Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূকে মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মেহেরুন নেসা মিম (১৬) নামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত সোহেল মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে কামরাঙ্গীরচরের ট্যানারি পুকুরপাড় জামাল দেওয়ান বাদশা মিয়ার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

মিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার বড় বোন মোসা. তন্নিকা। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মীমের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তিনি স্বামী সোহেলের সাথে কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুকুরপাড় জামান দেওয়াল গলির বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই সাথে থাকতো নিহতের বড় বোন তন্বিকাসহ তার পরিবার।

তন্নিকা অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের পর চার বছর আগে শেরপুর নালিতাবাড়ির বাসিন্দা সোহেলের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরে এক সন্তান রয়েছে।

তিনি বলেন, বিয়ের একবছর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত তাদের মধ্যে। তার বোনকে মারধর নির্যাতন করতেন সোহেল। এসব নিয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে একবার থানায় অভিযোগও করে হয়েছিল।

তন্নিকা বলেন, ‘আমি সাপ্তাহখানেক আগে তাদের বাসায় আসি। আমার মা ও তারা একই বাসায় থাকেন। মা ও সোহেল দুজনেই স্থানীয় একটি টুথব্রাশ কারখানায় চাকরি করেন।’

তিনি বলেন, আমার বোনকে হত্যা করেছে সোহেল। আজ দুপুরের দিকে তার বাসায় সোহেল তার শরীরে একটি ফোঁড়া হয়েছে বলে তার ভেতর থেকে পুঁজ বের করার কথা বলে বোন মিমকে বাথরুমে আসতে বলে, পরে তারা দুজনেই বাথরুমে যায়। বেশ কিছু সময় পর সোহেল বের হয়ে ওষুধ আনার কথা বলে বাইরে চলে যায়।

তন্নিকা বলেন, অনেক সময় হয়ে গেলেও মিম বাথরুম থেকে বের হচ্ছিল না দেখে, আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি বাথরুমের ভেতরে তাকে অস্বাভাবিকভাবে পরে থাকতে দেখি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার ধারণা বোন মিমকে গলাটিপে হত্যা করে বাথরুমে ফেলে পালিয়ে গেছেন সোহেল।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূকে মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মেহেরুন নেসা মিম (১৬) নামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত সোহেল মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে কামরাঙ্গীরচরের ট্যানারি পুকুরপাড় জামাল দেওয়ান বাদশা মিয়ার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

মিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার বড় বোন মোসা. তন্নিকা। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মীমের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তিনি স্বামী সোহেলের সাথে কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুকুরপাড় জামান দেওয়াল গলির বাদশা মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই সাথে থাকতো নিহতের বড় বোন তন্বিকাসহ তার পরিবার।

তন্নিকা অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের পর চার বছর আগে শেরপুর নালিতাবাড়ির বাসিন্দা সোহেলের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরে এক সন্তান রয়েছে।

তিনি বলেন, বিয়ের একবছর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত তাদের মধ্যে। তার বোনকে মারধর নির্যাতন করতেন সোহেল। এসব নিয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে একবার থানায় অভিযোগও করে হয়েছিল।

তন্নিকা বলেন, ‘আমি সাপ্তাহখানেক আগে তাদের বাসায় আসি। আমার মা ও তারা একই বাসায় থাকেন। মা ও সোহেল দুজনেই স্থানীয় একটি টুথব্রাশ কারখানায় চাকরি করেন।’

তিনি বলেন, আমার বোনকে হত্যা করেছে সোহেল। আজ দুপুরের দিকে তার বাসায় সোহেল তার শরীরে একটি ফোঁড়া হয়েছে বলে তার ভেতর থেকে পুঁজ বের করার কথা বলে বোন মিমকে বাথরুমে আসতে বলে, পরে তারা দুজনেই বাথরুমে যায়। বেশ কিছু সময় পর সোহেল বের হয়ে ওষুধ আনার কথা বলে বাইরে চলে যায়।

তন্নিকা বলেন, অনেক সময় হয়ে গেলেও মিম বাথরুম থেকে বের হচ্ছিল না দেখে, আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি বাথরুমের ভেতরে তাকে অস্বাভাবিকভাবে পরে থাকতে দেখি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার ধারণা বোন মিমকে গলাটিপে হত্যা করে বাথরুমে ফেলে পালিয়ে গেছেন সোহেল।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।