নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচনে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বনানী সেতু ভবনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ম্যাসেজ একটাই। কেয়ারটেকার ইজ নো মোর। নো কেয়ারটেকার। প্রাইমিনিস্টার ডেজিগনেশন নো। এগুলো পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যে কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক হয়েছে সেখানে মার্কিন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বা শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা বলেনি। বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন হবে না। অংশগ্রহণমূলকই হবে। বিরোধীদল বলতে তো শুধু বিএনপি বোঝালে হবে না। তাছাড়া বিএনপির ভেতরে যে সবাই নির্বাচন করতে চায় না, এমনও নয়।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকুন, পরিবর্তন আসছে। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিচ্ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
জবাবে বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান, বিএনপি সমাবেশ দিচ্ছে। তাদের চলমান কর্মসূচি- সরকারকে না ফেলে তারা ঘরে ফিরবে না। ফখরুল সাহেব তো এটাও বললেন, নিশ্চিতভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। হাওয়া থেকে পাওয়া অনেক দিবাস্বপ্ন বিএনপির আছে। ডিসেম্বর মাসে বেগম জিয়া দেশ চালাবেন। ১১ ডিসেম্বর তারেক রহমান এয়ারপোর্টে নামবেন। এমন অনেক দিবাস্বপ্ন তারা দেখলেন। দিবাস্বপ্ন, দিবাস্বপ্নই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য হলো, আমরা নাম দিই সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। তারা নাম দেয় মহাসমাবেশ, হয় সমাবেশ। এটাই পার্থক্য। আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশের কাছে বিএনপির মহাসমাবেশ ধারেপাশেও নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। বিএনপি অরাজকতা সৃষ্টি করে। তারা সমাবেশের নামে হামলা ভাঙচুর করে।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন হবে না। এবারের নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি ছাড়া অনেক দল রয়েছে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের দলের মধ্যেও রয়েছে অনেকেই অংশগ্রহণ করবে।