Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ বদলে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

রোববার (২ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বলে বিশ্ব। গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ বদলে গেছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। এখন গ্রাম আর গ্রাম নেই, সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, এ সময় একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। মাইলের পর মাইল কাদা মাটি মাড়িয়েছি, নৌকায়, সাম্পান, ট্রলার, ডিঙি নৌকা, ভ্যান কোনটায় চড়িনি? সবকিছু তে আমার চড়া আছে। এভাবে বাংলাদেশ ঘুরেছি, দেখেছি। আর সেটা বুঝে বুঝে উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখন বাংলাদেশকে আমরা একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা গ্রাম এখন আর গ্রাম নাই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করে, সব জায়গায় আজ একটা উন্নয়ন করতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক ভাবেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল বলে সবাই, কিন্তু এটা করতে পারতাম না যদি টুঙ্গিপাড়াবাসী আর কোটালীপাড়াবাসী আমার সব দায়িত্বটা না নিতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হলে দেশে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব থাকত না। আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিশোধ নেয় না। অথচ আওয়ামী লীগের বিদ্যুৎ, টেলিভিশন ব্যবহার করে টকশোতে বসে মিথ্যাচার করছে তারা।

শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় সত্যের জয় হয়। যেখানে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সে নাম আবার ফিরে এসেছে। হেলিকপ্টারে করে আমার বাবাকে এখানে (টুঙ্গিপাড়ায়) নিয়ে এসে কবর দিল। কেন? যেন টুঙ্গিপাড়ায় কেউ আসতে না পারে। এ বাড়িটি সিলগালা করে রেখে দিয়েছিল। এখানে আমার চাচি ও ছোট বাচ্চাদেরকেও থাকতে দেওয়া হয়নি। এরকম অত্যাচার করেছিল আমাদের ওপর।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, বিএনপির নেতা খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন কারাগারে সাজাভোগ করছেন। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। দশ ট্রাক অস্ত্র, ২১শে গ্রেনেড হামলা করে আমাদের হত্যা করতে চেয়েছিল। ওইদিন আইভি রহমানসহ আমার ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এছাড়া মানি লন্ডারিং, দুর্নীতিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে না করেছে। প্রত্যেকটা আজ সাজাপ্রাপ্ত। পলাতক হয়ে ওই লন্ডনে বসে এখন সোস্যাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে। চোরের বড় গলা আছে সেই বড় গলাই আমরা শুনি। তার সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসে না কেন? সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে কথা বলুক।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির কাছে ক্ষমতা হচ্ছে তাদের অর্থ বানানোর মেশিন। ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। তারা যেন এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং মানুষের কাছে আমাদের সেটা তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির কাজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মানুষ খুন করা, ভোট চুরির জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করা। এসমস্ত কাজ বিএনপি করে গেছে। ২০০১ ক্ষমতায় আসার পর তাদের এ তাণ্ডব আমরা দেখেছি। এরপর ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস। মানুষ বাসে চড়ে যাচ্ছে, লঞ্চে যাচ্ছে, ট্রেনে যাচ্ছে সেখানে পেট্রোল বোমা দিয়ে তাদের পুড়িয়ে মারল। তিন হাজার আটশ গাড়ি তারা পোড়ালো। তিন হাজার মানুষ অগ্নিদগ্ধ হলো। মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। মা দেখলো তার মেয়ে পুড়ে যাচ্ছে। আবার দেখলো তার ছেলে পোড়া, স্ত্রী দেখে তার স্বামী পোড়া। সেই মানুষগুলো আজও দুরবস্থায় আছে। সেগুলো আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন। যারা মানুষ জীবন্ত পোড়াতে পারে, জীবন্ত হত্যা করতে পারে তাদের কাছে রাজনীতি বলতে কিছু নেই।

উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেই টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পারি মাত্র আড়াই ঘণ্টায়। এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে। সেটাও নির্মাণে বাধা দিয়েছিল, টাকা ফেরত নিয়েছিল। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, কোনো দুর্নীতি হয়নি। সেই থেকে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজেদের অর্থে করব পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতা পেয়েছিলাম বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল।

এজন্য নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার কারণ আমাদের সব এমপিদের যার যার নিজের কনেসটেনসি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আর আমার ৩০০টি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তারপর রাষ্ট্রীয় কাজ, কারণ আজ দেশের উন্নয়ন যে করতে পেরেছি আমি যদি সময় দিতে না পারতাম তাহলে এর কাজ হতো না। কারণ একটা দেশের উন্নয়ন করতে হলে দেশটাকে জানতে হয়। আমার সৌভাগ্য যে আমি ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরেছি। বাংলাদেশের বোধ হয় কোনো অঞ্চল আমার বাদ নাই। মাইলের পর মাইল কাদাপানি ভেঙে পায়ে হেঁটেছি, নৌকা, সাম্পান মাছের ট্রলার, ভ্যান, ডিঙ্গি নৌকা সবকিছুতেই কিন্তু আমার চড়ার অভিজ্ঞতা আছে। এইভাবেই বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবস্থা দেখেছি। সেই সাথে বুঝে বুঝে কর্মসূচি নিয়ে আজকে বাংলাদেশকে একটা জায়গায় আমরা নিয়ে আসছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন করতে পারতাম না, যদি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াবাসী আমার দায়িত্ব না নিতেন।

এর আগে, নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দুদিন সফরের শেষ দিনে রোববার (২ জুলাই) স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় তার দুদিনের সফরের অংশ হিসেবে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন ঘণ্টার সড়কপথে পদ্মা সেতু পার হয়ে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন। তার সফরকে কেন্দ্র করে গোটা গোপালগঞ্জে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সেজেছে পুরো এলাকা এবং জেলাজুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।

রোববার (২ জুলাই) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া থেকে তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ বদলে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

রোববার (২ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বলে বিশ্ব। গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ বদলে গেছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। এখন গ্রাম আর গ্রাম নেই, সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ বাংলাদেশকে আমরা একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, এ সময় একটি বাড়ি একটি খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার গ্রাম আমার শহর, নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় আমি ঘুরেছি। মাইলের পর মাইল কাদা মাটি মাড়িয়েছি, নৌকায়, সাম্পান, ট্রলার, ডিঙি নৌকা, ভ্যান কোনটায় চড়িনি? সবকিছু তে আমার চড়া আছে। এভাবে বাংলাদেশ ঘুরেছি, দেখেছি। আর সেটা বুঝে বুঝে উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এখন বাংলাদেশকে আমরা একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা গ্রাম এখন আর গ্রাম নাই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নতি করে, সব জায়গায় আজ একটা উন্নয়ন করতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক ভাবেও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেল বলে সবাই, কিন্তু এটা করতে পারতাম না যদি টুঙ্গিপাড়াবাসী আর কোটালীপাড়াবাসী আমার সব দায়িত্বটা না নিতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হলে দেশে বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব থাকত না। আওয়ামী লীগ কোনো প্রতিশোধ নেয় না। অথচ আওয়ামী লীগের বিদ্যুৎ, টেলিভিশন ব্যবহার করে টকশোতে বসে মিথ্যাচার করছে তারা।

শেখ হাসিনা বলেন, সব সময় সত্যের জয় হয়। যেখানে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সে নাম আবার ফিরে এসেছে। হেলিকপ্টারে করে আমার বাবাকে এখানে (টুঙ্গিপাড়ায়) নিয়ে এসে কবর দিল। কেন? যেন টুঙ্গিপাড়ায় কেউ আসতে না পারে। এ বাড়িটি সিলগালা করে রেখে দিয়েছিল। এখানে আমার চাচি ও ছোট বাচ্চাদেরকেও থাকতে দেওয়া হয়নি। এরকম অত্যাচার করেছিল আমাদের ওপর।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, বিএনপির নেতা খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন কারাগারে সাজাভোগ করছেন। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। দশ ট্রাক অস্ত্র, ২১শে গ্রেনেড হামলা করে আমাদের হত্যা করতে চেয়েছিল। ওইদিন আইভি রহমানসহ আমার ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এছাড়া মানি লন্ডারিং, দুর্নীতিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে না করেছে। প্রত্যেকটা আজ সাজাপ্রাপ্ত। পলাতক হয়ে ওই লন্ডনে বসে এখন সোস্যাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে। চোরের বড় গলা আছে সেই বড় গলাই আমরা শুনি। তার সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসে না কেন? সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে কথা বলুক।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির কাছে ক্ষমতা হচ্ছে তাদের অর্থ বানানোর মেশিন। ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। তারা যেন এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং মানুষের কাছে আমাদের সেটা তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির কাজ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মানুষ খুন করা, ভোট চুরির জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা করা। এসমস্ত কাজ বিএনপি করে গেছে। ২০০১ ক্ষমতায় আসার পর তাদের এ তাণ্ডব আমরা দেখেছি। এরপর ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস। মানুষ বাসে চড়ে যাচ্ছে, লঞ্চে যাচ্ছে, ট্রেনে যাচ্ছে সেখানে পেট্রোল বোমা দিয়ে তাদের পুড়িয়ে মারল। তিন হাজার আটশ গাড়ি তারা পোড়ালো। তিন হাজার মানুষ অগ্নিদগ্ধ হলো। মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। মা দেখলো তার মেয়ে পুড়ে যাচ্ছে। আবার দেখলো তার ছেলে পোড়া, স্ত্রী দেখে তার স্বামী পোড়া। সেই মানুষগুলো আজও দুরবস্থায় আছে। সেগুলো আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন। যারা মানুষ জীবন্ত পোড়াতে পারে, জীবন্ত হত্যা করতে পারে তাদের কাছে রাজনীতি বলতে কিছু নেই।

উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সরকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেই টুঙ্গিপাড়ায় আসতে পারি মাত্র আড়াই ঘণ্টায়। এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে। সেটাও নির্মাণে বাধা দিয়েছিল, টাকা ফেরত নিয়েছিল। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, কোনো দুর্নীতি হয়নি। সেই থেকে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজেদের অর্থে করব পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতা পেয়েছিলাম বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল।

এজন্য নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার কারণ আমাদের সব এমপিদের যার যার নিজের কনেসটেনসি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আর আমার ৩০০টি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তারপর রাষ্ট্রীয় কাজ, কারণ আজ দেশের উন্নয়ন যে করতে পেরেছি আমি যদি সময় দিতে না পারতাম তাহলে এর কাজ হতো না। কারণ একটা দেশের উন্নয়ন করতে হলে দেশটাকে জানতে হয়। আমার সৌভাগ্য যে আমি ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরেছি। বাংলাদেশের বোধ হয় কোনো অঞ্চল আমার বাদ নাই। মাইলের পর মাইল কাদাপানি ভেঙে পায়ে হেঁটেছি, নৌকা, সাম্পান মাছের ট্রলার, ভ্যান, ডিঙ্গি নৌকা সবকিছুতেই কিন্তু আমার চড়ার অভিজ্ঞতা আছে। এইভাবেই বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবস্থা দেখেছি। সেই সাথে বুঝে বুঝে কর্মসূচি নিয়ে আজকে বাংলাদেশকে একটা জায়গায় আমরা নিয়ে আসছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন করতে পারতাম না, যদি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়াবাসী আমার দায়িত্ব না নিতেন।

এর আগে, নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দুদিন সফরের শেষ দিনে রোববার (২ জুলাই) স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় তার দুদিনের সফরের অংশ হিসেবে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন ঘণ্টার সড়কপথে পদ্মা সেতু পার হয়ে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন। তার সফরকে কেন্দ্র করে গোটা গোপালগঞ্জে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে সেজেছে পুরো এলাকা এবং জেলাজুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।

রোববার (২ জুলাই) বিকেলে টুঙ্গিপাড়া থেকে তার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা।