Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোসেনপুর পৌর সদরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ডা. আরিফুল ইসলাম জেলার হাওর অধ্যুষিত উপজেলা মিঠামইন সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি হোসেনপুর পৌর সদরের ফায়ার সার্ভিসের পূর্ব পাশের মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

রোববার (০৬ আগস্ট) হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ যখন মরদেহ উদ্ধার করে তখন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। মরদেহ ফ্যানের সাথে গামছা প্যাচানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ছোট ভাই ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করে। বিয়ের বছর খানেক পর থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে শ্বশুরবাড়িতে মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন। তারা দুজন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। ঝগড়া হলেই মীরার বড় ভাই আমাকে ফোন করে জানাতো। গত রাতে হঠাৎ করে পৌনে ২টার দিকে থানা থেকে ফোনে জানানো হয় আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে।

রাজিব আরও বলেন, আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা হয়তো পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আধুনিক প্রযুক্তির কারণে, বিলুপ্তির পথে লাঙ্গল

কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১০:০১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ঢেকিয়া এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোসেনপুর পৌর সদরের ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ডা. আরিফুল ইসলাম জেলার হাওর অধ্যুষিত উপজেলা মিঠামইন সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি হোসেনপুর পৌর সদরের ফায়ার সার্ভিসের পূর্ব পাশের মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

রোববার (০৬ আগস্ট) হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ যখন মরদেহ উদ্ধার করে তখন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। মরদেহ ফ্যানের সাথে গামছা প্যাচানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরিফুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম রাজিব বলেন, ছোট ভাই ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করে। বিয়ের বছর খানেক পর থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে শ্বশুরবাড়িতে মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন। তারা দুজন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখানে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। ঝগড়া হলেই মীরার বড় ভাই আমাকে ফোন করে জানাতো। গত রাতে হঠাৎ করে পৌনে ২টার দিকে থানা থেকে ফোনে জানানো হয় আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে।

রাজিব আরও বলেন, আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা হয়তো পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।