Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :  

নয়াপল্টনে সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে সমাবেশের জন্য মঞ্চও প্রস্তুত করা হয়েছে। ছয়টি ট্রাক দিয়ে এই অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশে অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের মৎস্যভবনসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা বিএনপির এক কর্মী আমজাদ বলেন, আগের দিন রাতেই তৈরি হয়ে ছিলাম। ফজরের নামাজের পরপরই গাড়ি ছাড়ে। এখানে এসে পৌঁছাতে ৯টা বাজে।’ এ সময় তিনি জানান সরকার পদত্যাগ করা না পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরবেন না।

গাজীপুর শ্রীপুর থানার বর্রমী ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২০০-এর বেশি কর্মী নিয়ে এসেছেন জানিয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে করে সকাল সাড়ে ৮টায় এসে কমলাপুর পৌঁছাইছি। সেখান থেকে সমাবেশে এলাম। এবার ১০০ পার্সেন্ট শক্তি নিয়ে নামছি। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

রাজধানীর লালবাগ এলাকার চা বিক্রেতা সবুর আলি একাই সমাবেশে এসেছেন। তিনি বলেন, গতকাল থেকেই ইচ্ছা ছিল সমাবেশে আসবো। কী হইবো জানি না। দেখতে আসছি কত মানুষ আসছে। মানুষ দেইখা তো মনে হয় এইবার আর বিএনপিরে ফিরাইতে পারবো না।

জানা গেছে, আজকের সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের একদফা ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে রাজপথে বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা এবং সফল করার ঘোষণা প্রদান করছি।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :  

নয়াপল্টনে সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে সমাবেশের জন্য মঞ্চও প্রস্তুত করা হয়েছে। ছয়টি ট্রাক দিয়ে এই অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাবেশে অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের মৎস্যভবনসহ নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা বিএনপির এক কর্মী আমজাদ বলেন, আগের দিন রাতেই তৈরি হয়ে ছিলাম। ফজরের নামাজের পরপরই গাড়ি ছাড়ে। এখানে এসে পৌঁছাতে ৯টা বাজে।’ এ সময় তিনি জানান সরকার পদত্যাগ করা না পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরবেন না।

গাজীপুর শ্রীপুর থানার বর্রমী ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২০০-এর বেশি কর্মী নিয়ে এসেছেন জানিয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে করে সকাল সাড়ে ৮টায় এসে কমলাপুর পৌঁছাইছি। সেখান থেকে সমাবেশে এলাম। এবার ১০০ পার্সেন্ট শক্তি নিয়ে নামছি। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

রাজধানীর লালবাগ এলাকার চা বিক্রেতা সবুর আলি একাই সমাবেশে এসেছেন। তিনি বলেন, গতকাল থেকেই ইচ্ছা ছিল সমাবেশে আসবো। কী হইবো জানি না। দেখতে আসছি কত মানুষ আসছে। মানুষ দেইখা তো মনে হয় এইবার আর বিএনপিরে ফিরাইতে পারবো না।

জানা গেছে, আজকের সমাবেশ থেকে যুগপৎ আন্দোলনের একদফা ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আসবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে রাজপথে বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা এবং সফল করার ঘোষণা প্রদান করছি।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।