স্পোর্টস ডেস্ক :
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী দ্বৈরথের নাম দি অ্যাশেজ। বরাবরের মত এবারও বাড়তি উন্মাদনা নিয়েই হাজির হয়েছে এ লড়াই যাতে আলাদা উত্তাপ ছড়িয়েছে ইংলিশদের নতুন ক্রিকেট দর্শন। বাজবলে উদ্বুদ্ধ বেন স্টোকসের দল অবশ্য এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে ৫ম দিনের নাটকীয়তায় পরাজিত হয়েছে অজিদের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচ তাই ভীষণ দরকার জয়। শেষদিনে ইংলিশদের সামনে ছিলো বড় চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭১ রানের লক্ষ্য রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের সংগ্রহ ছিলো ১১৪ রান। ফলে পঞ্চম দিনে ইংলিশদের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ২৫৭ রান। শেষ দিনে স্টোকসের শতকে একটা সময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে ছিলো ইংল্যান্ড। তবে দলীয় ৩০১ রানে স্টোকস বিদায় নিলে আর ঘুরে দাড়াতে পারেননি ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত ৩২৭ রানেই অলআউট হয় বেন স্টোকসের দল। আর অজিরা ৪৩ রানের জয় পেয়ে পাঁচ ম্যাচ অ্যাশেজর ২-০তে এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্সের দল।
চতুর্থ ইনিংসে অজিদের দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনের শেষে ক্রিজে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ছিলেন ডাকেট ও স্টোকস। বেন ডাকেটের আউটে পঞ্চম দিন প্রথম সেশনে জুটি ভাঙে। ১৩২ রান যোগ করে ডাকেট-স্টোকস জুটি। বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বড় না হলেও স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে ১০৮ রান যোগ করেন স্টোকস। কিন্তু তার আউটেই হাল ছেড়ে দেয় ইংল্যান্ড শিবির।
ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে ফেরেন স্টোকস। জশ হ্যাজলউডের বোলিংয়ে মিস হিট। উঁচুতে ওঠা ক্যাচ নেন অ্যালেক্স ক্যারি। ২১৪ বলে ১৫৫ রানে ফেরেন ইংলিশ অধিনায়ক। ৯টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি। স্টোকস আউট হওয়ার সময় ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল আরও ৭০ রান। হাতে মাত্র তিন উইকেট। স্টোকসের সাজঘরের পর আরও দুই উইকেট হারায় ইংলিশরা।
শেষ উইকেট জশ টং-জেমস অ্যান্ডারসনের জুটি ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন। মিচেল স্টার্কের ইয়র্কার জশ টংয়ের উইকেট ভাঙতেই ৪৩ রানে জয় নিয়ে পাঁচ ম্যাচ অ্যাশেজর ২-০ তে এগিয়ে রইল অস্ট্রেলিয়া।