মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় আট জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত চার জন। নিহত আট জনের মধ্যে তিন শিশু ও তিন নারী রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।
রোববার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় ডুবুরি দলের সদস্যরা।
এর আগে শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসের কাঠি এলাকার ডহুরি খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩৪ জন যাত্রী সাঁতার দিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কায়েস আহাম্মেদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত (রাত ১০টা) আট জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। ঢাকা থেকেও ডুবুরি দল আসছে।
যাত্রীরা জানান, পিকনিকের ট্রলারটি লৌহজং পদ্মা নদী থেকে ডহুরি তালতলা খার হয়ে সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পথে যাত্রীবাহী ওই ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয় একটি বাল্কহেড।
টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও নূরে আলম বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে দুইটি বাচ্চার মরদেহ আনা হয়। একজনের বয়স আট বছর, নাম রায়হান। অপরজনের বয়স পাঁচ মাস।’
স্থানীয় খিদিরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ঘটনাস্থলে এক নারীর মরদেহ রয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত আট জনের লাশ পাওয়া গেছে। ৩৪ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, নিহতদের সবাইকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে এটি ট্রলার ডুবে যায়। জানা গেছে, পারিবারিক একটি পিকনিকে সিরাজদিখান উপজেলার লুতব্দি ও লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া এলাকার মোট ৪৭ জন পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে লৌহজং উপজেলার তালতলা ডহরি খালের রসকাটি এলাকায় একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানান।