Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে একসঙ্গে দুই বোনের বিসিএস জয়

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি  : 
বিসিএসে সাফল্য পেতে নানা প্রতিঘাত বাধা-বিপত্তি সহ্য করতে হয়। দিন, সপ্তাহ, মাস এমনকি বছরের পর বছর পরিশ্রম করতে হয়। এরপরেই আসে সাফল্য। আর সেই চেষ্টা পরিশ্রম বৃথা যায়নি একই মায়ের দুই সন্তান গুলে জান্নাত সুমি ও জান্নাতুন নাঈম খুশবুর। একসঙ্গে দুই বোন বিসিএস জয় করেছেন। এদের মধ্যে সুমি শিক্ষা ক্যাডারে আর ছোট বোন খুশবু কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
দুই বোন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এয়াকুব মিয়া ও রুপিয়া বেগমের মেয়ে। গুলে জান্নাত সুমি ২০০৭ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০-১১ সেশনে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
অপরদিকে জান্নাতুন নাঈম খুশবু ২০১১ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫, ২০১৩ সালে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচসএসসি, ২০১৪-১৫ সেশনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে।
সুমি বলেন, আমার বড় বোন জাহানারা ফেরদৌসী সুইটি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চাকরি করতেন। সবার থেকে আমি একটু রাগি। সবার মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে দূরে ভর্তি হই। তবে বাবা আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন। এছাড়া বড় বোন ও দুলাভাইও আমাকে সাপোর্ট করেছেন। ছোট বোন আমার পড়াশোনা দেখে উৎসাহ পায়। সেও আমার মত হতে চেষ্টা করে।
২০১৬ সালে প্রথম ৩৮তম বিসিএস দিয়ে সুমির বিসিএস যাত্রা শুরুর কথা জানিয়ে সুমি আরও বলেন, ৩৮তম বিসিএসে আশানুরূপ ফল না পেয়ে স্বপ্ন পূরণের জন্য পুনরায় নতুন উদ্যমে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেই। মূলত আমরা করনোর পুরো সময়টা কাজে লাগিয়েছি। দুইবোন একসঙ্গে পড়েছি। যাতে একজনের ভুল আরেকজন ধরিয়ে দিতে পারে। পুরো সময় ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে দুই বোন বিয়েও করিনি। আমাদের মধ্যে হতাশা ছিল কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে দেইনি। আমার মতে সুযোগ ও যোগ্যতা থাকলে সবারই চেষ্টা করা উচিত।
জান্নাতুন নাঈম খুশবু বলেন, আমি ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় বিসিএসের জন্য পড়ালেখা করি । যখন দেখতাম সিনিয়ররা বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হয়েছে, একজন আরেকজনকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে, আমারও খুব ইচ্ছা করতো। আমি স্বপ্ন দেখতাম একদিন আমিও বিসিএস জয় করবো। ক্যাম্পাসের সিনিয়রদের উৎসাহে আজ আমি সাফল্য অর্জন করেছি। শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে স্নাতক ও ২০২০ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করি। স্নাতকোত্তরের ফল এখনো অপ্রকাশিত। যখন ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় তখন আমি সদ্য গ্র্যাজুয়েট। তখনও চাকরির তেমন প্রস্তুতি শুরু করিনি। অনেকটা আনাড়ি মনোভাব নিয়েই প্রথমবারের মতো বিসিএসে অ্যাপ্লাই করে ফেলি। ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও করোনা মহামারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। আর আমিও প্রস্তুতির জন্য কিছু সুযোগ পেয়ে যাই। তখন থেকে শুরু হয় আমার বিসিএস প্রস্তুতি। যেহেতু প্রিলিমিনারি হয়েছিলো ২০২১ সালের ১৯ মার্চ, আমি এক বছরেরও বেশি সময় পাই। এ জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করি এবং আল্লাহর রহমতে প্রিলি-রিটেন পাস করি। এরই মধ্যে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে যোগদান করি এবং বর্তমানে কর্মরত আছি।
তিনি বলেন, যখন ৪১তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হয়, তখন তালিকায় স্থান পেয়ে সত্যিই আপ্লুত হয়েছি। ২০১৯ থেকে ২০২৩ এই দীর্ঘ সময়ের জার্নিতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য সর্বদা প্রার্থনা করেছি এবং সৃষ্টিকর্তা আমার প্রতি সদয় হয়েছেন বলেই আমি ৪১তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।
জান্নাতুন নাঈম খুশবু বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আমার কৃষি নিয়ে কাজ, গবেষনা করার স্বপ্ন আছে। কৃষিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। আমি সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে সর্বদা দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
সুমি ও খুশবু বলেন, বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় আমরা সফল হয়েছি। আমাদের কোনো ভাই নেই। বাবা-মা বলতেন, ‘আমাদের কোনো ছেলে নেই, তোমাদেরকেই আমাদের সম্মান রাখতে হবে। তোমাদের এমনভাবে তৈরি হতে হবে। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে হবে।’ পাশাপাশি বড় বোন ও দুলাভাই উৎসাহ দিয়েছেন। তাছাড়া কলেজের শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনরা উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের দোয়ায় আমরা আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি।
বাবা এয়াকুব মিয়া ও মা রুপিয়া বেগম বলেন, আমরা আজ অনেক আনন্দিত। তারা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।
হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন জসিম বলেন, ‘তারা দুই বোন আমাদের কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের এই ধারাবাহিক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত।
তাদের নিকটাত্মীয় হাজীগঞ্জ রান্ধুনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য জসিমউদ্দিন বলেন, কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় করে তাদের অর্জিত এ সাফল্যের আনন্দ তুলনাহীন। তারা ছাত্রাবস্থায় খুবই ভালো শিক্ষার্থী ছিলো।
হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহাকারী প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন বলেন, গুলে জান্নাত সুমি ২০০৭ সালে ও জান্নাতুন নাঈম খুশবু ২০১১ সালে আমাদের বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। তারা দু’বোন খুবই মেধাবী। তাদের সাফল্যে আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উচ্ছ্বসিত।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদপুরে একসঙ্গে দুই বোনের বিসিএস জয়

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি  : 
বিসিএসে সাফল্য পেতে নানা প্রতিঘাত বাধা-বিপত্তি সহ্য করতে হয়। দিন, সপ্তাহ, মাস এমনকি বছরের পর বছর পরিশ্রম করতে হয়। এরপরেই আসে সাফল্য। আর সেই চেষ্টা পরিশ্রম বৃথা যায়নি একই মায়ের দুই সন্তান গুলে জান্নাত সুমি ও জান্নাতুন নাঈম খুশবুর। একসঙ্গে দুই বোন বিসিএস জয় করেছেন। এদের মধ্যে সুমি শিক্ষা ক্যাডারে আর ছোট বোন খুশবু কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
দুই বোন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এয়াকুব মিয়া ও রুপিয়া বেগমের মেয়ে। গুলে জান্নাত সুমি ২০০৭ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০-১১ সেশনে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
অপরদিকে জান্নাতুন নাঈম খুশবু ২০১১ সালে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫, ২০১৩ সালে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচসএসসি, ২০১৪-১৫ সেশনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে।
সুমি বলেন, আমার বড় বোন জাহানারা ফেরদৌসী সুইটি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চাকরি করতেন। সবার থেকে আমি একটু রাগি। সবার মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে দূরে ভর্তি হই। তবে বাবা আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন। এছাড়া বড় বোন ও দুলাভাইও আমাকে সাপোর্ট করেছেন। ছোট বোন আমার পড়াশোনা দেখে উৎসাহ পায়। সেও আমার মত হতে চেষ্টা করে।
২০১৬ সালে প্রথম ৩৮তম বিসিএস দিয়ে সুমির বিসিএস যাত্রা শুরুর কথা জানিয়ে সুমি আরও বলেন, ৩৮তম বিসিএসে আশানুরূপ ফল না পেয়ে স্বপ্ন পূরণের জন্য পুনরায় নতুন উদ্যমে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেই। মূলত আমরা করনোর পুরো সময়টা কাজে লাগিয়েছি। দুইবোন একসঙ্গে পড়েছি। যাতে একজনের ভুল আরেকজন ধরিয়ে দিতে পারে। পুরো সময় ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে দুই বোন বিয়েও করিনি। আমাদের মধ্যে হতাশা ছিল কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে দেইনি। আমার মতে সুযোগ ও যোগ্যতা থাকলে সবারই চেষ্টা করা উচিত।
জান্নাতুন নাঈম খুশবু বলেন, আমি ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় বিসিএসের জন্য পড়ালেখা করি । যখন দেখতাম সিনিয়ররা বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হয়েছে, একজন আরেকজনকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে, আমারও খুব ইচ্ছা করতো। আমি স্বপ্ন দেখতাম একদিন আমিও বিসিএস জয় করবো। ক্যাম্পাসের সিনিয়রদের উৎসাহে আজ আমি সাফল্য অর্জন করেছি। শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে স্নাতক ও ২০২০ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করি। স্নাতকোত্তরের ফল এখনো অপ্রকাশিত। যখন ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় তখন আমি সদ্য গ্র্যাজুয়েট। তখনও চাকরির তেমন প্রস্তুতি শুরু করিনি। অনেকটা আনাড়ি মনোভাব নিয়েই প্রথমবারের মতো বিসিএসে অ্যাপ্লাই করে ফেলি। ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও করোনা মহামারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। আর আমিও প্রস্তুতির জন্য কিছু সুযোগ পেয়ে যাই। তখন থেকে শুরু হয় আমার বিসিএস প্রস্তুতি। যেহেতু প্রিলিমিনারি হয়েছিলো ২০২১ সালের ১৯ মার্চ, আমি এক বছরেরও বেশি সময় পাই। এ জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করি এবং আল্লাহর রহমতে প্রিলি-রিটেন পাস করি। এরই মধ্যে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে যোগদান করি এবং বর্তমানে কর্মরত আছি।
তিনি বলেন, যখন ৪১তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশিত হয়, তখন তালিকায় স্থান পেয়ে সত্যিই আপ্লুত হয়েছি। ২০১৯ থেকে ২০২৩ এই দীর্ঘ সময়ের জার্নিতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য সর্বদা প্রার্থনা করেছি এবং সৃষ্টিকর্তা আমার প্রতি সদয় হয়েছেন বলেই আমি ৪১তম বিসিএসে কৃষি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।
জান্নাতুন নাঈম খুশবু বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আমার কৃষি নিয়ে কাজ, গবেষনা করার স্বপ্ন আছে। কৃষিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। আমি সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে সর্বদা দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
সুমি ও খুশবু বলেন, বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় আমরা সফল হয়েছি। আমাদের কোনো ভাই নেই। বাবা-মা বলতেন, ‘আমাদের কোনো ছেলে নেই, তোমাদেরকেই আমাদের সম্মান রাখতে হবে। তোমাদের এমনভাবে তৈরি হতে হবে। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে হবে।’ পাশাপাশি বড় বোন ও দুলাভাই উৎসাহ দিয়েছেন। তাছাড়া কলেজের শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনরা উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের দোয়ায় আমরা আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি।
বাবা এয়াকুব মিয়া ও মা রুপিয়া বেগম বলেন, আমরা আজ অনেক আনন্দিত। তারা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।
হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন জসিম বলেন, ‘তারা দুই বোন আমাদের কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের এই ধারাবাহিক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত।
তাদের নিকটাত্মীয় হাজীগঞ্জ রান্ধুনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য জসিমউদ্দিন বলেন, কঠিন পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় করে তাদের অর্জিত এ সাফল্যের আনন্দ তুলনাহীন। তারা ছাত্রাবস্থায় খুবই ভালো শিক্ষার্থী ছিলো।
হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহাকারী প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন বলেন, গুলে জান্নাত সুমি ২০০৭ সালে ও জান্নাতুন নাঈম খুশবু ২০১১ সালে আমাদের বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে। তারা দু’বোন খুবই মেধাবী। তাদের সাফল্যে আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উচ্ছ্বসিত।