Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনি যুবকের গুলিতে ইসরাইলি সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির কাছে একজন ফিলিস্তিনির গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই ফিলিস্তিনিকে। এই সপ্তাহে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে দুই দিনের সামরিক অভিযান শেষ না হতেই হামলার ঘটনা ঘটলো।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে জেনিনে ইসরায়েলের দুদিনের সামরিক আক্রমণের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তাদের সদস্যই এই হামলা চালিয়েছিল।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের কেদুমিম বসতির আক্রমণকারী ব্যক্তির গাড়িটিকে পরীক্ষা করার জন্য থামানো হয়েছিল। পরে গাড়ি থেকে না নেমেই ওই ব্যক্তি ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই এক সেনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আক্রমণকারী দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ইসরাইলি বাহিনী তাকে ধাওয়া করে এবং চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যা করে।

ঘটনার পর আক্রমণকারী পালিয়ে যান। পরে তাকে চিহ্নিত করে হত্যা করা হয় বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর।

ফিলিস্তিনি বার্তা-সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ওই ব্যক্তির নাম আহমেদ ইয়াসিন হিলাল। তিনি পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে কিবিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেখানে গোলাগুলির ঘটনা তা ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের বাসভবনের খুব নিকটে। স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার তত্ত্বাবধান করেন।

হত্যার দায় স্বীকার করে হামাস বলেছে, শত্রুরা এটা জানবে যে, জেনিনে চালানো ইসরাইলি গণহত্যা আমাদের জনগণের প্রতিরোধ স্পৃহা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং মুক্তি না আসা পর্যন্ত এ ধরনের কাজের প্রতি তাদের আনুগত্যও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনে এটি ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ।

গত মঙ্গল ও বুধবার জেনিন ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ক্যাম্পের অধিকাংশ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হামলায়। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

ফিলিস্তিনি যুবকের গুলিতে ইসরাইলি সেনা নিহত

প্রকাশের সময় : ০৩:০১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির কাছে একজন ফিলিস্তিনির গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই ফিলিস্তিনিকে। এই সপ্তাহে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে দুই দিনের সামরিক অভিযান শেষ না হতেই হামলার ঘটনা ঘটলো।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এই ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে জেনিনে ইসরায়েলের দুদিনের সামরিক আক্রমণের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তাদের সদস্যই এই হামলা চালিয়েছিল।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের কেদুমিম বসতির আক্রমণকারী ব্যক্তির গাড়িটিকে পরীক্ষা করার জন্য থামানো হয়েছিল। পরে গাড়ি থেকে না নেমেই ওই ব্যক্তি ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই এক সেনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আক্রমণকারী দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ইসরাইলি বাহিনী তাকে ধাওয়া করে এবং চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যা করে।

ঘটনার পর আক্রমণকারী পালিয়ে যান। পরে তাকে চিহ্নিত করে হত্যা করা হয় বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর।

ফিলিস্তিনি বার্তা-সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ওই ব্যক্তির নাম আহমেদ ইয়াসিন হিলাল। তিনি পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে কিবিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেখানে গোলাগুলির ঘটনা তা ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের বাসভবনের খুব নিকটে। স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার তত্ত্বাবধান করেন।

হত্যার দায় স্বীকার করে হামাস বলেছে, শত্রুরা এটা জানবে যে, জেনিনে চালানো ইসরাইলি গণহত্যা আমাদের জনগণের প্রতিরোধ স্পৃহা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং মুক্তি না আসা পর্যন্ত এ ধরনের কাজের প্রতি তাদের আনুগত্যও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনে এটি ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ।

গত মঙ্গল ও বুধবার জেনিন ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ক্যাম্পের অধিকাংশ বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হামলায়। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা।