Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান : বুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশালকে বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের যে আওয়ামী লীগ সেটাও তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

রোববার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশনায়ক তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে প্রহসনের রায় প্রত্যাহারের’ দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্র চলে এক ব্যক্তির ইশারায় এমন মন্তব্য করে বুলু বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন কোনো ক্যু করে নয়, সিপাহী জনতার বিদ্রোহের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি ক্ষমতায় এসে বাকশালকে বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের যে আওয়ামী লীগ সেটাও তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আপনারা দেখেছেন গত শুক্রবার তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের রায়ের পর মাত্র পাঁচ ঘণ্টার নোটিশে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এর থেকে আপনাদের বোঝা উচিত বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে আপনাদের পতনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে আছে। আর ২৮ জুলাই প্রায় বিশ লাখ মানুষ ঢাকায় এসেছে, বিক্ষোভ করেছে, বক্তব্য শুনেছে। এরমধ্যে দিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের পতনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজকে একটিই প্রতিবন্ধকতা, একটিই মহামারি, একটিই ক্যান্সার; সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা। আপনি পদত্যাগ করলেই বাংলাদেশ বেঁচে যাবে।

বরকত উল্লা বুলু আরও বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু কিনবেন না। সারা বছরে আমরা ৩ হাজার কোটি টাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনি আর আর সোয়া লাখ কোটি টাকা আমরা গার্মেন্টস, চিংড়ি, মাছ, চামড়া, জুতাসহ রপ্তানি করি। আর বিভিন্নভাবে তারা আমাদের সাহায্য দেয়, অনুদান দেয়। আপনারা করোনার ভ্যাকসিনের ৮০% টাকা মেরে দিয়েছেন। এই ৮০% ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিনামূল্যে দিয়েছে, টাকা নেয়নি তারা। আর আপনারা বলেছেন ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন নাকি কিনেছেন আপনারা। এটারও একটি হিসাবপত্র আগামী দিনে প্রচারিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের রাষ্ট্রে পরিণত করবেন না। বাংলাদেশকে যদি আপনি বাঁচাতে চান তাহলে আপনি দেশি-বিদেশি বুদ্ধিজীবীদের সাথে আলোচনা করে কীভাবে পদত্যাগ করবেন, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাহলেই বাংলাদেশ বেঁচে যাবে; এর বাইরে বাংলাদেশের বাঁচার আর কোনো রাস্তা নেই।

বুলু বলেন, আজকে জনতা দেখেছে যে, তোমরা বিচার করছ। এই বিচার বাংলাদেশের মানুষ মানে না। কারণ তোমরা অন্যায়ভাবে বিচার করছ। তোমরা অন্যায়ভাবে মানুষকে সাজা দিচ্ছ। এক-এগারোর সময় তোমাদের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার মামলা হয়েছিল। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে পনেরটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলাগুলো তোমরা গায়েব করে ফেললা। আর বেগম খালেদা জিয়াকে দশ বছরের সাজা দিয়েছ। কিন্তু তিনি একদিনের সাজা পাওয়ার উপযুক্ত না, যে মামলা তোমরা দিয়েছ। তারেক রহমানকে যে সাজা দিয়েছ, এক ঘণ্টার জন্যও তার সাজা হয় না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দল একদিকে আর আওয়ামী লীগ শুধু একদিকে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ একদিকে আর আওয়ামী লীগের পঞ্চাশ লাখ কর্মী একদিকে। এটাই হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। এই বাস্তবতা আজকে শেখ হাসিনা আপনাকে মেনে নিতে হবে। তাই সময় থাকতে আপনি পদত্যাগ করে আপনার আওয়ামী লীগকে রক্ষা করেন।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফয়জুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আ.লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান : বুলু

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশালকে বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের যে আওয়ামী লীগ সেটাও তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

রোববার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশনায়ক তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে প্রহসনের রায় প্রত্যাহারের’ দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্র চলে এক ব্যক্তির ইশারায় এমন মন্তব্য করে বুলু বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন কোনো ক্যু করে নয়, সিপাহী জনতার বিদ্রোহের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি ক্ষমতায় এসে বাকশালকে বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের যে আওয়ামী লীগ সেটাও তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আপনারা দেখেছেন গত শুক্রবার তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের রায়ের পর মাত্র পাঁচ ঘণ্টার নোটিশে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এর থেকে আপনাদের বোঝা উচিত বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে আপনাদের পতনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে আছে। আর ২৮ জুলাই প্রায় বিশ লাখ মানুষ ঢাকায় এসেছে, বিক্ষোভ করেছে, বক্তব্য শুনেছে। এরমধ্যে দিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের পতনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজকে একটিই প্রতিবন্ধকতা, একটিই মহামারি, একটিই ক্যান্সার; সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা। আপনি পদত্যাগ করলেই বাংলাদেশ বেঁচে যাবে।

বরকত উল্লা বুলু আরও বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু কিনবেন না। সারা বছরে আমরা ৩ হাজার কোটি টাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনি আর আর সোয়া লাখ কোটি টাকা আমরা গার্মেন্টস, চিংড়ি, মাছ, চামড়া, জুতাসহ রপ্তানি করি। আর বিভিন্নভাবে তারা আমাদের সাহায্য দেয়, অনুদান দেয়। আপনারা করোনার ভ্যাকসিনের ৮০% টাকা মেরে দিয়েছেন। এই ৮০% ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিনামূল্যে দিয়েছে, টাকা নেয়নি তারা। আর আপনারা বলেছেন ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন নাকি কিনেছেন আপনারা। এটারও একটি হিসাবপত্র আগামী দিনে প্রচারিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের রাষ্ট্রে পরিণত করবেন না। বাংলাদেশকে যদি আপনি বাঁচাতে চান তাহলে আপনি দেশি-বিদেশি বুদ্ধিজীবীদের সাথে আলোচনা করে কীভাবে পদত্যাগ করবেন, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাহলেই বাংলাদেশ বেঁচে যাবে; এর বাইরে বাংলাদেশের বাঁচার আর কোনো রাস্তা নেই।

বুলু বলেন, আজকে জনতা দেখেছে যে, তোমরা বিচার করছ। এই বিচার বাংলাদেশের মানুষ মানে না। কারণ তোমরা অন্যায়ভাবে বিচার করছ। তোমরা অন্যায়ভাবে মানুষকে সাজা দিচ্ছ। এক-এগারোর সময় তোমাদের বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার মামলা হয়েছিল। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে পনেরটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলাগুলো তোমরা গায়েব করে ফেললা। আর বেগম খালেদা জিয়াকে দশ বছরের সাজা দিয়েছ। কিন্তু তিনি একদিনের সাজা পাওয়ার উপযুক্ত না, যে মামলা তোমরা দিয়েছ। তারেক রহমানকে যে সাজা দিয়েছ, এক ঘণ্টার জন্যও তার সাজা হয় না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দল একদিকে আর আওয়ামী লীগ শুধু একদিকে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ একদিকে আর আওয়ামী লীগের পঞ্চাশ লাখ কর্মী একদিকে। এটাই হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। এই বাস্তবতা আজকে শেখ হাসিনা আপনাকে মেনে নিতে হবে। তাই সময় থাকতে আপনি পদত্যাগ করে আপনার আওয়ামী লীগকে রক্ষা করেন।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফয়জুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।