Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক যুগ পরেও স্বজনরা কবর খুঁজে পাবেন : মেয়র আতিক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে আগে কবরস্থানে কবরের কোনো কোড নম্বর ছিল না। স্বজনকে কবর দিলে কয়েক বছর পর তা খুঁজে পাওয়া যেত না। কারণ নির্দিষ্ট সময় পরপর এক কবরের ওপর আরেক কবর দেওয়া হয়। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় একযুগ পর হলেও স্বজনরা কবর খুঁজে পাবেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবন অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা। আজকের ডাটা যদি থাকে, তাহলে অনেক বছর পরও তথ্য জানা যাবে। কবরস্থানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা থাকবে হাতের মুঠোয়। ডিএনসিসি আতওতাধীন ছয়টি কবরস্থানকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নিতে চাই। আমরা এর মাধ্যমে এমন সেবা দিতে চাই, যেন নগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন, তারাও যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পান। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবেন, কোথায় ফাঁকা আছে, এসবের সার্বিক তথ্যও পাওয়া যাবে। সিটি করপোরেশন স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নামে একটি অ্যাপ চালু করেছি। এর মাধ্যমে সব কবরের ডাটাবেজ থাকবে। কোন কবরের ওপর কাকে কবর দেওয়া হয়েছে তার ধারাবাহিকভাবে তালিকা থাকবে।

মেয়র বলেন, কবরস্থানে নির্দিষ্ট মেয়াদে কবর সংরক্ষণের খরচ আমরা বাড়িয়েছি, এর কারণ এমনিতেই কবরের জায়গার সঙ্কট। তাই কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসেন, আর সেটা যদি পার্মানেন্ট বা সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স আমরা আর ক্যাশে নিচ্ছি না। সব এখন হবে অনলাইনে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম শিগগিরই আমরা উদ্বোধন করবো। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান করছি। সবাইকে আমরা জবাবদিহির মধ্যে আনতে কাজ করে যাচ্ছি।

একটি অ্যাপের মাধ্যমে কবরস্থান ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে কবরস্থানে যাদের দাফন করা হবে, তাদের তথ্য থাকবে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া বহু পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর বসবে কবরস্থান সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য ডিএনসিসির অ্যাপের পাওয়া যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র ডিরেক্টর এল আরেফিন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এক যুগ পরেও স্বজনরা কবর খুঁজে পাবেন : মেয়র আতিক

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনে আগে কবরস্থানে কবরের কোনো কোড নম্বর ছিল না। স্বজনকে কবর দিলে কয়েক বছর পর তা খুঁজে পাওয়া যেত না। কারণ নির্দিষ্ট সময় পরপর এক কবরের ওপর আরেক কবর দেওয়া হয়। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় একযুগ পর হলেও স্বজনরা কবর খুঁজে পাবেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবন অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা। আজকের ডাটা যদি থাকে, তাহলে অনেক বছর পরও তথ্য জানা যাবে। কবরস্থানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা থাকবে হাতের মুঠোয়। ডিএনসিসি আতওতাধীন ছয়টি কবরস্থানকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় নিতে চাই। আমরা এর মাধ্যমে এমন সেবা দিতে চাই, যেন নগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন, তারাও যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পান। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবেন, কোথায় ফাঁকা আছে, এসবের সার্বিক তথ্যও পাওয়া যাবে। সিটি করপোরেশন স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নামে একটি অ্যাপ চালু করেছি। এর মাধ্যমে সব কবরের ডাটাবেজ থাকবে। কোন কবরের ওপর কাকে কবর দেওয়া হয়েছে তার ধারাবাহিকভাবে তালিকা থাকবে।

মেয়র বলেন, কবরস্থানে নির্দিষ্ট মেয়াদে কবর সংরক্ষণের খরচ আমরা বাড়িয়েছি, এর কারণ এমনিতেই কবরের জায়গার সঙ্কট। তাই কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসেন, আর সেটা যদি পার্মানেন্ট বা সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে।

তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স আমরা আর ক্যাশে নিচ্ছি না। সব এখন হবে অনলাইনে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম শিগগিরই আমরা উদ্বোধন করবো। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান করছি। সবাইকে আমরা জবাবদিহির মধ্যে আনতে কাজ করে যাচ্ছি।

একটি অ্যাপের মাধ্যমে কবরস্থান ব্যবস্থাপনাকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে কবরস্থানে যাদের দাফন করা হবে, তাদের তথ্য থাকবে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া বহু পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর বসবে কবরস্থান সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য ডিএনসিসির অ্যাপের পাওয়া যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও আইসিডিডিআর,বির সিনিয়র ডিরেক্টর এল আরেফিন প্রমুখ।