Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের মানুষ খালেদা জিয়া মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের মানুষ তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। অবিলম্বে খালেদাকে মুক্তি দিন। সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে আন্দোলন চলছে এক দফা দাবির, সেই দাবি আদায় করেই জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।

শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে বনানীতে তার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। পরশুদিন অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেজন্য অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তা না হলে সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায় করেই খালেদাকে মুক্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোকো অসাধারণ মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তার ভিত্তি স্থাপন করেছেন তিনি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে ওয়ান-ইলেভেনের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তিনি যখন বিদেশ যান সেখানেও একইভাবে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। যার ফলে তিনি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের আজ একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তারা একইভাবে এই পরিবারটিকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করেছে। এমনকি তার অরাজনৈতিক স্ত্রী তাকেও একটি মিথ্যা মামলায় তিন বছর সাজা দিয়েছে।

১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন আরাফাত রহমান কোকো। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।

এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়। সেদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যে তরুণরা দেশ গঠন করবে তারাই এখন চাঁদাবাজি করছে : মির্জা ফখরুল

দেশের মানুষ খালেদা জিয়া মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের মানুষ তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। অবিলম্বে খালেদাকে মুক্তি দিন। সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে আন্দোলন চলছে এক দফা দাবির, সেই দাবি আদায় করেই জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।

শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে বনানীতে তার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। পরশুদিন অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ডাক্তাররা তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেজন্য অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তা না হলে সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায় করেই খালেদাকে মুক্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোকো অসাধারণ মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তার ভিত্তি স্থাপন করেছেন তিনি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে ওয়ান-ইলেভেনের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তিনি যখন বিদেশ যান সেখানেও একইভাবে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। যার ফলে তিনি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের আজ একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তারা একইভাবে এই পরিবারটিকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করেছে। এমনকি তার অরাজনৈতিক স্ত্রী তাকেও একটি মিথ্যা মামলায় তিন বছর সাজা দিয়েছে।

১৯৬৯ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন আরাফাত রহমান কোকো। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান। সেখান থেকে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।

এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দেশে আনা হয়। সেদিনই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।