেন পাশাপাশি সমালোচনা করেছেন বিরোধীদেরও। মোদির দাবি, তিনি থাকলে পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত অর্থনীতির শক্তিতে তিন নম্বর দেশ হবে। তার কথায়, এটা মোদি গ্যারান্টি’।

এদিকে লালকেল্লায় মোদির আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও পেশার কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত হন। এছাড়া সেখানে নেওয়া হয় শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত তিন বছর লালকেল্লার অনুষ্ঠানে করোনা বিধিনিষেধ থাকলেও এবার সেগুলো তুলে নেওয়া হয়।