Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এটি শুধুমাত্র টেস্ট জয় নয়, তার চেয়েও বিশেষ কিছু : হাথুরু

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট হারের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। নয়া টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলটির সঙ্গে হার যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি ভক্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। দীর্ঘ ৩ বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নিল টাইগাররা। আফগানদের ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে লিটন দাসরা।

তার কোচিংয়ের প্রথম অংশটাও ছিল সোনালি সাফল্যে মোড়ানো। পাকিস্তানকে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়-এখনো সেরা কৃতিত্ব ও বিশাল অর্জন হয়েই আছে। এবার টিম বাংলাদেশের কোচিংয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও চমৎকার চন্ডিকা হাথুরুসিংহের।

এমন বিশাল জয়ের পর রোববার (১৮ জুন) মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মিরপুরে হাথুরু বলেন, আপনারা দেখেছেন কি না জানি না, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছি, এটি শুধুমাত্র একটি টেস্ট জয় নয়, তার চেয়েও বিশেষ কিছু। আমি এটা দিয়ে বুঝিয়েছি, আমরা যেভাবে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়েছি, সব কিছু মিলিয়েই এমন আর আগে কখনও হয়নি। আমরা সবুজ ও গতিময় উইকেট তৈরি করেছি। আমার মতে, এই ধরনের উইকেটে খেলে জেতা বিরাট ব্যাপার। আমরা অনেক মানসিক বাধা পার করেছি। কারণ ম্যাচের আগে আমরা কেমন করব, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। আমরা এখানে সাধারণত ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেট খেলি।

তিনি আরো বলেন, সন্তুষ্টির জায়গা হচ্ছে, গতিময় উইকেটে পেসাররা গা ভাসিয়ে দেয়নি। ওরা যেভাবে বল করেছে, খুবই ভালো ছিল। খুব পেশাদারি বোলিং। ওরা বাউন্সার শুধু করার জন্য করেনি। বেশিরভাগ উইকেট এসেছে ফ্রন্ট ফুটে। এসব ছোট ছোট জিনিস পেসারদের পরিণত বোধের উদাহরণ। ওরা অনেক দূর পাড়ি দিয়ে এসেছে। আমি খুশি। যদি কন্ডিশন সাহায্য করে, তাহলে অবশ্যই এভাবে ব্যাটিং করব। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করেছি। ছেলেদেরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এভাবে খেলার জন্য। খেলাটা তো মূলত রানের। কন্ডিশন যদি কঠিন হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ী ব্যাটিং করব।

হাথুরু বলেন, আমরা অনেক মানসিক বাধা পার করেছি। কারণ, ম্যাচের আগে অনেকেই আমরা কেমন করব, সেটা নিয়ে সন্দেহ করেছিল। আমরা এখানে সাধারণত ভিন্ন ধাচের ক্রিকেট খেলি। গামিনিকেও কৃতিত্ব দিতে হবে এ ধরনের উইকেট তৈরির জন্য। সেদিক থেকে, এটা একটা টেস্ট জয়ের চেয়েও বেশি কিছু। নতুন নায়ক বেরিয়ে এসেছে এই টেস্ট ম্যাচ থেকে।

এদিকে টাইগার দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসানের প্রশংসা করতেও ভুলেননি হাথুরু। শুরুতে জয়কে নিয়ে বলেন, জয়ের টেম্পারমেন্ট ভালো। তার রেকর্ডও বলে, সে যদি শুরু পেয়ে যায়, তাহলে বড় ইনিংস খেলে। দুজনই দলের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। আর আমি খুবই খুশি যে মুমিনুল রানে ফিরেছে।

অবশ্য প্রথমবার বাঁহাতি ওপেনার জাকিরকে দেখে মুগ্ধ হাথুরু। এই তারকাকে নিয়ে হাথুরু বলেন, জাকিরকে এবারই প্রথম দেখলাম। চোটের কারণে সে আগের টেস্টে ছিল না। তার ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ হয়েছে। খুবই দারুণ লেগেছে তার ব্যাটিং। পেস ও স্পিনে সমান দক্ষ সে। দুই ধরনের বোলিংয়েই সমান দক্ষ, এমন ওপেনার খুব কম পাবেন।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ক্রিকেটে ভাগ্য বলে কিছু নেই। নিজের ভাগ্য নিজেকেই তৈরি করতে হয়। অবশ্য এই ছেলেরা লম্বা সুযোগ পাবে। কারণ তারা ভালো খেলেছে। জাকির তিন ম্যাচ খেলেছে। এরই মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও দুইটি ফিফটি করেছে। জয়ের রেকর্ড দেখুন, ৯টি ম্যাচ খেলেছে… বিদেশের মাঠে সেঞ্চুরি আছে, একটি বড় ফিফটিও করেছে। তো ওরা এই পর্যায়ে খেলতে পারে। ’

তিনি বলেন, আমাদের ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান স্কোরার নাঈম শেখ। সে গত দুই আসর ধরেই রানের মধ্যে আছে। আর রনি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আছে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তার সেই সুযোগটা আছে টি-টোয়েন্টিতে রান করার ও কী করতে পারে তা দেখানোর। তো এটি আমার জন্য নাঈম শেখকে দেখার সুযোগ, যদি সে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে কোনো ম্যাচে সুযোগ পায়।

ডিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল এনামুল হক বিজয়ের। এর আগে গত বছর তিনি লিস্ট-এ ক্রিকেট ইতিহাসেই এক টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়েন। বিজয়কে দলে না নেওয়া প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘হ্যাঁ, বিজয়ও অনেক রান করেছে। গত বছরও অনেক ভালো করেছিল। কিন্তু আমি শুধু ১১ জন ক্রিকেটারকেই খেলাতে পারব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

এটি শুধুমাত্র টেস্ট জয় নয়, তার চেয়েও বিশেষ কিছু : হাথুরু

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট হারের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। নয়া টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলটির সঙ্গে হার যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি ভক্ত থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। দীর্ঘ ৩ বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নিল টাইগাররা। আফগানদের ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে লিটন দাসরা।

তার কোচিংয়ের প্রথম অংশটাও ছিল সোনালি সাফল্যে মোড়ানো। পাকিস্তানকে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জয়-এখনো সেরা কৃতিত্ব ও বিশাল অর্জন হয়েই আছে। এবার টিম বাংলাদেশের কোচিংয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও চমৎকার চন্ডিকা হাথুরুসিংহের।

এমন বিশাল জয়ের পর রোববার (১৮ জুন) মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মিরপুরে হাথুরু বলেন, আপনারা দেখেছেন কি না জানি না, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছি, এটি শুধুমাত্র একটি টেস্ট জয় নয়, তার চেয়েও বিশেষ কিছু। আমি এটা দিয়ে বুঝিয়েছি, আমরা যেভাবে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়েছি, সব কিছু মিলিয়েই এমন আর আগে কখনও হয়নি। আমরা সবুজ ও গতিময় উইকেট তৈরি করেছি। আমার মতে, এই ধরনের উইকেটে খেলে জেতা বিরাট ব্যাপার। আমরা অনেক মানসিক বাধা পার করেছি। কারণ ম্যাচের আগে আমরা কেমন করব, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। আমরা এখানে সাধারণত ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেট খেলি।

তিনি আরো বলেন, সন্তুষ্টির জায়গা হচ্ছে, গতিময় উইকেটে পেসাররা গা ভাসিয়ে দেয়নি। ওরা যেভাবে বল করেছে, খুবই ভালো ছিল। খুব পেশাদারি বোলিং। ওরা বাউন্সার শুধু করার জন্য করেনি। বেশিরভাগ উইকেট এসেছে ফ্রন্ট ফুটে। এসব ছোট ছোট জিনিস পেসারদের পরিণত বোধের উদাহরণ। ওরা অনেক দূর পাড়ি দিয়ে এসেছে। আমি খুশি। যদি কন্ডিশন সাহায্য করে, তাহলে অবশ্যই এভাবে ব্যাটিং করব। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করেছি। ছেলেদেরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এভাবে খেলার জন্য। খেলাটা তো মূলত রানের। কন্ডিশন যদি কঠিন হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ী ব্যাটিং করব।

হাথুরু বলেন, আমরা অনেক মানসিক বাধা পার করেছি। কারণ, ম্যাচের আগে অনেকেই আমরা কেমন করব, সেটা নিয়ে সন্দেহ করেছিল। আমরা এখানে সাধারণত ভিন্ন ধাচের ক্রিকেট খেলি। গামিনিকেও কৃতিত্ব দিতে হবে এ ধরনের উইকেট তৈরির জন্য। সেদিক থেকে, এটা একটা টেস্ট জয়ের চেয়েও বেশি কিছু। নতুন নায়ক বেরিয়ে এসেছে এই টেস্ট ম্যাচ থেকে।

এদিকে টাইগার দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসানের প্রশংসা করতেও ভুলেননি হাথুরু। শুরুতে জয়কে নিয়ে বলেন, জয়ের টেম্পারমেন্ট ভালো। তার রেকর্ডও বলে, সে যদি শুরু পেয়ে যায়, তাহলে বড় ইনিংস খেলে। দুজনই দলের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। আর আমি খুবই খুশি যে মুমিনুল রানে ফিরেছে।

অবশ্য প্রথমবার বাঁহাতি ওপেনার জাকিরকে দেখে মুগ্ধ হাথুরু। এই তারকাকে নিয়ে হাথুরু বলেন, জাকিরকে এবারই প্রথম দেখলাম। চোটের কারণে সে আগের টেস্টে ছিল না। তার ক্যারিয়ারের শুরুটা দারুণ হয়েছে। খুবই দারুণ লেগেছে তার ব্যাটিং। পেস ও স্পিনে সমান দক্ষ সে। দুই ধরনের বোলিংয়েই সমান দক্ষ, এমন ওপেনার খুব কম পাবেন।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ক্রিকেটে ভাগ্য বলে কিছু নেই। নিজের ভাগ্য নিজেকেই তৈরি করতে হয়। অবশ্য এই ছেলেরা লম্বা সুযোগ পাবে। কারণ তারা ভালো খেলেছে। জাকির তিন ম্যাচ খেলেছে। এরই মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও দুইটি ফিফটি করেছে। জয়ের রেকর্ড দেখুন, ৯টি ম্যাচ খেলেছে… বিদেশের মাঠে সেঞ্চুরি আছে, একটি বড় ফিফটিও করেছে। তো ওরা এই পর্যায়ে খেলতে পারে। ’

তিনি বলেন, আমাদের ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান স্কোরার নাঈম শেখ। সে গত দুই আসর ধরেই রানের মধ্যে আছে। আর রনি টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আছে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তার সেই সুযোগটা আছে টি-টোয়েন্টিতে রান করার ও কী করতে পারে তা দেখানোর। তো এটি আমার জন্য নাঈম শেখকে দেখার সুযোগ, যদি সে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে কোনো ম্যাচে সুযোগ পায়।

ডিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল এনামুল হক বিজয়ের। এর আগে গত বছর তিনি লিস্ট-এ ক্রিকেট ইতিহাসেই এক টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়েন। বিজয়কে দলে না নেওয়া প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘হ্যাঁ, বিজয়ও অনেক রান করেছে। গত বছরও অনেক ভালো করেছিল। কিন্তু আমি শুধু ১১ জন ক্রিকেটারকেই খেলাতে পারব।