Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো : ছাত্রলীগ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রোদে পুড়বো, বৃষ্টিতে ভিজবো- তাও শেখ হাসিনার জন্য রাজপথে থাকার প্রত্যয় প্রকাশ করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা দল মত নির্বিশেষে শেখ হাসিনার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবো। শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।

রোববার (৩০ জুলাই) বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হোক, মাঠ থেকে এদের (বিএনপি) তাড়ানো পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। আজ বিদেশ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছুটির ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশনা দিয়েছে, সে জন্য তারা আজ উঠেপড়ে লেগেছে। সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন করলে পুরস্কৃত করা হবে, সে জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে।

আঘাত এলে মায়ের সন্তানরা বসে থাকবে না জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, আমাদের একজন মা রয়েছেন, যিনি শেখ হাসিনা। কিন্তু মায়ের সন্তানদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। আঘাত এলে মায়ের সন্তানরা বসে থাকবে না। তারাও পাল্টা আঘাত করতে জানে।

এসময় ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন সভাপতি। বলেন, দেশবিরোধী চক্রান্ত মোকাবিলায় মাঠে থাকতে হবে।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজকে আমরা দেখতে পারছি, আমাদের জীবনকে দুধভাত মনে করে আমাদের ওপর হামলা করছে বিএনপি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। বাংলার মাটিতে তাদের কোন স্থান হবে না। দেশের মানুষ আর তাদের চায় না। বাইরে থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে পুরস্কৃত করা হবে। তাই তারা ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশ ধ্বংস করতে চায়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তারা (বিএনপি) একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মতো সন্ত্রাসের স্পন্সর করে। আজ তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে, প্রমাণিত অপরাধ তারা করেছে। তারা বাহির থেকে অস্ত্র এনে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শর্টটার্ম অ্যাডভান্টেজ দিলেও লংটার্ম ডিজাস্টার তৈরি করেছে। আজ যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মূলা আর দেশের মানুষ চায় না। এই ফর্মূলা চোরের মায়ের বড় গলা আগে বলা হতো বুঝানোর জন্য যে, চোর তারেকের মা’র গলা বড়। কিন্তু এখন বলা হয়, চোরের মহাসচিবের বড় গলা। মির্জা ফখরুল নামে একজন শিক্ষক হলেও তিনি দুর্নীতিবাজ, রাজাকারদের দালাল হিসেবে কাজ করছেন।

সম্প্রতি সরকারি বাঙলা কলেজের ঘটনাকে নির্দেশ করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজ আমাদের ছেলেমেয়েরা চার বছরে পড়ালেখা শেষ করে চাকরিতে প্রবেশ করছে, এটি তাদের সহ্য হচ্ছে না। সবভাবে যখন ব্যর্থ, তখন তারা কীসের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলো?

সাদ্দাম বলেন, ব্রিটিশরা যেমন কাশিমবাজারে কুঠি গেড়ে উপনিবেশ গড়ে তোলে, সেভাবে নয়াপল্টনে কাশিমবাজার কুঠি গেড়ে বিদেশিদের ষড়যন্ত্রে জনগণের আশ্রয়ের ঠিকানা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চাচ্ছে।

বিদেশিরা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে- এটা কি আমাদের জন্য সম্মানজনক? কখনোই না। আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে কেউ মশকরা করবে তা হয় না। আমরাই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবো, বলেন সাদ্দাম।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীমসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে বিভিন্ন নেতা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো : ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রোদে পুড়বো, বৃষ্টিতে ভিজবো- তাও শেখ হাসিনার জন্য রাজপথে থাকার প্রত্যয় প্রকাশ করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা দল মত নির্বিশেষে শেখ হাসিনার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবো। শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।

রোববার (৩০ জুলাই) বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, যতই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হোক, মাঠ থেকে এদের (বিএনপি) তাড়ানো পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। আজ বিদেশ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছুটির ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশনা দিয়েছে, সে জন্য তারা আজ উঠেপড়ে লেগেছে। সন্ত্রাসী কায়দায় আন্দোলন করলে পুরস্কৃত করা হবে, সে জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে।

আঘাত এলে মায়ের সন্তানরা বসে থাকবে না জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, আমাদের একজন মা রয়েছেন, যিনি শেখ হাসিনা। কিন্তু মায়ের সন্তানদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। আঘাত এলে মায়ের সন্তানরা বসে থাকবে না। তারাও পাল্টা আঘাত করতে জানে।

এসময় ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন সভাপতি। বলেন, দেশবিরোধী চক্রান্ত মোকাবিলায় মাঠে থাকতে হবে।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজকে আমরা দেখতে পারছি, আমাদের জীবনকে দুধভাত মনে করে আমাদের ওপর হামলা করছে বিএনপি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। বাংলার মাটিতে তাদের কোন স্থান হবে না। দেশের মানুষ আর তাদের চায় না। বাইরে থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে পুরস্কৃত করা হবে। তাই তারা ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশ ধ্বংস করতে চায়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তারা (বিএনপি) একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মতো সন্ত্রাসের স্পন্সর করে। আজ তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে, প্রমাণিত অপরাধ তারা করেছে। তারা বাহির থেকে অস্ত্র এনে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শর্টটার্ম অ্যাডভান্টেজ দিলেও লংটার্ম ডিজাস্টার তৈরি করেছে। আজ যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মূলা আর দেশের মানুষ চায় না। এই ফর্মূলা চোরের মায়ের বড় গলা আগে বলা হতো বুঝানোর জন্য যে, চোর তারেকের মা’র গলা বড়। কিন্তু এখন বলা হয়, চোরের মহাসচিবের বড় গলা। মির্জা ফখরুল নামে একজন শিক্ষক হলেও তিনি দুর্নীতিবাজ, রাজাকারদের দালাল হিসেবে কাজ করছেন।

সম্প্রতি সরকারি বাঙলা কলেজের ঘটনাকে নির্দেশ করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজ আমাদের ছেলেমেয়েরা চার বছরে পড়ালেখা শেষ করে চাকরিতে প্রবেশ করছে, এটি তাদের সহ্য হচ্ছে না। সবভাবে যখন ব্যর্থ, তখন তারা কীসের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলো?

সাদ্দাম বলেন, ব্রিটিশরা যেমন কাশিমবাজারে কুঠি গেড়ে উপনিবেশ গড়ে তোলে, সেভাবে নয়াপল্টনে কাশিমবাজার কুঠি গেড়ে বিদেশিদের ষড়যন্ত্রে জনগণের আশ্রয়ের ঠিকানা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চাচ্ছে।

বিদেশিরা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে- এটা কি আমাদের জন্য সম্মানজনক? কখনোই না। আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে কেউ মশকরা করবে তা হয় না। আমরাই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবো, বলেন সাদ্দাম।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীমসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে বিভিন্ন নেতা।