Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুশফিকদের বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

‘তাড়াতাড়ি ছবিটা তোলেন ভাই’ পরিচিত এক আলোকচিত্রকে ডেকে বললেন তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে অনুশীলনে ফেরার তাড়া তার।

হোম অব ক্রিকেটের এক প্রান্তে মঞ্চ সাজানো। স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে লাল-সবুজের স্বপ্ন সারথীরা করবেন ফটোসেশন। কিছুক্ষণ বাদেই ড্রেসিংরুম থেকে বের হলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। হাতে সোনালি ট্রফি। মিরপুরের মেঘলা আবহাওয়ায়ও যেন সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়েছে। ড্রেসিং রুম থেকে মুশফিক ট্রফি নিয়ে আসেন মঞ্চ পর্যন্ত। তার হাসি, উচ্ছ্বাস যেন থামছিলই না।

মুশফিক ট্রফি আনার আগেই মঞ্চে আসেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করান ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সাজানো মঞ্চে মুশফিক ট্রফি রাখেন।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ফটোসেশন।

সবাই একসঙ্গে তুললেন ছবি। তানজিদ হাসান তামিম বা তানজিম হাসান সাকিবের মতো একেবারে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকলেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরাও। তাদের সঙ্গে থাকলেন কোচিং স্টাফের প্রায় সব সদস্য। ছুটি কাটিয়ে না ফেরায় অবশ্য ছিলেন না হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু শামীমের

গ্রুপ ছবি তোলার পর আলাদা করেও ছবি তোলেন ক্রিকেটাররা। কখনো তানজিম সাকিব, কখনো ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব নেন রিশাদ হোসেন। ট্রফি ছেড়ে যাওয়ার আগে তো চুমুই এঁকে দিয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শুরুতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে যাওয়া তাসকিন আবার ফিরেছিলেন সাক্ষাৎকার দিতে। সেটি শেষে তিনি আরও এক দফা ছবি তুলেছেন।

ক্রিকেটারদের ছবি তোলার পর্বশেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের মাঝখানে উইকেটের ওপর। ওখানে শুরুতে ফটো-ভিডিও করা হয় আইসিসির জন্য। পরে ছবি তোলেন মাঠকর্মীরা। তাদের চোখেমুখেও ছিল স্পষ্ট উচ্ছ্বাস।

এরপর ট্রফি নিয়ে আসা হয় মিডিয়া প্লাজায়। ততক্ষণে অবশ্য কাঁচের বাক্সে বন্দি করা হয়। সেখানে বিকেএসপির ক্রিকেট বিভাগের ছাত্র, গণমাধ্যম কর্মী ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই ছবি তোলেন। এক পর্যায়ে আসেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার পর তার উচ্ছ্বাস যেন থামছেই না।

বাশার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ট্রফিটা ছুঁয়ে ধরতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকেই। যদি খোলা ট্রফিটা ধরতে পারতাম জেতার পরে, তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি, আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।

বিশ্বকাপ ছুঁয়ে রোমাঞ্চিত বাশার, বাড়ছে প্রত্যাশা

এই ট্রফির আশা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে বাশারের ভাষ্য, প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে আশা নিয়ে, দিন-দিন আশা বাড়ছে। আশা প্রতিবারই পরিবর্তন হচ্ছে, আর এবারের আশাটা শুধু আমার নয়, সবারই একটু বেশি। কারণ, গত দু’বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা ৫০ ওভারের সংস্করণে।

বাশার চলে যাওয়ার শেষ দিকে আসে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিগার সুলতানা জ্যোতি, সালমা খাতুনরা দলীয়ভাবে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন। সরাসরি ট্রফি দেখার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জ্যোতি বলেন, ‘আগে কখনো সামনা-সামনি দেখার সুযোগ হয়নি। ধন্যবাদ বিসিবি ও আমাদের নারী বিভাগকে, আমাদের এ সুযোগটা দেওয়ার জন্য এবং অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিল তাদের আসলে স্বপ্নের মতো ছিল বিশ্বকাপ ট্রফিকে সামনে থেকে দেখা।’

বিশ্বকাপে ছেলেদের কাছে সেরাটাই চান জ্যোতি 

বাংলাদেশ দলের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, অবশ্যই বলতে হয়, প্রত্যাশা বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের সবার খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি, প্লাস হচ্ছে জনগণেরও অনেক বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় সেরা দলটাই বোধ হয় এবার। যারা তরুণ খেলোয়াড় তারা খুব ভালো ছন্দে আছে এবং এ সংস্করণে আমরা খুব ভালো খেলি। সো ফার তাদের কাছ থেকে আমরা তো সেরাটাই আশা করব।

জ্যোতিদের ফটোসেশন শেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় শের-ই-বাংলার প্রেসিডেন্ট বক্সে। সেখানে ছবি তুলবেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ও বিসিবির কর্তারা। মিরপুরে কার্যক্রম শেষে আবার ট্রফি চলে যাবে হোটেলে। বুধবার (৯ আগস্ট) বসুন্ধরা সিটিতে সাধারণ দর্শক-ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সাধারাণ মানুষ ছবিও তুলতে পারবেন বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে। এর জন্য কোনো টিকিটও লাগবে না।

এর আগে, গত রোববার (৬ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্বকাপের ট্রফি আসে বাংলাদেশে। সোমবার (৭ আগস্ট) পদ্মা সেতুতে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় ফটোসেশনের জন্য। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মাওয়া পয়েন্টে রকাহ হয় ট্রফিটি।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যায় অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

মুশফিকদের বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখা

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

‘তাড়াতাড়ি ছবিটা তোলেন ভাই’ পরিচিত এক আলোকচিত্রকে ডেকে বললেন তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে অনুশীলনে ফেরার তাড়া তার।

হোম অব ক্রিকেটের এক প্রান্তে মঞ্চ সাজানো। স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে লাল-সবুজের স্বপ্ন সারথীরা করবেন ফটোসেশন। কিছুক্ষণ বাদেই ড্রেসিংরুম থেকে বের হলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। হাতে সোনালি ট্রফি। মিরপুরের মেঘলা আবহাওয়ায়ও যেন সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়েছে। ড্রেসিং রুম থেকে মুশফিক ট্রফি নিয়ে আসেন মঞ্চ পর্যন্ত। তার হাসি, উচ্ছ্বাস যেন থামছিলই না।

মুশফিক ট্রফি আনার আগেই মঞ্চে আসেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা। তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করান ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সাজানো মঞ্চে মুশফিক ট্রফি রাখেন।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ফটোসেশন।

সবাই একসঙ্গে তুললেন ছবি। তানজিদ হাসান তামিম বা তানজিম হাসান সাকিবের মতো একেবারে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকলেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরাও। তাদের সঙ্গে থাকলেন কোচিং স্টাফের প্রায় সব সদস্য। ছুটি কাটিয়ে না ফেরায় অবশ্য ছিলেন না হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু শামীমের

গ্রুপ ছবি তোলার পর আলাদা করেও ছবি তোলেন ক্রিকেটাররা। কখনো তানজিম সাকিব, কখনো ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব নেন রিশাদ হোসেন। ট্রফি ছেড়ে যাওয়ার আগে তো চুমুই এঁকে দিয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শুরুতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে যাওয়া তাসকিন আবার ফিরেছিলেন সাক্ষাৎকার দিতে। সেটি শেষে তিনি আরও এক দফা ছবি তুলেছেন।

ক্রিকেটারদের ছবি তোলার পর্বশেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের মাঝখানে উইকেটের ওপর। ওখানে শুরুতে ফটো-ভিডিও করা হয় আইসিসির জন্য। পরে ছবি তোলেন মাঠকর্মীরা। তাদের চোখেমুখেও ছিল স্পষ্ট উচ্ছ্বাস।

এরপর ট্রফি নিয়ে আসা হয় মিডিয়া প্লাজায়। ততক্ষণে অবশ্য কাঁচের বাক্সে বন্দি করা হয়। সেখানে বিকেএসপির ক্রিকেট বিভাগের ছাত্র, গণমাধ্যম কর্মী ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই ছবি তোলেন। এক পর্যায়ে আসেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার পর তার উচ্ছ্বাস যেন থামছেই না।

বাশার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ট্রফিটা ছুঁয়ে ধরতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকেই। যদি খোলা ট্রফিটা ধরতে পারতাম জেতার পরে, তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি, আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।

বিশ্বকাপ ছুঁয়ে রোমাঞ্চিত বাশার, বাড়ছে প্রত্যাশা

এই ট্রফির আশা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে বাশারের ভাষ্য, প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে আশা নিয়ে, দিন-দিন আশা বাড়ছে। আশা প্রতিবারই পরিবর্তন হচ্ছে, আর এবারের আশাটা শুধু আমার নয়, সবারই একটু বেশি। কারণ, গত দু’বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা ৫০ ওভারের সংস্করণে।

বাশার চলে যাওয়ার শেষ দিকে আসে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিগার সুলতানা জ্যোতি, সালমা খাতুনরা দলীয়ভাবে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন। সরাসরি ট্রফি দেখার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জ্যোতি বলেন, ‘আগে কখনো সামনা-সামনি দেখার সুযোগ হয়নি। ধন্যবাদ বিসিবি ও আমাদের নারী বিভাগকে, আমাদের এ সুযোগটা দেওয়ার জন্য এবং অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিল তাদের আসলে স্বপ্নের মতো ছিল বিশ্বকাপ ট্রফিকে সামনে থেকে দেখা।’

বিশ্বকাপে ছেলেদের কাছে সেরাটাই চান জ্যোতি 

বাংলাদেশ দলের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, অবশ্যই বলতে হয়, প্রত্যাশা বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের সবার খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি, প্লাস হচ্ছে জনগণেরও অনেক বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় সেরা দলটাই বোধ হয় এবার। যারা তরুণ খেলোয়াড় তারা খুব ভালো ছন্দে আছে এবং এ সংস্করণে আমরা খুব ভালো খেলি। সো ফার তাদের কাছ থেকে আমরা তো সেরাটাই আশা করব।

জ্যোতিদের ফটোসেশন শেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় শের-ই-বাংলার প্রেসিডেন্ট বক্সে। সেখানে ছবি তুলবেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ও বিসিবির কর্তারা। মিরপুরে কার্যক্রম শেষে আবার ট্রফি চলে যাবে হোটেলে। বুধবার (৯ আগস্ট) বসুন্ধরা সিটিতে সাধারণ দর্শক-ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সাধারাণ মানুষ ছবিও তুলতে পারবেন বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে। এর জন্য কোনো টিকিটও লাগবে না।

এর আগে, গত রোববার (৬ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্বকাপের ট্রফি আসে বাংলাদেশে। সোমবার (৭ আগস্ট) পদ্মা সেতুতে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় ফটোসেশনের জন্য। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মাওয়া পয়েন্টে রকাহ হয় ট্রফিটি।