Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করে তীরে তোলা হয়েছে। তবে এখনো তল্লাশি অভিযান চলমান রেখেছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

এদিন সকাল ছয়টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। পরবর্তীতে সকাল ৮ টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ওয়াটার বাসটিকে টেনে তোলে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত- এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে জীবিত ও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে লিমা খানম বলেন, ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূর তেলেঘাটে এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আমাদের তল্লাশি অভিযান চলমান রয়েছে। কারণ, ওয়াটার বাসটিকে টেনে আনার সময় অনেকের দেহ পানির চাপে দূরে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে আমাদের টহল টিম এখনো আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাতের পর এখন পর্যন্ত আর কোনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধার কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

এর আগে রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গার নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সরকারি ওয়াটার বাসটির। সঙ্গে সঙ্গে এটি ডুবে যায়। বাসডুবির এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও জীবিতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া এ ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করে তীরে তোলা হয়েছে। তবে এখনো তল্লাশি অভিযান চলমান রেখেছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

এদিন সকাল ছয়টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। পরবর্তীতে সকাল ৮ টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ওয়াটার বাসটিকে টেনে তোলে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত- এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে জীবিত ও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে লিমা খানম বলেন, ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূর তেলেঘাটে এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আমাদের তল্লাশি অভিযান চলমান রয়েছে। কারণ, ওয়াটার বাসটিকে টেনে আনার সময় অনেকের দেহ পানির চাপে দূরে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে আমাদের টহল টিম এখনো আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গতকাল রাতের পর এখন পর্যন্ত আর কোনো মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধার কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

এর আগে রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গার নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সরকারি ওয়াটার বাসটির। সঙ্গে সঙ্গে এটি ডুবে যায়। বাসডুবির এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও জীবিতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া এ ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।