Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এডিস মশা নিধনে সবার অংশগ্রহণ জরুরি : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিধনে সবার অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে ‘সারাদেশে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে বিশেষ সভার (ভার্চুয়াল) আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্থাপনাগুলো পরিষ্কার করছেন না। এগুলো পরিষ্কার করে ফেলা হলে মশা সীমিত হয়ে যাবে। আমরা সবাই অবহিত যে, অন্যান্য বছর যদিও ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ কিছু-কিছু শহরকেন্দ্রিক ডেঙ্গু মশার আক্রমণ আমরা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এ বছর পুরো দেশেই এডিস মশার প্রজনন পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক লোকও আক্রান্ত হচ্ছে। এই আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দুঃখজনক মৃত্যুও হচ্ছে, যেটা আমাদেরকে ব্যাথিত করছে। এ বিষয়ে সারা পৃথিবীতে যেসব প্রচলিত তথ্য-উপাত্ত আছে, এডিস মশাকে মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার যেসব বিধিবিধান আছে, সেগুলোকে আমরা অনুসরণ করছি। পৃথিবীর বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব গবেষণা করেছে, আমরা সেগুলোও সংগ্রহ করেছি।

তিনি বলেন, এডিশ মশাকে ধ্বংস করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরও মশার আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহরে এটার মাত্রা অতিরিক্ত। আমাদের অন্যান্য জেলা, উপজেলা, পৌরসভার অনেক জায়গায় লোক আক্রান্ত হচ্ছে। সে কারণে আমরা আজকে একটা জরুরি সভা ডেকেছি।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হয়েছিল দাবি করে মন্ত্রী বলেন, পুরো বছরে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবসময় মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মশা এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই থেকে বাড়ে। আমরা জানুয়ারি মাসেই এ বিষয়ে সভা করেছি। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এডিস মশার প্রজনন এবং ডেঙ্গুর বিস্তার সম্পূর্ণভাবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এটি হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, আজকে পৃথিবীর ১৪৮টি দেশে ডেঙ্গু মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাপক পর্যায় আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা যদি সচেতন না করতে পারতাম তাহলে আজ হয়তো ঢাকা শহরে পাঁচ-দশ লাখ আক্রান্ত হয়ে যেত।

আজকের সভায় কী নির্দেশনা দেওয়া হবে-জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রকে সংযুক্ত করা হবে। যেহেতু এডিস মশা এখন শুধুমাত্র ঢাকা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সে কারণে সারা দেশব্যাপী অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এখনই কাজ করার জন্য যাতে তারা অংশগ্রহণ করেন এবং শুরু করেন। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি সিটি করপোরেশনগুলোকে। অন্যান্য জেলাতেও আর্থিক এবং কারিগরি কী-কী সহায়তা দিতে পারি, সেজন্য আজকের এ সভা করা।

মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর অত্যন্ত পরিষ্কার শহর, কিন্তু সেখানেও এ মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় পাঁচ-সাত হাজারের মতো আক্রান্ত আছে। বিভিন্ন দেশেই আছে। আজ আমরা যেভাবে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সিটি করপোরেশনসহ যত প্রতিষ্ঠান আছে সবাই মিলে আমরা যেভাবে কাজ করছি সেখানে আমি মনে করি জনগণকে যদি আরও সম্পৃক্ত করতে পারতাম। যেটার চেষ্টা আমরা অব্যাহতভাবে করছি।

তিনি বলেন, আমরা টেলিভিশনে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছি। কীটনাশক ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমি একটা সাধারণ পদ্ধতির কথা বলি। আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম। মশারির ভেতরে অসংখ্য মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর স্প্রে করা হয়েছে। কয়েক মিনিট পর দেখা হয়েছে মশা মারা গেছে কি না। একইভাবে লার্ভাও দেখা হয়েছে। সেগুলো মারা গেছে কি না-এগুলো পরীক্ষা করে দেওয়া।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহর। সারা বাংলাদেশের আউটার জেলাগুলোতে হয়তো এ প্রথম তারা আক্রান্ত হচ্ছে। সতর্কতার জন্য একটু সময় লাগতে পারে, কিন্তু ঢাকা শহরে তো আমি মনে করি সব সচেতন হয়ে যেতে পারি। এখানে সব শিক্ষিত লোকজন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সেনাবাহিনীর টহল গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় আহত ৮ সেনাসদস্য

এডিস মশা নিধনে সবার অংশগ্রহণ জরুরি : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিধনে সবার অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে ‘সারাদেশে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে বিশেষ সভার (ভার্চুয়াল) আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্থাপনাগুলো পরিষ্কার করছেন না। এগুলো পরিষ্কার করে ফেলা হলে মশা সীমিত হয়ে যাবে। আমরা সবাই অবহিত যে, অন্যান্য বছর যদিও ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ কিছু-কিছু শহরকেন্দ্রিক ডেঙ্গু মশার আক্রমণ আমরা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এ বছর পুরো দেশেই এডিস মশার প্রজনন পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক লোকও আক্রান্ত হচ্ছে। এই আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দুঃখজনক মৃত্যুও হচ্ছে, যেটা আমাদেরকে ব্যাথিত করছে। এ বিষয়ে সারা পৃথিবীতে যেসব প্রচলিত তথ্য-উপাত্ত আছে, এডিস মশাকে মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার যেসব বিধিবিধান আছে, সেগুলোকে আমরা অনুসরণ করছি। পৃথিবীর বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসব গবেষণা করেছে, আমরা সেগুলোও সংগ্রহ করেছি।

তিনি বলেন, এডিশ মশাকে ধ্বংস করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারপরও মশার আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহরে এটার মাত্রা অতিরিক্ত। আমাদের অন্যান্য জেলা, উপজেলা, পৌরসভার অনেক জায়গায় লোক আক্রান্ত হচ্ছে। সে কারণে আমরা আজকে একটা জরুরি সভা ডেকেছি।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হয়েছিল দাবি করে মন্ত্রী বলেন, পুরো বছরে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবসময় মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মশা এবং ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই থেকে বাড়ে। আমরা জানুয়ারি মাসেই এ বিষয়ে সভা করেছি। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এডিস মশার প্রজনন এবং ডেঙ্গুর বিস্তার সম্পূর্ণভাবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এটি হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, আজকে পৃথিবীর ১৪৮টি দেশে ডেঙ্গু মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাপক পর্যায় আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা যদি সচেতন না করতে পারতাম তাহলে আজ হয়তো ঢাকা শহরে পাঁচ-দশ লাখ আক্রান্ত হয়ে যেত।

আজকের সভায় কী নির্দেশনা দেওয়া হবে-জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রকে সংযুক্ত করা হবে। যেহেতু এডিস মশা এখন শুধুমাত্র ঢাকা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সে কারণে সারা দেশব্যাপী অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এখনই কাজ করার জন্য যাতে তারা অংশগ্রহণ করেন এবং শুরু করেন। সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি সিটি করপোরেশনগুলোকে। অন্যান্য জেলাতেও আর্থিক এবং কারিগরি কী-কী সহায়তা দিতে পারি, সেজন্য আজকের এ সভা করা।

মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর অত্যন্ত পরিষ্কার শহর, কিন্তু সেখানেও এ মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় পাঁচ-সাত হাজারের মতো আক্রান্ত আছে। বিভিন্ন দেশেই আছে। আজ আমরা যেভাবে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সিটি করপোরেশনসহ যত প্রতিষ্ঠান আছে সবাই মিলে আমরা যেভাবে কাজ করছি সেখানে আমি মনে করি জনগণকে যদি আরও সম্পৃক্ত করতে পারতাম। যেটার চেষ্টা আমরা অব্যাহতভাবে করছি।

তিনি বলেন, আমরা টেলিভিশনে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছি। কীটনাশক ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমি একটা সাধারণ পদ্ধতির কথা বলি। আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম। মশারির ভেতরে অসংখ্য মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর স্প্রে করা হয়েছে। কয়েক মিনিট পর দেখা হয়েছে মশা মারা গেছে কি না। একইভাবে লার্ভাও দেখা হয়েছে। সেগুলো মারা গেছে কি না-এগুলো পরীক্ষা করে দেওয়া।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহর। সারা বাংলাদেশের আউটার জেলাগুলোতে হয়তো এ প্রথম তারা আক্রান্ত হচ্ছে। সতর্কতার জন্য একটু সময় লাগতে পারে, কিন্তু ঢাকা শহরে তো আমি মনে করি সব সচেতন হয়ে যেতে পারি। এখানে সব শিক্ষিত লোকজন।