নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী। তারা জন্মগতভাবে সন্ত্রাসী দল। সেজন্য রাষ্ট্রটাকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলছে। এজন্য তারা রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করছে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছি, এই একই দাবি নিয়ে তারা গানপাউডার দিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিল। লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তারা নিজেরা সন্ত্রাসী হয়ে রাষ্ট্রকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলছে। দেশকে পুরোপুরি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র করে ফেলেছে।
আওয়ামী লীগ শিষ্টাচার জানে না এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কোন কালে ভালো ছিল? তারা কোনো কালেই ভালো ছিল না। তাদের ভদ্রতা বলতে কিছু নেই। এদের কাছে সুষ্ঠু কিছু আশা করা যায় না।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন। আমাদের এক কথা এক দাবি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপির জনসমর্থন দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে সরকার পুরোপুরি অন্যপন্থায় চলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ শিষ্টাচার জানে না। আওয়ামী লীগ কোনও কালেই ভদ্র ছিল না।
গয়েশ্বর, আমান, সালামকে নতুন করে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি আগের চেহারায় ফিরে এসেছে (২০১৩-২০১৪ সালের জ্বালা-পোড়ও) প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমিও আপনার সঙ্গে একমত, বিএনপি আগের চেহারায় ফিরে এসেছে। আর সেটা হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন, আন্দোলন। তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, বিএনপির প্রান্তিক বিষয়ক সম্পাদক অপর্ণা রায় চৌধুরী, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।