Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরে ৭ বছরেও হয়নি সড়ক সংস্কার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে প্রায় ৭ বছরেও বিবন্দী-পাঁচলদিয়া-কাজীপাড়া সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিবন্দী-পাঁচলদিয়া হয়ে কাজীপাড়া পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করার নামে খোড়াখুড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই এলাকার বিবন্দী, পাঁচলদিয়া, মুসলিমপাড়া, জুরাসার, বনগাঁও, রানা, সিন্দুরদী, দত্তগাঁও, টুনিয়ামান্দ্রা ও বাগবাড়ি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

অপরদিকে বেহাল রাস্তায় কৃষি পণ্য বাজারজাত ও সংরক্ষণে প্রান্তিক কৃষক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও উৎপাদিত ফসল বহন করতে প্রয়োজনীয় পরিবহণ আনা যাচ্ছে না। রাস্তা খারাপের কারণে কৃষকের বিক্রিত আলু ও ধানের বস্তা প্রতি ৬০-৮০ টাকা কম দিচ্ছেন বেপারীরা। এছাড়া অসুস্থ রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্বজনরা। এমনটাই জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, রহস্যজনক কারণে সড়কের কাজ বেশ কয়েক বছর যাবত বন্ধ। বিবন্দী-পাঁচলদিয়া সড়কটি পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার কাজীপাড়া পর্যন্ত মালিরঅঙ্ক সড়কের সংযোগ সড়ক হওয়ায় অত্র এলাকার জন্য যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। তাই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে বিবন্দী-পাঁচলদিয়া সড়কে। ঠিকাদার মিজান ২০১৮ সালের দিকে সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য খোড়াখুড়ি শুরু করে। এ পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন করতে পারেনি। প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ইটের খোয়া ফেলে রাখা হলেও কোন কোন স্থানে বক্স করে রাখা হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মানুষের পায়ে হেঁটে চলাফেরা মুশকিল হয়ে পড়েছে। সড়ক জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইটের খোয়া ও উঁচুনিচু ঢেউ খেলানো সড়কে অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কের এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের।

সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকীর অভাবে নিময় অনুসারে সড়কের কাজ সম্পন্ন হচ্ছেনা বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সড়টির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে উপজেলার এলজিইডি অফিসে একাধিকবার কাজের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সড়কটি কাজের নামে এভাবে ফেলে রাখায় শিশু, বৃদ্ধসহ অসংখ্য পথচারী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রায় সাত বছর ধরে ঠিকাদার সড়কের কাজ কেন ফেলে রাখছেন, এর কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো. মিজান শেখের কাছে এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার মিজানকে কাজের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগের কাজের লাইসেন্স বাতিল করার পর মিজান ব্রাদার্স’র ব্যানারের তার বড় ভাই আবুল কালাম কাননের ছেলের নামে কাজের টেন্ডার নেন।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

শ্রীনগরে ৭ বছরেও হয়নি সড়ক সংস্কার কাজ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে প্রায় ৭ বছরেও বিবন্দী-পাঁচলদিয়া-কাজীপাড়া সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিবন্দী-পাঁচলদিয়া হয়ে কাজীপাড়া পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করার নামে খোড়াখুড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই এলাকার বিবন্দী, পাঁচলদিয়া, মুসলিমপাড়া, জুরাসার, বনগাঁও, রানা, সিন্দুরদী, দত্তগাঁও, টুনিয়ামান্দ্রা ও বাগবাড়ি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

অপরদিকে বেহাল রাস্তায় কৃষি পণ্য বাজারজাত ও সংরক্ষণে প্রান্তিক কৃষক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও উৎপাদিত ফসল বহন করতে প্রয়োজনীয় পরিবহণ আনা যাচ্ছে না। রাস্তা খারাপের কারণে কৃষকের বিক্রিত আলু ও ধানের বস্তা প্রতি ৬০-৮০ টাকা কম দিচ্ছেন বেপারীরা। এছাড়া অসুস্থ রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্বজনরা। এমনটাই জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয়রা বলছেন, রহস্যজনক কারণে সড়কের কাজ বেশ কয়েক বছর যাবত বন্ধ। বিবন্দী-পাঁচলদিয়া সড়কটি পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার কাজীপাড়া পর্যন্ত মালিরঅঙ্ক সড়কের সংযোগ সড়ক হওয়ায় অত্র এলাকার জন্য যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। তাই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে বিবন্দী-পাঁচলদিয়া সড়কে। ঠিকাদার মিজান ২০১৮ সালের দিকে সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য খোড়াখুড়ি শুরু করে। এ পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন করতে পারেনি। প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ইটের খোয়া ফেলে রাখা হলেও কোন কোন স্থানে বক্স করে রাখা হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মানুষের পায়ে হেঁটে চলাফেরা মুশকিল হয়ে পড়েছে। সড়ক জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইটের খোয়া ও উঁচুনিচু ঢেউ খেলানো সড়কে অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কের এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের।

সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকীর অভাবে নিময় অনুসারে সড়কের কাজ সম্পন্ন হচ্ছেনা বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সড়টির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে উপজেলার এলজিইডি অফিসে একাধিকবার কাজের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সড়কটি কাজের নামে এভাবে ফেলে রাখায় শিশু, বৃদ্ধসহ অসংখ্য পথচারী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রায় সাত বছর ধরে ঠিকাদার সড়কের কাজ কেন ফেলে রাখছেন, এর কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মো. মিজান শেখের কাছে এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার মিজানকে কাজের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগের কাজের লাইসেন্স বাতিল করার পর মিজান ব্রাদার্স’র ব্যানারের তার বড় ভাই আবুল কালাম কাননের ছেলের নামে কাজের টেন্ডার নেন।