Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাহিরপুরে ২৯ বছরেও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হাওরবেষ্টিত ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হলো বাদাঘাট-তাহিরপুর সড়ক। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির নির্মাণকাজ গত ২৯ বছরেও শেষ হয়নি। প্রতি বছরই সড়কটি মেরামতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এতে উপজেলার তাহিরপুর সদর, বালিজুরী, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর শ্রীপুর, বড়দল উত্তর, বড়দল দক্ষিণ ও বাদাঘাট সাত ইউনিয়নবাসী গত ২৯ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

উপজেলা সদর ও উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটের সঙ্গে সাত ইউনিয়নবাসীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় সময়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে তাহিরপুর সদর, বালিজুরী, শ্রীপুর দক্ষিণ, শ্রীপুর উত্তর ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন হাওর এলাকায় অবস্থিত। বর্ষাকালে হাওরপাড়ের সবাই নৌকাযোগে বাদাঘাট বাজারে আসা-যাওয়া করে।

বাদাঘাট বাজারের সবজি বিক্রেতা শহিদ মিয়া বলেন, পাইকারি দরে সবজি কিনে নিয়ে তাহিরপুর বাজারে বিক্রি করেন। সড়কপথে পরিবহন করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। মালামাল নিয়ে আসার পথে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের ১০টি স্থানে ওঠানামা করতে হয়।

উপজেলা সদরের উজান তাহিরপুর গ্রামের শিক্ষক গোলাম সরোয়ার লিটন বলেন, বাদাঘাট থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে তাহিরপুরে রওয়ানা হয়েছিলাম। হুছনারঘাট পর্যন্ত নৌকায় পাড় হয়ে বাকি রাস্তাটুকু মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি।

এলজিইডি তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খান বলেন, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর উড়াল সেতু প্রকল্পভুক্ত। তাই এখন আর সড়কে বড় ধরনের কোনো কাজ হবে না। ছোটখাটো যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমরা সেটুকু মেরামত করে দেই।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি উড়াল সড়কের আওতায় এসেছে। একনেক সভায় এটি অনুমোদন হয়েছে। শিগিগরই এ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

আবহাওয়া

ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে হাইওয়ে থানার ওসিসহ ৬ জনকে প্রত্যাহার

তাহিরপুরে ২৯ বছরেও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণকাজ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হাওরবেষ্টিত ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক হলো বাদাঘাট-তাহিরপুর সড়ক। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির নির্মাণকাজ গত ২৯ বছরেও শেষ হয়নি। প্রতি বছরই সড়কটি মেরামতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এতে উপজেলার তাহিরপুর সদর, বালিজুরী, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর শ্রীপুর, বড়দল উত্তর, বড়দল দক্ষিণ ও বাদাঘাট সাত ইউনিয়নবাসী গত ২৯ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

উপজেলা সদর ও উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটের সঙ্গে সাত ইউনিয়নবাসীর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় সময়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে তাহিরপুর সদর, বালিজুরী, শ্রীপুর দক্ষিণ, শ্রীপুর উত্তর ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন হাওর এলাকায় অবস্থিত। বর্ষাকালে হাওরপাড়ের সবাই নৌকাযোগে বাদাঘাট বাজারে আসা-যাওয়া করে।

বাদাঘাট বাজারের সবজি বিক্রেতা শহিদ মিয়া বলেন, পাইকারি দরে সবজি কিনে নিয়ে তাহিরপুর বাজারে বিক্রি করেন। সড়কপথে পরিবহন করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। মালামাল নিয়ে আসার পথে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের ১০টি স্থানে ওঠানামা করতে হয়।

উপজেলা সদরের উজান তাহিরপুর গ্রামের শিক্ষক গোলাম সরোয়ার লিটন বলেন, বাদাঘাট থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে তাহিরপুরে রওয়ানা হয়েছিলাম। হুছনারঘাট পর্যন্ত নৌকায় পাড় হয়ে বাকি রাস্তাটুকু মোটরসাইকেল চালিয়ে এসেছি।

এলজিইডি তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খান বলেন, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি প্রধানমন্ত্রীর উড়াল সেতু প্রকল্পভুক্ত। তাই এখন আর সড়কে বড় ধরনের কোনো কাজ হবে না। ছোটখাটো যেটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমরা সেটুকু মেরামত করে দেই।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি উড়াল সড়কের আওতায় এসেছে। একনেক সভায় এটি অনুমোদন হয়েছে। শিগিগরই এ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।