Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিরো আলম ইস্যুতে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নির্বাচনের সময় ঘটা এই সহিংসতার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওয়াশিংটন নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকার একটি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানতে চান।

ওই সাংবাদিক বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া ফিরে আসার পর বাংলাদেশের সরকার আবার বিরোধীদের ওপর আক্রমণের অবস্থানে ফিরে এসেছে এবং গতকাল একটি উপনির্বাচন হয়েছে। যদিও প্রধান বিরোধীরা এটি বয়কট করেছে, তারপরও এতে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে রয়েছেন। এই উপনির্বাচনে ১০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। আর তাই কিভাবে আপনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন, কেননা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ছিল না এবং সর্বশেষ উপ-নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং প্রার্থীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কি? আপনারা কি এগুলো দেখছেন?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি। যারা এই ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমি বলব – যেমনটি আমরা আগেই বলেছি – আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে এবং আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।

এ সময় ওই সাংবাদিক নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের (শামীম ওসমান) সামনে বিক্ষোভ দেখানো এক বিরোধীদলীয় কর্মীর গ্রামের বাড়িতে হামলার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসে ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে কথা বলে বা প্রতিবাদ করে, তাহলে দেশে তার পরিবারের নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

এর জবাবেও ম্যাথু মিলার একই কথা বলেন। তিনি বলেন, যে ধরনের হামলার কথা বলা হলো, গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার কোনো স্থান নেই।

প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষের দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রের সামনে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) একতারা প্রতীকে পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। তবে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন আলোচিত এই ইউটিউবার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

হিরো আলম ইস্যুতে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচনে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নির্বাচনের সময় ঘটা এই সহিংসতার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওয়াশিংটন নির্বাচন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকার একটি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানতে চান।

ওই সাংবাদিক বলেন, আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া ফিরে আসার পর বাংলাদেশের সরকার আবার বিরোধীদের ওপর আক্রমণের অবস্থানে ফিরে এসেছে এবং গতকাল একটি উপনির্বাচন হয়েছে। যদিও প্রধান বিরোধীরা এটি বয়কট করেছে, তারপরও এতে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে রয়েছেন। এই উপনির্বাচনে ১০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। আর তাই কিভাবে আপনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন, কেননা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ছিল না এবং সর্বশেষ উপ-নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি এবং প্রার্থীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কি? আপনারা কি এগুলো দেখছেন?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উৎসাহিত করি। যারা এই ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলি।

তিনি আরও বলেন, আমি বলব – যেমনটি আমরা আগেই বলেছি – আমরা আশা করব, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে এবং আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব।

এ সময় ওই সাংবাদিক নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের (শামীম ওসমান) সামনে বিক্ষোভ দেখানো এক বিরোধীদলীয় কর্মীর গ্রামের বাড়িতে হামলার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসে ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে কথা বলে বা প্রতিবাদ করে, তাহলে দেশে তার পরিবারের নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

এর জবাবেও ম্যাথু মিলার একই কথা বলেন। তিনি বলেন, যে ধরনের হামলার কথা বলা হলো, গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার কোনো স্থান নেই।

প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষের দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রের সামনে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) একতারা প্রতীকে পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। তবে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন আলোচিত এই ইউটিউবার।