Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে : জ্যোতি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • ২০৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে এখনো টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৮ ম্যাচে। পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়ানডে এখনো তাদের বিপক্ষে জয়হীন বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে দুটিতে। ঘরের মাঠে রোববার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এরপর আছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ঘরের মাঠে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে সিরিজ জেতার আশা বাংলাদেশের মেয়েদের।

শনিবার (৮ জুলাই) প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে এই আশার কথা জানিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও কোচ হাসান তিলকরত্নে। ছয় ম্যাচের মধ্যে কতটি জেতার লক্ষ্য আছে বাংলাদেশের এমন প্রশ্নে জ্যোতি প্রশ্নকর্তার কাছে পাল্টা জানতে চান, একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয়, আপনার লক্ষ্য কী? কোনটা করলে আপনাদের বেশি ভালো লাগবে? ছয় ম্যাচে কয়টা ম্যাচ আমাদের জেতা উচিত?’

জ্যোতি বলেন, প্রথমত দেখেন, অনেকদিন পর আমাদের এখানে খেলা, আমাদের রোমাঞ্চ কাজ করছে। এর চেয়ে বেশি কাজ করছে, আমাদের ভালো করার ইচ্ছে। কারণ আমরা জানি যতই ভালো ক্রিকেট খেলি, যদি জিততে না পারি সেক্ষেত্রে সেই ভালোটার মর্ম থাকে না। এই মোমেন্টামটা পিক করার জন্য অপেক্ষা করে আছি। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে খেলতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ জিতছি না। হয়তো দেখা যাচ্ছে, একটা ম্যাচ জিততেছি। আমরা চাচ্ছি ধারবাহিকভাবে ভালো খেলার। এতে জেতার হারটা বেড়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে উন্নতি করছে, আমাদের জয়ের হারটা আরও বাড়াতে হবে। পুরো দলেরও এটাই ইচ্ছা।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনও সিরিজ জিততে পারেনি, তাই এবার সেটি হলে ইতিহাস তৈরি হবে বলে মনে করে জ্যোতি বলেন, এটা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনারা এটা বিশ্বাস করছেন কিনা। আপনারা কি বিশ্বাস করছেন আমরা তাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারব? আমাদের বিশ্বাস আছে, আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলব। সবচেয়ে বড় কথা সিরিজ জয় সবাই-ই চায়। বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের পতাকা ওড়ানোর মতো আনন্দের কিছু হতে পারে না। আমরা পুরো দল জানি যে, এই মাঠে আমাদের জন্য ম্যাচ জেতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে এবং এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

ভারতের ভালো ভালো ক্রিকেটার থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন তাদের বোলিং লাইন বিশ্বের অন্যতম সেরা, ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমনপ্রীত, স্মৃতি ও শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে ওঠে না। দুই একজন বেটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা মতো সঠিক বোলিং করতে পারি এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

ভারতের বিপক্ষে এখন অবধি ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জয় এসেছে স্রেফ দুটিতে। সেগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া ২০১৮ এশিয়া কাপে। দুই দলের শক্তির ব্যবধান স্পষ্ট হলেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব একটা ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তিনি বলেন, আমি চাচ্ছি না ওদেরকে নিয়ে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে। আমার মনে হয়, আমাদের ক্রিকেটাররা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে তখন আমার কাছে মনে হয় আমরা ভালো ফল পাবো। ওরা আমাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে এসেছে, আমরা কিন্তু সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে এসেছি। এফটিপিতে আছি। নিয়মিত ভিত্তিতে ম্যাচ খেলবো। খেলতে খেলতে কিন্তু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের কাছেও সেই সুযোগ আছে, ম্যাচ খেলে খেলে অভিজ্ঞ হওয়ার। ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমানপ্রীত আছে, স্মৃতি আছে, শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে উঠে না। দুই একটা ব্যাটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা সাজাতে পারি, সঠিক বোলিং করতে পারি, এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

নিগার আরও বলেছেন, প্রথম কথা, ১১ বছর পর আমরা এখানে খেলছি। হোম গ্রাউন্ডে খেলবো এটা তো ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের সমর্থনটা থাকবে। আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো একটা প্রস্তুতি যেহেতু আছে, পাশাপাশি আমি বলবো যে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটাররা যেহেতু বেশি সংগ্রাম করে থাকে। দেখবেন যে, বোলাররা খুব ভালো করছে, ব্যাটাররা আমরা শেষ মুহূর্তে গিয়ে পারছি না। ৮০ শতাংশ ম্যাচ হাতে রেখে ২০ শতাংশের জন্য ম্যাচ জিততে পারছি না। আমার কাছে মনে হয়, আমরা এই জিনিসটা নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলেছি, কাজ করেছি। আশা করি ভারতের বিপক্ষে এর ফল পাবো।

কাজটা যে কঠিন, সেটাও অজানা সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে : জ্যোতি

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে এখনো টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৮ ম্যাচে। পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়ানডে এখনো তাদের বিপক্ষে জয়হীন বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে দুটিতে। ঘরের মাঠে রোববার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এরপর আছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ঘরের মাঠে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে সিরিজ জেতার আশা বাংলাদেশের মেয়েদের।

শনিবার (৮ জুলাই) প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে এই আশার কথা জানিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও কোচ হাসান তিলকরত্নে। ছয় ম্যাচের মধ্যে কতটি জেতার লক্ষ্য আছে বাংলাদেশের এমন প্রশ্নে জ্যোতি প্রশ্নকর্তার কাছে পাল্টা জানতে চান, একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয়, আপনার লক্ষ্য কী? কোনটা করলে আপনাদের বেশি ভালো লাগবে? ছয় ম্যাচে কয়টা ম্যাচ আমাদের জেতা উচিত?’

জ্যোতি বলেন, প্রথমত দেখেন, অনেকদিন পর আমাদের এখানে খেলা, আমাদের রোমাঞ্চ কাজ করছে। এর চেয়ে বেশি কাজ করছে, আমাদের ভালো করার ইচ্ছে। কারণ আমরা জানি যতই ভালো ক্রিকেট খেলি, যদি জিততে না পারি সেক্ষেত্রে সেই ভালোটার মর্ম থাকে না। এই মোমেন্টামটা পিক করার জন্য অপেক্ষা করে আছি। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে খেলতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ জিতছি না। হয়তো দেখা যাচ্ছে, একটা ম্যাচ জিততেছি। আমরা চাচ্ছি ধারবাহিকভাবে ভালো খেলার। এতে জেতার হারটা বেড়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে উন্নতি করছে, আমাদের জয়ের হারটা আরও বাড়াতে হবে। পুরো দলেরও এটাই ইচ্ছা।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনও সিরিজ জিততে পারেনি, তাই এবার সেটি হলে ইতিহাস তৈরি হবে বলে মনে করে জ্যোতি বলেন, এটা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনারা এটা বিশ্বাস করছেন কিনা। আপনারা কি বিশ্বাস করছেন আমরা তাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারব? আমাদের বিশ্বাস আছে, আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলব। সবচেয়ে বড় কথা সিরিজ জয় সবাই-ই চায়। বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের পতাকা ওড়ানোর মতো আনন্দের কিছু হতে পারে না। আমরা পুরো দল জানি যে, এই মাঠে আমাদের জন্য ম্যাচ জেতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে এবং এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

ভারতের ভালো ভালো ক্রিকেটার থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন তাদের বোলিং লাইন বিশ্বের অন্যতম সেরা, ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমনপ্রীত, স্মৃতি ও শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে ওঠে না। দুই একজন বেটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা মতো সঠিক বোলিং করতে পারি এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

ভারতের বিপক্ষে এখন অবধি ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জয় এসেছে স্রেফ দুটিতে। সেগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া ২০১৮ এশিয়া কাপে। দুই দলের শক্তির ব্যবধান স্পষ্ট হলেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব একটা ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তিনি বলেন, আমি চাচ্ছি না ওদেরকে নিয়ে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে। আমার মনে হয়, আমাদের ক্রিকেটাররা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে তখন আমার কাছে মনে হয় আমরা ভালো ফল পাবো। ওরা আমাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে এসেছে, আমরা কিন্তু সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে এসেছি। এফটিপিতে আছি। নিয়মিত ভিত্তিতে ম্যাচ খেলবো। খেলতে খেলতে কিন্তু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের কাছেও সেই সুযোগ আছে, ম্যাচ খেলে খেলে অভিজ্ঞ হওয়ার। ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমানপ্রীত আছে, স্মৃতি আছে, শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে উঠে না। দুই একটা ব্যাটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা সাজাতে পারি, সঠিক বোলিং করতে পারি, এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

নিগার আরও বলেছেন, প্রথম কথা, ১১ বছর পর আমরা এখানে খেলছি। হোম গ্রাউন্ডে খেলবো এটা তো ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের সমর্থনটা থাকবে। আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো একটা প্রস্তুতি যেহেতু আছে, পাশাপাশি আমি বলবো যে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটাররা যেহেতু বেশি সংগ্রাম করে থাকে। দেখবেন যে, বোলাররা খুব ভালো করছে, ব্যাটাররা আমরা শেষ মুহূর্তে গিয়ে পারছি না। ৮০ শতাংশ ম্যাচ হাতে রেখে ২০ শতাংশের জন্য ম্যাচ জিততে পারছি না। আমার কাছে মনে হয়, আমরা এই জিনিসটা নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলেছি, কাজ করেছি। আশা করি ভারতের বিপক্ষে এর ফল পাবো।

কাজটা যে কঠিন, সেটাও অজানা নয় বাংলাদেশ দলের। মেয়েদের ক্রিকেটে, বিশেষ করে উপমহাদেশে অন্য দলগুলোর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারতের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ হাসান তিলকরত্নে মনে করেন, ‘কেন নয় (সিরিজ জেতা) ? কেন আমরা সিরিজ জিততে পারব না? আমাদের সব ধরনের অস্ত্রই আছে। আমরা সিরিজ জিততে পারি। ইতিবাচক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

নয় বাংলাদেশ দলের। মেয়েদের ক্রিকেটে, বিশেষ করে উপমহাদেশে অন্য দলগুলোর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারতের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ হাসান তিলকরত্নে মনে করেন, ‘কেন নয় (সিরিজ জেতা) ? কেন আমরা সিরিজ জিততে পারব না? আমাদের সব ধরনের অস্ত্রই আছে। আমরা সিরিজ জিততে পারি। ইতিবাচক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে : জ্যোতি

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে এখনো টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৮ ম্যাচে। পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়ানডে এখনো তাদের বিপক্ষে জয়হীন বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে দুটিতে। ঘরের মাঠে রোববার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এরপর আছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ঘরের মাঠে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে সিরিজ জেতার আশা বাংলাদেশের মেয়েদের।

শনিবার (৮ জুলাই) প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে এই আশার কথা জানিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও কোচ হাসান তিলকরত্নে। ছয় ম্যাচের মধ্যে কতটি জেতার লক্ষ্য আছে বাংলাদেশের এমন প্রশ্নে জ্যোতি প্রশ্নকর্তার কাছে পাল্টা জানতে চান, একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয়, আপনার লক্ষ্য কী? কোনটা করলে আপনাদের বেশি ভালো লাগবে? ছয় ম্যাচে কয়টা ম্যাচ আমাদের জেতা উচিত?’

জ্যোতি বলেন, প্রথমত দেখেন, অনেকদিন পর আমাদের এখানে খেলা, আমাদের রোমাঞ্চ কাজ করছে। এর চেয়ে বেশি কাজ করছে, আমাদের ভালো করার ইচ্ছে। কারণ আমরা জানি যতই ভালো ক্রিকেট খেলি, যদি জিততে না পারি সেক্ষেত্রে সেই ভালোটার মর্ম থাকে না। এই মোমেন্টামটা পিক করার জন্য অপেক্ষা করে আছি। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে খেলতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ জিতছি না। হয়তো দেখা যাচ্ছে, একটা ম্যাচ জিততেছি। আমরা চাচ্ছি ধারবাহিকভাবে ভালো খেলার। এতে জেতার হারটা বেড়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে উন্নতি করছে, আমাদের জয়ের হারটা আরও বাড়াতে হবে। পুরো দলেরও এটাই ইচ্ছা।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনও সিরিজ জিততে পারেনি, তাই এবার সেটি হলে ইতিহাস তৈরি হবে বলে মনে করে জ্যোতি বলেন, এটা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনারা এটা বিশ্বাস করছেন কিনা। আপনারা কি বিশ্বাস করছেন আমরা তাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারব? আমাদের বিশ্বাস আছে, আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলব। সবচেয়ে বড় কথা সিরিজ জয় সবাই-ই চায়। বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের পতাকা ওড়ানোর মতো আনন্দের কিছু হতে পারে না। আমরা পুরো দল জানি যে, এই মাঠে আমাদের জন্য ম্যাচ জেতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে এবং এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

ভারতের ভালো ভালো ক্রিকেটার থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন তাদের বোলিং লাইন বিশ্বের অন্যতম সেরা, ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমনপ্রীত, স্মৃতি ও শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে ওঠে না। দুই একজন বেটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা মতো সঠিক বোলিং করতে পারি এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

ভারতের বিপক্ষে এখন অবধি ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জয় এসেছে স্রেফ দুটিতে। সেগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া ২০১৮ এশিয়া কাপে। দুই দলের শক্তির ব্যবধান স্পষ্ট হলেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব একটা ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তিনি বলেন, আমি চাচ্ছি না ওদেরকে নিয়ে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে। আমার মনে হয়, আমাদের ক্রিকেটাররা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে তখন আমার কাছে মনে হয় আমরা ভালো ফল পাবো। ওরা আমাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে এসেছে, আমরা কিন্তু সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে এসেছি। এফটিপিতে আছি। নিয়মিত ভিত্তিতে ম্যাচ খেলবো। খেলতে খেলতে কিন্তু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের কাছেও সেই সুযোগ আছে, ম্যাচ খেলে খেলে অভিজ্ঞ হওয়ার। ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমানপ্রীত আছে, স্মৃতি আছে, শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে উঠে না। দুই একটা ব্যাটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা সাজাতে পারি, সঠিক বোলিং করতে পারি, এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

নিগার আরও বলেছেন, প্রথম কথা, ১১ বছর পর আমরা এখানে খেলছি। হোম গ্রাউন্ডে খেলবো এটা তো ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের সমর্থনটা থাকবে। আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো একটা প্রস্তুতি যেহেতু আছে, পাশাপাশি আমি বলবো যে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটাররা যেহেতু বেশি সংগ্রাম করে থাকে। দেখবেন যে, বোলাররা খুব ভালো করছে, ব্যাটাররা আমরা শেষ মুহূর্তে গিয়ে পারছি না। ৮০ শতাংশ ম্যাচ হাতে রেখে ২০ শতাংশের জন্য ম্যাচ জিততে পারছি না। আমার কাছে মনে হয়, আমরা এই জিনিসটা নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলেছি, কাজ করেছি। আশা করি ভারতের বিপক্ষে এর ফল পাবো।

কাজটা যে কঠিন, সেটাও অজানা সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে : জ্যোতি

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে এখনো টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৮ ম্যাচে। পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়ানডে এখনো তাদের বিপক্ষে জয়হীন বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ১৩ বারের দেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা জিতেছে দুটিতে। ঘরের মাঠে রোববার (৯ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এরপর আছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ঘরের মাঠে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে সিরিজ জেতার আশা বাংলাদেশের মেয়েদের।

শনিবার (৮ জুলাই) প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে এই আশার কথা জানিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও কোচ হাসান তিলকরত্নে। ছয় ম্যাচের মধ্যে কতটি জেতার লক্ষ্য আছে বাংলাদেশের এমন প্রশ্নে জ্যোতি প্রশ্নকর্তার কাছে পাল্টা জানতে চান, একই প্রশ্ন যদি আপনাকে করা হয়, আপনার লক্ষ্য কী? কোনটা করলে আপনাদের বেশি ভালো লাগবে? ছয় ম্যাচে কয়টা ম্যাচ আমাদের জেতা উচিত?’

জ্যোতি বলেন, প্রথমত দেখেন, অনেকদিন পর আমাদের এখানে খেলা, আমাদের রোমাঞ্চ কাজ করছে। এর চেয়ে বেশি কাজ করছে, আমাদের ভালো করার ইচ্ছে। কারণ আমরা জানি যতই ভালো ক্রিকেট খেলি, যদি জিততে না পারি সেক্ষেত্রে সেই ভালোটার মর্ম থাকে না। এই মোমেন্টামটা পিক করার জন্য অপেক্ষা করে আছি। দল হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে খেলতে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ম্যাচ জিতছি না। হয়তো দেখা যাচ্ছে, একটা ম্যাচ জিততেছি। আমরা চাচ্ছি ধারবাহিকভাবে ভালো খেলার। এতে জেতার হারটা বেড়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে উন্নতি করছে, আমাদের জয়ের হারটা আরও বাড়াতে হবে। পুরো দলেরও এটাই ইচ্ছা।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কখনও সিরিজ জিততে পারেনি, তাই এবার সেটি হলে ইতিহাস তৈরি হবে বলে মনে করে জ্যোতি বলেন, এটা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনারা এটা বিশ্বাস করছেন কিনা। আপনারা কি বিশ্বাস করছেন আমরা তাদের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারব? আমাদের বিশ্বাস আছে, আমরা তাদের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলব। সবচেয়ে বড় কথা সিরিজ জয় সবাই-ই চায়। বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের পতাকা ওড়ানোর মতো আনন্দের কিছু হতে পারে না। আমরা পুরো দল জানি যে, এই মাঠে আমাদের জন্য ম্যাচ জেতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ জিতলে এটা অসম্ভব একটা গৌরবের ব্যাপার হবে এবং এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

ভারতের ভালো ভালো ক্রিকেটার থাকলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন তাদের বোলিং লাইন বিশ্বের অন্যতম সেরা, ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমনপ্রীত, স্মৃতি ও শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে ওঠে না। দুই একজন বেটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা মতো সঠিক বোলিং করতে পারি এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

ভারতের বিপক্ষে এখন অবধি ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু জয় এসেছে স্রেফ দুটিতে। সেগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া ২০১৮ এশিয়া কাপে। দুই দলের শক্তির ব্যবধান স্পষ্ট হলেও প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব একটা ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তিনি বলেন, আমি চাচ্ছি না ওদেরকে নিয়ে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে। আমার মনে হয়, আমাদের ক্রিকেটাররা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে তখন আমার কাছে মনে হয় আমরা ভালো ফল পাবো। ওরা আমাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে এসেছে, আমরা কিন্তু সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে এসেছি। এফটিপিতে আছি। নিয়মিত ভিত্তিতে ম্যাচ খেলবো। খেলতে খেলতে কিন্তু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের কাছেও সেই সুযোগ আছে, ম্যাচ খেলে খেলে অভিজ্ঞ হওয়ার। ওদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। হারমানপ্রীত আছে, স্মৃতি আছে, শেফালি আছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের পরিকল্পনা থাকবে। আমি বলব যে, আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন সবার সেরা। নির্দিষ্ট দিনে সবাই হয়তো জ্বলে উঠে না। দুই একটা ব্যাটার করে। তাদের বিপক্ষে যদি আমরা ভালো পরিকল্পনা সাজাতে পারি, সঠিক বোলিং করতে পারি, এবং শুরুতে যদি সুযোগ নিতে পারি, তাহলে কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

নিগার আরও বলেছেন, প্রথম কথা, ১১ বছর পর আমরা এখানে খেলছি। হোম গ্রাউন্ডে খেলবো এটা তো ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের সমর্থনটা থাকবে। আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো একটা প্রস্তুতি যেহেতু আছে, পাশাপাশি আমি বলবো যে, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটাররা যেহেতু বেশি সংগ্রাম করে থাকে। দেখবেন যে, বোলাররা খুব ভালো করছে, ব্যাটাররা আমরা শেষ মুহূর্তে গিয়ে পারছি না। ৮০ শতাংশ ম্যাচ হাতে রেখে ২০ শতাংশের জন্য ম্যাচ জিততে পারছি না। আমার কাছে মনে হয়, আমরা এই জিনিসটা নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলেছি, কাজ করেছি। আশা করি ভারতের বিপক্ষে এর ফল পাবো।

কাজটা যে কঠিন, সেটাও অজানা নয় বাংলাদেশ দলের। মেয়েদের ক্রিকেটে, বিশেষ করে উপমহাদেশে অন্য দলগুলোর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারতের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ হাসান তিলকরত্নে মনে করেন, ‘কেন নয় (সিরিজ জেতা) ? কেন আমরা সিরিজ জিততে পারব না? আমাদের সব ধরনের অস্ত্রই আছে। আমরা সিরিজ জিততে পারি। ইতিবাচক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

নয় বাংলাদেশ দলের। মেয়েদের ক্রিকেটে, বিশেষ করে উপমহাদেশে অন্য দলগুলোর চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারতের মেয়েরা। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ হাসান তিলকরত্নে মনে করেন, ‘কেন নয় (সিরিজ জেতা) ? কেন আমরা সিরিজ জিততে পারব না? আমাদের সব ধরনের অস্ত্রই আছে। আমরা সিরিজ জিততে পারি। ইতিবাচক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।