নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদর বাজারের মধ্যবর্তী ট্রলারঘাট সংলগ্ন শয়তানখালী খালের উপর সেতুটি দেবে যাওয়ায় পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে সেতুর অদুরে উত্তরপাশে একটি বাঁশের চাটাই দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে। তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে পথচারীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সেতুটি দেবে যেতে শুরু করলে স্থানীয় প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সেতুটির ওপর দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পথচারীদের চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পরিত্যক্ত সেতুর উত্তরপাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়।
সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া ও ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা ও বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে না তোলার কারণে সৃষ্টি হয় সীমাহীন দুর্ভোগের। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শয়তানখালী খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তোড়ে চাটাই ভেসে যায়। ফলে এ সেতুই কান্দাপাড়া, মহদিপুর, মেউহারী, ঘুলুয়া, রাজাপুর, হলিদাকান্দা, আবুয়ারচর, মহিষের বাতান, নোয়াবন্দ, কামলাবাজ, ফাতেমানগর, লংকাপাথারিয়া, ভাটকপুরসহ ২০টি গ্রামের মানুষের সদর বাজারে চলাচলালের একমাত্র ভরসা।
পথচারী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পার হয়েছি। আমাদের দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই। এমন দুর্ভোগ আর মেনে নিতে পারছি না। প্রাণহানি ঘটলেই বোধহয় কর্তৃপক্ষ সজাগ হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। দুইএকদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, ইতোমধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই ঠিকাদারের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হবে। পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।