Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু টানেলের সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল নির্ধারণ করেছে সেতু বিভাগ। টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা ধরা হয়েছে প্রাইভেট কার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে যোগ হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সেতু বিভাগ যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী টোল হার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে নির্মিত এই টানেলের ভেতর দিয়ে ১২ ধরনের যানের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এই টানেলে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না।

তিন দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলে প্রাইভেটকার ও পিকআপকে টোল দিতে হবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৩০০ টাকা। ৩২ আসনের বেশি বাসের টোল ৪০০ টাকা। তিন এক্সেল বিশিষ্ট বড় বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

এদিকে পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের টোল দিতে হবে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাককে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাক পারাপারের জন্য ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলের ট্রেইলারের টোল লাগবে ৮০০ টাকা। আর চার এক্সেলের ট্রেইলারে এক হাজার টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা টোল দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, টানেলটি চালু হলে ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন পারাপার হবে। আর ২০৩০ সালে সম্ভাব্য ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।

টানেল যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনের অপেক্ষায় বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার, টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক, বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বঙ্গবন্ধু টানেলের সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা

প্রকাশের সময় : ০২:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল নির্ধারণ করেছে সেতু বিভাগ। টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা ধরা হয়েছে প্রাইভেট কার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে যোগ হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সেতু বিভাগ যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী টোল হার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে নির্মিত এই টানেলের ভেতর দিয়ে ১২ ধরনের যানের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এই টানেলে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না।

তিন দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলে প্রাইভেটকার ও পিকআপকে টোল দিতে হবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৩০০ টাকা। ৩২ আসনের বেশি বাসের টোল ৪০০ টাকা। তিন এক্সেল বিশিষ্ট বড় বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

এদিকে পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের টোল দিতে হবে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাককে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাক পারাপারের জন্য ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলের ট্রেইলারের টোল লাগবে ৮০০ টাকা। আর চার এক্সেলের ট্রেইলারে এক হাজার টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা টোল দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, টানেলটি চালু হলে ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন পারাপার হবে। আর ২০৩০ সালে সম্ভাব্য ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।

টানেল যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনের অপেক্ষায় বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে যান চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার, টানেল টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ভেতরের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক, বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)।