বিনোদন ডেস্ক :
মারা গেলেন বলউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার সারদা রাজন আয়েঙ্গার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন এ সংগীতশিল্পী। বুধবার (১৪ জুন) মৃত্যু হয়েছে তার।
১৯৩৭ সালে জন্ম সারদার। তামিল পরিবারে জন্ম নেয়া সারদার বলিউডে অভিষেক হয় পরিচালক রাজ কাপুরের মাধ্যমে। এ পরিচালকই তাকে সংগীত পরিচালক জুটি শঙ্কর-জয়কিশনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
সারদা ‘সূরজ’ সিনেমার ‘তিতলি উড়ি’ গানের জন্য রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়েছিলেন। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৬ সালে। এই সিনেমার মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় তার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সারদাকে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, সারদা পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে মোহাম্মদ রফির মতো প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীকেও টেক্কা দিয়েছেন। সারদা যে সময়ে বলিউডে ক্যারিয়ার গড়েন সেই সময়ে লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোসলের মতো শিল্পীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলিউডে। তাদের মধ্যেও নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন সারদা। সমালোচকদের মতে, লতা ও আশার মাঝে সারদার অন্য ধরনের গলা এক সতেজতা এনেছিল হিন্দি ছবির গানে।
সংগীত সমালোচকরা বলে থাকেন, লতা ও আশার মাঝে সারদার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ভিন্ন এক সতেজতা এনেছিল বলিউড সিনেমার গানে।
সারদা ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’, ‘গুমনাম’, ‘সপনো কা সওদাগর’-এর মতো সিনেমায় গান করেছেন। এছাড়া মুমতাজ, শর্মিলা ঠাকুর, রেখা, হেমা মালিনীর মতো অভিনেত্রীদের জন্যও গান করেছেন।
সত্তরের দশকে বড় বড় সুরকারদের সঙ্গে জুটি বেঁধে গান গেয়েছেন সারদা। ছবির গান গাওয়া ছাড়াও নিজের গানের অ্যালবাম বানিয়েছিলেন। সেখানে নিজের গানে সুরও দিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত এই সংগীতশিল্পী। শেষবার তার গলা শোনা গিয়েছিল মির্জা গালিবের গজলের অ্যালবাম ‘আন্দাজ-এ-বয়ান’-এ। তাও আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে।
‘তিতলি উড়ি’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাচ্চাদের গান শেখাতেন সারদা। বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকেছেন তিনি। যদিও সমাজমাধ্যমের পাতায় বেশ সক্রিয় ছিলেন গায়িকা। সারদার মৃত্যুতে ভারতীয় সংগীত ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।