নিজস্ব প্রতিবেদক :
নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অযথা ঘোরাঘুরি না করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছেন রিজভী।
দলের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় এসেছে বলে দাবি বিএনপির। তবে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নিলেও নেতাকর্মীদের আনাগোনা বেড়েছে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
অন্যদিকে নয়াপল্টনে বুধবার থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাই যাতে করে অযথা গ্রেফতার বা হয়রানির শিকারের হতে না হয় সেজন্য নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মহাসমাবেশ সফল করতে সবাইকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের জন্য হোটেল, মেস ও বাসাবাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। প্রতিনিয়ত আমরা গ্রেফতারের খবর পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে হাজার ছাড়িয়েছে।
রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মুনতাহা আলীকে বুধবার রাতে তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় আশরাফ আলী গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এছাড়া বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনের কাছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে হোটেল ও ভিক্টোরিয়া হোটেলেও অভিযান চালায় পুলিশ। মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ৩০০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে তারা।