স্পোর্টস ডেস্ক :
পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কিছুদিন আগেই ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর অদূরে নেইমারের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তখনই জানা গিয়েছিলো অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় অঙ্কের জরিমানার শাস্তি পেতে পারেন নেইমার। এবার সত্যি হলো সেটিই। পরিবেশ সুরক্ষা আইন ভাঙার দায়ে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ১ কোটি ৬০ লাখ ব্রাজিলিয়ান রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।
পরিবেশ পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এবং আইন ভঙ্গ করে বিলাসবহুল বাড়ি বানানোয় নেইমার ও তার বাবাকে এর আগেই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিলো। এরপরই নেইমারের এই নির্মানাধীন বাড়িটি সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্তে নামে শহরের মানগারাতিবার মেয়র অফিস।
এরপরই সোমবার (৩ জুলাই) শহরের কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটের এক বিবৃতিতে জানা যায়, নেইমারের প্রাসাদে একটি কৃত্রিম হ্রদ নির্মাণে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন হওয়ায় চারটি জরিমানা করেছে মানগারাতিবার টাউন কাউন্সিল।
বিবৃতিতে জানানো হয়, পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সত্য হওয়ায় নেইমারকে ১ কোটি ৬০ লাখ রিয়ালের বেশি জরিমানা করা হয়েছে।
তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে ২০ দিন সময় পাবেন পিএসজির এই তারকা। প্রাথমিকভাবে তাকে ৫০ লাখ রিয়াল জরিমানা করা হয়। তবে শুধু জরিমানা দিয়েই পার পাবেন না তিনি। স্থানীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ সুরক্ষা দপ্তরসহ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের আরও বেশ কয়েকটি কর্তৃপক্ষ সবাই আলাদা করে এটির তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে তারাও।
সাত বছর আগে রিও ডি জেনিরো থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে নিজের পছন্দমতো রাজকীয় এক বাড়ি তৈরি করতে শুরু করেছেন নেইমার। নাম যার নেইমার ম্যানসন।সেই বাড়িতেই রয়েছে একটি কৃত্রিম হ্রদ, যেটি নির্মাণ করা হয়েছে আইন না মেনেই। কিন্তু এই বাড়ি বানাতে গিয়ে ভালোই বিপাকে পড়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওর দক্ষিণ প্রান্তে উপকূলীয় শহর মাঙ্গারাচিবাতে জায়গা কিনেন নেইমার। সমুদ্র সৈকতের সামনে বিলাসবহুল এই বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে একাধিক পরিবেশ আইন লংঘন করেছেন নেইমার।
অনুমোদন ছাড়া নদীর পানি দখলে নিয়েছিলেন নেইমার, যার কারণে বদলে গিয়েছিলো নদীর গতিপথও। সেটি নজরে আসার পরই কর্তৃপক্ষ বাড়িটির কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি নেইমার ও তার বাবকে আইনি নোটিশ পাঠায়। এবার তদন্তকাজ শেষে বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হলো নেইমারকে।
শুধু জরিমানা দিয়েই পার পাবেন না নেইমার। স্থানীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ সুরক্ষা দপ্তরসহ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের আরও বেশ কয়েকটি কর্তৃপক্ষ সবাই আলাদা করে এটির তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে তারাও।