Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রতিবারই কোরবানি ঈদ আসলেই হঠাৎ করে বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। স্বস্তির ছোঁয়া নেই মুদি পণ্য ও মসলার বাজারেও। এমন অবস্থায় বেশ বিপাকে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। দুটি সবজির কেজি একশ টাকার ওপরে। কয়েকটির দাম একশ টাকার কাছাকাছি। মাত্র একটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার নিচে। কয়েক মাস ধরেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সবজির সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও অস্বস্তিতে ফেলেছে ক্রেতাদের।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুওে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছের চাহিদা থাকায়ও মাছের বেড়েছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট গুড়া মাছ (কাচকি) প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম অনেকটাই নিম্ন-মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে। বোয়াল, চিতল, আইড় মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা।

মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আজাহার মোল্লা বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। কোনো সবজির দাম জিজ্ঞেস করলেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা সম্ভব? গত সপ্তাহে তবুও সবজির দাম কম ছিল, আজ বাজারে এসে দেখছি দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় এক কেজির জায়গায় আধাকেজি কিনতে হচ্ছে।

গার্মেন্টস কর্মী সজিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাড়তির দামের কারণে ভালো কোনো মাছ আমাদের মতো নিম্নআয়ের লোকজনরা কিনতে পারছে না। পাঙাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই সাধারণত বেশি কেনা হয়। আজকের বাজারে দেখা যাচ্ছে এগুলোর দামও বেড়ে গেছে।

বাজারে মাছের দাম এত বাড়তি কেন- এ বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের মাছ বিক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেন, প্রতিটি আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর শুক্রবারে এমনিতেই মাছের চাহিদা বেশি থাকে, সে কারণেও দাম বাড়ে।

কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে এনে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করেন শরিফ আহমেদ। তিনি বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। এর মূল কারণ হলো অনেক সবজির মৌসুম শেষ, নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া দূরদূরান্ত থেকে এখন সবজির ট্রাক কম আসছে, সব ট্রাক, পিকআপে এখন কোরবানির গরু আনা নেওয়া নিয়ে ব্যস্ত। তাই সবজির বাজার এটা ঈদের পর পর্যন্ত এমন বাড়তি থাকতে পারে।

এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আদা ৩২০-৩৩০, দেশি রসুন ১৬০ টাকা , ভারতীয় রসুন ১৭০-১৮০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত। যদিও বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। আজ জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯২০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৮৫০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ টাকা।

আল-আমীন জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মামুন বলেন, গত সপ্তাহে আমি জিরা কিনেছিলাম ৮৩০ টাকায়, বিক্রি করেছি ৮৫০ টাকায়। আজ আমার কেনা ৯০০ টাকা আর বিক্রি করছি ৯২০ টাকায়। ঈদের আগে আর দাম কমবে না। কমলে একেবারে ঈদের পরে কমবে। এখন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে রেখেছে।

এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। ডালের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেশারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কলাপাড়া পৌরসভা, অপরিকল্পিত উন্নয়নে বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ 

ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

প্রকাশের সময় : ০২:২৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রতিবারই কোরবানি ঈদ আসলেই হঠাৎ করে বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। স্বস্তির ছোঁয়া নেই মুদি পণ্য ও মসলার বাজারেও। এমন অবস্থায় বেশ বিপাকে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। দুটি সবজির কেজি একশ টাকার ওপরে। কয়েকটির দাম একশ টাকার কাছাকাছি। মাত্র একটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার নিচে। কয়েক মাস ধরেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে বাজারে গিয়ে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা। সবজির সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও অস্বস্তিতে ফেলেছে ক্রেতাদের।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুওে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাংস। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাছের চাহিদা থাকায়ও মাছের বেড়েছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট গুড়া মাছ (কাচকি) প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম অনেকটাই নিম্ন-মধ্যবিত্তেরও নাগালের বাইরে। বোয়াল, চিতল, আইড় মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা।

মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আজাহার মোল্লা বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। কোনো সবজির দাম জিজ্ঞেস করলেই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। এত দাম দিয়ে সবজি কেনা সম্ভব? গত সপ্তাহে তবুও সবজির দাম কম ছিল, আজ বাজারে এসে দেখছি দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় এক কেজির জায়গায় আধাকেজি কিনতে হচ্ছে।

গার্মেন্টস কর্মী সজিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাড়তির দামের কারণে ভালো কোনো মাছ আমাদের মতো নিম্নআয়ের লোকজনরা কিনতে পারছে না। পাঙাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই সাধারণত বেশি কেনা হয়। আজকের বাজারে দেখা যাচ্ছে এগুলোর দামও বেড়ে গেছে।

বাজারে মাছের দাম এত বাড়তি কেন- এ বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের মাছ বিক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেন, প্রতিটি আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর শুক্রবারে এমনিতেই মাছের চাহিদা বেশি থাকে, সে কারণেও দাম বাড়ে।

কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে এনে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করেন শরিফ আহমেদ। তিনি বলেন, গত ৩/৪ দিন ধরে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। এর মূল কারণ হলো অনেক সবজির মৌসুম শেষ, নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া দূরদূরান্ত থেকে এখন সবজির ট্রাক কম আসছে, সব ট্রাক, পিকআপে এখন কোরবানির গরু আনা নেওয়া নিয়ে ব্যস্ত। তাই সবজির বাজার এটা ঈদের পর পর্যন্ত এমন বাড়তি থাকতে পারে।

এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আদা ৩২০-৩৩০, দেশি রসুন ১৬০ টাকা , ভারতীয় রসুন ১৭০-১৮০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত। যদিও বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। আজ জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯২০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৮৫০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ টাকা।

আল-আমীন জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মামুন বলেন, গত সপ্তাহে আমি জিরা কিনেছিলাম ৮৩০ টাকায়, বিক্রি করেছি ৮৫০ টাকায়। আজ আমার কেনা ৯০০ টাকা আর বিক্রি করছি ৯২০ টাকায়। ঈদের আগে আর দাম কমবে না। কমলে একেবারে ঈদের পরে কমবে। এখন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে রেখেছে।

এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। ডালের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেশারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।