Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ফের ট্রেন চলবে আগস্টে, ঢাকা-মাওয়া সেপ্টেম্বরে : রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দীর্ঘ প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর কমলাপুর থেকে গ্যাংকারে চড়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা লিংক প্রকল্পের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। আগামী পহেলা আগস্ট থেকে এই পথে সচল করে দেওয়া হবে। প্রকল্প থেকে ঠিকাদার নিজেকে প্রত্যাহার ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের সঙ্গে পদ্মা লিংকের সমন্বয়সহ বিভিন্ন কারণে এই পথে রেল সেবা সচল করা যায়নি। প্রকল্পটি শুরুতে ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইনের ছিল। আমরা এই প্রকল্পকে পূণর্বিবেচনা করে ডাবল লেনে পরিবর্তিত করেছি। এটি একনেকে পাস হয়েছে। আমাদের এই প্রকল্পের জন্য আবার নতুন করে টেন্ডার করতে হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে। কবে আপাতত পহেলা আগস্ট থেকে আগের মতো ট্রেন চলাচল করবে।

তিনি বলেন, চাষাঢ়া রেল ক্রসিংয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওভার পাস বা আন্ডার পাসের দাবি করে আসছিলেন। রেলে পক্ষে উপরে যাওয়া সম্ভব নয়। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, শহর এলাকায় নানা ইউটিলিটি সার্ভিস জড়িত থাকায় যথা সময় জমি হস্তান্তর করতে না পারা ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ঠিকাদার প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাই আমরা নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ঢাকা-যশোর পর্যন্ত মোট ১৭১ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতুকে অতিক্রম করে প্রকল্পটি অগ্রসর হচ্ছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। এখন কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রায়াল লেন শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল লেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হবে। তিনি সময় দিলেই উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল প্রকল্পের কাজ শেষ করে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের মধ্যেই রেল চলাচল চালু কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।

এ সময় পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে পরিচালক সেলিম রউফ ও বিআরএম সফিকুল ইসলামসহ রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে গেণ্ডারিয়া অংশে তিনটি আলাদা রেললাইনের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সব ট্রেন গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.১ কিলোমিটার। এ রুটে প্রতিদিন ২৬টি ট্রেনে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত করতো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ফের ট্রেন চলবে আগস্টে, ঢাকা-মাওয়া সেপ্টেম্বরে : রেলমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দীর্ঘ প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর কমলাপুর থেকে গ্যাংকারে চড়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা লিংক প্রকল্পের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। আগামী পহেলা আগস্ট থেকে এই পথে সচল করে দেওয়া হবে। প্রকল্প থেকে ঠিকাদার নিজেকে প্রত্যাহার ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের সঙ্গে পদ্মা লিংকের সমন্বয়সহ বিভিন্ন কারণে এই পথে রেল সেবা সচল করা যায়নি। প্রকল্পটি শুরুতে ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইনের ছিল। আমরা এই প্রকল্পকে পূণর্বিবেচনা করে ডাবল লেনে পরিবর্তিত করেছি। এটি একনেকে পাস হয়েছে। আমাদের এই প্রকল্পের জন্য আবার নতুন করে টেন্ডার করতে হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে। কবে আপাতত পহেলা আগস্ট থেকে আগের মতো ট্রেন চলাচল করবে।

তিনি বলেন, চাষাঢ়া রেল ক্রসিংয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ওভার পাস বা আন্ডার পাসের দাবি করে আসছিলেন। রেলে পক্ষে উপরে যাওয়া সম্ভব নয়। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, শহর এলাকায় নানা ইউটিলিটি সার্ভিস জড়িত থাকায় যথা সময় জমি হস্তান্তর করতে না পারা ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ঠিকাদার প্রকল্প থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাই আমরা নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ঢাকা-যশোর পর্যন্ত মোট ১৭১ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতুকে অতিক্রম করে প্রকল্পটি অগ্রসর হচ্ছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। এখন কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রায়াল লেন শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল লেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক রেল চলাচলের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হবে। তিনি সময় দিলেই উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল প্রকল্পের কাজ শেষ করে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের মধ্যেই রেল চলাচল চালু কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।

এ সময় পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে পরিচালক সেলিম রউফ ও বিআরএম সফিকুল ইসলামসহ রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে গেণ্ডারিয়া অংশে তিনটি আলাদা রেললাইনের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী সব ট্রেন গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.১ কিলোমিটার। এ রুটে প্রতিদিন ২৬টি ট্রেনে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াত করতো।